আতোয়ার রহমান

চোরাবালি চোরাস্রোতের ঘোলাজল থেকে বেরিয়ে
তালগাছের মতো দাঁড়িয়ে আছে মাথা উঁচু করে
মাথায় তার গৌরব ও গর্বের তিলক
মৌসুমি দখিণা বাতাসে উড়ে পতপত করে
সকলকে আবিষ্ট করে রুপের মোহিনী মায়ায়
মাছি তাড়ানোর মতো উড়িয়ে দিয়ে সকল নিন্দা ও সংশয়।

সাতরঙে হেসে ওঠে জ্যোৎস্নার গানে, নাচে সন্ধ্যাতারায়
পাগড়ী মাথায় ঝলসানো চোখে সে চারিদিকে তাকায়
এ শুভ্র মণিহার গলায় পরে স্বপ্ন মরা নদীও
আজ কল্লোলিত উচ্ছ¡সিত মৃদু কুয়াশায়
শ্যামল শোভা পদ্মাবতীও অপলক দ্যাখে তার রুপের ছটায়।
রুপালি ইলিশ ভীড় করে, এদিক-ওদিক তাকায়
নীরবতা ছড়িয়ে কয়েকটি মাছরাঙা ডানা মেলে উড়ে যায়
ফুটে ওঠা শিউলি ফুল সেতুর পায়ে আলতা মেখে দিতে চায়।

প্রতীক্ষার প্রহর শেষে স্বপ্নের পাখি উড়াল দিলো
ডানা ঝাড়া দিয়ে আকাশের সুনীলে
উত্তাল এক আনন্দের ঢেউ তুলে জাতির বুকের গভীরে
খুশির হাসির ফোয়ারা ফোটে মুখের উপরে।
তুমিও স্বপ্ন দেখো-এই জাতি আবার জেগে উঠবে
যেন আমাদের দেশটা স্বর্গরাজ্যে রুপ নেবে
তোমার হাত ধরে জাতি উন্নয়নের পদ্মায় সাঁতরাবে
তোমার পিঠের ওপর পড়া সকালের নরম রোদে শুকাবে সুখ।
এপারে ওপারে আছে-ভালোবাসা মানুষ আবেগ সংস্কৃতি
প্রেমের বন্ধনে মিলিয়ে মিশিয়ে দিবে সবকিছু তুমি
তোমার প্রেমের কলি ফুল হয়ে ফুটে সুগন্ধে ভরে দিবে জমি
তোমার চেয়ে কি আমরা নদীর ভাষা বেশি বুঝি?