অনলাইন ডেস্ক : সরকার পরিকল্পিতভাবে দেশের অর্থনীতি আবার রসাতলে নিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রোববার এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় তিনি অভিযোগ করে বলেন, আজ বাংলাদেশের অর্থনীতি একদম নিচের দিকে যাচ্ছে, মানে ডাউন ওয়ার্ডস। স্বাধীনতার পরে এমন পরিস্থিতি ছিল। সেই অর্থনীতিকে শক্ত ভিতের ওপরে দাঁড় করিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান ও সাইফুর রহমান। আজ পরিকল্পিভাবে দেশের অর্থনীতি ফের রসাতলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ‘এম সাইফুর রহমান স্মৃতি পরিষদ’র উদ্যোগে এ ভার্চুয়াল আলোচনা সভা হয়। মির্জা ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাবেক যুবদল নেতা কাইয়ুম চৌধুরীর পরিচালনায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, এজেডএম জাহিদ হোসেন, কেন্দ্রীয় নেতা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, হবিগঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যান জিকে গউছ, যুক্তরাজ্য বিএনপি শাখার সভাপতি এমএ মালেক এবং প্রয়াত নেতা সাইফুর রহমানের ছেলে সাবেক এমপি এম নাসের রহমান বক্তব্য রাখেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, তাদের (আওয়ামী লীগ) লক্ষ্য একটাই যে, টাকাও বানাও, দুর্নীতি কর, মেগা প্রজেক্ট কর, মেগা লুট কর। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে টাকা লুট, শেয়ারবাজার থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করে নিয়ে চলে গেল। ব্যাংকগুলো একটার পর একটা লোপাট হচ্ছে। অথচ এসব লুটপাটকারীদের বিচার হচ্ছে না। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে।

এম সাইফুর রহমানকে ‘বিপ্লবী সংস্কারক’ হিসেবে অভিহিত করে তিনি বলেন, বলা যেতে পারে আসলে উনি একজন বিপ্লবী সংস্কারক ছিলেন। অনেক সিদ্ধান্ত তিনি নিয়েছেন যা খুব পপুলার ছিল না। অনেক অর্থনীতিবিদও তার সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছিলেন। কিন্তু পরে প্রমাণিত হয়েছে, তিনি কোনো ভুল সিদ্ধান্ত নেননি। সাইফুর রহমানের কর্মকাণ্ড সংরক্ষণে একটা ফাউন্ডেশন গঠনের প্রস্তাব করেন তিনি। সাইফুর রহমানের স্মৃতিচারণ করে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, সাইফুর রহমান এ দেশের অর্থনীতিতে, এ দেশের রাজনীতিতে সুদূরপ্রসারী উদাহরণ সৃষ্টি করে গেছেন। এটা থেকে আমাদের এবং আমাদের নতুন প্রজন্মকে শিক্ষা নিতে হবে।

মির্জা ফখরুলের প্রতিবাদ : সাবেক উপ-মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু এবং তার স্ত্রীর ব্যাংক হিসাব জব্দ করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। অবিলম্বে দুলুর বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার ও তাদের ব্যাংক হিসাব খুলে দেয়ার দাবি জানান তিনি।

রোববার এক বিবৃতিতে ফখরুল বলেন, বৈশ্বিক মহামারী করোনাকালেও বিরোধী দলের ওপর নিপীড়ন-নির্যাতনের গতি স্তিমিত হয়নি। বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু এবং তার সহধর্মিণী সরকারের অমানবিক হয়রানিরই শিকার। তাদের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালে দায়ের করা নিষ্পত্তিকৃত মামলা দুদক কর্তৃক নতুনভাবে অনুসন্ধান এবং তাদের ব্যাংক হিসাব জব্দের ঘটনা সম্পূর্ণরূপে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। রাজনৈতিকভাবে রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুকে হেয় প্রতিপন্ন করতেই তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত অবৈধ অর্থ উপার্জন সংক্রান্ত মিথ্যা মামলা আবারও সামনে আনা হচ্ছে।