খেলা ডেস্ক : ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমারের বিরুদ্ধে তাঁর মায়ের ছেলেবন্ধুকে হুমকি দেওয়া ও সমকামীবিদ্বেষী গালি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আদালতে
করোনাভাইরাসের কারণে ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ানটা শেষ হয়ে গেছে আগেভাগেই। নেইমারের প্যারিস সেন্ট জার্মেইয়ের (পিএসজি) হাতেই অবশ্য উঠেছে শিরোপা। ব্রাজিলিয়ান তারকা এখন আছেন নিজের দেশে। আর সেখানেই মহা ফ্যাসাদে পড়েছেন এই সময়ের অন্যতম সেরা ফুটবলার।
ব্রাজিলের এক সমকামী অধিকার আন্দোলনকর্মী নেইমারের বিরুদ্ধে ফৌজদারি নালিশ করেছেন আদালতে। অভিযোগ দুটি—নেইমার তাঁর মায়ের ছেলেবন্ধুকে সমকামীবিদ্বেষী গালি দিয়েছেন এবং শারীরিকভাবে নিগ্রহের হুমকি দিয়েছেন। নেইমার ও তাঁর বন্ধুদের ভিডিও গেমস খেলার সময় করা আলোচনার অডিও ফাঁস হওয়ার পর এই অভিযোগ আনা হয়।
সাও পাওলোর আদালত এএফপির কাছে স্বীকার করেছেন অভিযোগ পাওয়ার কথা। তবে পিএসজি তারকার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (মামলা) করা হবে কি না, তা তদন্তের পর সিদ্ধান্ত হবে বলে জানিয়েছেন সেই আদালত। নেইমারের গণসংযোগ দল এ ব্যাপারে অবশ্য কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছে।
অভিযোগটি করেছেন আগরিপিনো মাগালহ্যাস নামের একজন। ইনস্টাগ্রামে সেই লোক লিখেছেন, নেইমার এবং তাঁর বন্ধুদের বিপক্ষে ‘সমকামীবিদ্বেষ, ঘৃণাসূচক বক্তব্য ও হত্যার হুমকি’ দেওয়ার অভিযোগ করেছেন তিনি।
ফাঁস হওয়া এক অডিও বার্তায় শোনা যায়, নেইমার ও তাঁর বন্ধুরা নেইমারের মা নাদিন গনসালভেস ও তাঁর ২২ বছর বয়সী বন্ধু তিয়াগো রামোসের কথিত ঝগড়াঝাঁটি ও মারামারি নিয়ে কথা বলছেন। শোনা যাচ্ছে, গতকাল মঙ্গলবার নেইমারের মায়ের সঙ্গে ঝগড়ার একপর্যায়ে আহত হয়ে হাসপাতালে যেতে হয়েছে রামোসকে।
পুলিশ জানিয়েছে, হাত কেটে গেছে রামোসের। কীভাবে কেটেছে, তা নিয়েই বিভ্রান্তি। নেইমারের মা বলছেন সিঁড়ি থেকে কাচের কিছুর ওপরে পড়ে হাত কেটেছে রামোসের। কিন্তু বন্ধুদের সঙ্গে আলোচনায় নেইমার বলেছেন, মায়ের কথা বিশ্বাস হচ্ছে না তাঁর। নেইমারের বিশ্বাস, নিশ্চিত মারামারি করে হাত কেটেছেন রামোস। আর এ কারণেই তাঁর চেয়ে বয়সে ৬ বছরের ছোট রামোসকে একহাত দেখে নিতে চান নেইমার। গুঞ্জন আছে তাঁকে গালি দিয়েছিলেন নেইমার।
নেইমারের মায়ের প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, ঘটনার সময় তাঁরা চিৎকার–চেঁচামেচি শুনেছেন। তবে রামোস ও নেইমারের মা দুজনই পুলিশকে বলেছেন, দুর্ঘটনায় হাত কেটেছে রামোসের।