অনলাইন ডেস্ক : কানাডার সরকারি প্রচার মাধ্যমের প্রক্ষেপণে বলা হয়েছে বিরোধী কনজার্ভেটিভদের বিরুদ্ধে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর লিবারেল পার্টি। সোমবার সেখানে ৪৪তম পার্লামেন্ট নির্বাচন হয়। দিনশেষে সিবিসি নিউজ রিপোর্টে বলে যে, এই নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি আসনে বিজয়ী হবে লিবারেল পার্টি। সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে ১৭০টি আসন পেতে হয়। তারা হয়তো এর চেয়ে সামান্য কম আসন পেতে পারে। স্থানীয় সময় রাত ১১টায় সিবিসির প্রক্ষেপণে বলা হয়েছে, ১৫১টি নির্বাচনী ডিস্ট্রিক্টে বিজয়ী হয়েছেন অথবা এগিয়ে আছেন লিবারেল পার্টির প্রার্থীরা। চূড়ান্ত ফল সোমবার প্রকাশ করা হবে না। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ভোর থেকে হাজার হাজার ডাকে পাওয়া ভোট গণনা হওয়ার কথা।
এ খবর দিয়েছে অনলাইন আল জাজিরা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সব মিলে সংখ্যাগরিষ্ঠতার পথে এগিয়ে চলেছে ট্রুডোর দল। করোনা ভাইরাস মহামারি কিভাবে তার দেশ মোকাবিলা করেছে সে বিষয়ে জনগণের রায় জানার জন্য মধ্য আগস্টে আগাম ভোট দেয়ার ঘোষণা দেন ট্রুডো। এতে তার বিরুদ্ধে কঠিন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায় ইরিন ও’তোলে’র কনজার্ভেটিভ পার্টি। বিশেষজ্ঞরা বলেন, ২০১৫ সাল থেকে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। তিনি ভোটারদের বোঝাতে সক্ষম হয়েছেন যে, করোনা মহামারির সময়ে নির্বাচন জরুরি হয়ে পড়েছে। গত ফেডারেল নির্বাচন হয় ২০১৯ সালে। এ সময় লিবারেল পার্টি আসন পেয়েছিল ১৫৭টি। তবে বিরোধীদের কারো কারো কাঁধে ভর করে তারা প্রয়োজনীয় ১৭০ আসনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা দেখায়। ম্যাকগিল ইউনিভার্সিটির প্রফেসর এবং ম্যাকগিল ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব কানাডার পরিচালক ডানিয়েল বেল্যান্ড বলেছেন, এবারের নির্বাচনেও একই রকম ফল আসবে বলে মনে হচ্ছে। এর ফলে মাইনরিটি হিসেবে ক্ষমতায় আসতে পারে লিবারেলরা। আর আগের মতোই হতে পারে পার্লামেন্ট। জাস্টিন ট্রুডো একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য যে জুয়া খেলতে চেয়েছিলেন, তাতে তিনি হেরে গেছেন। তবে তিনি ক্ষমতা ধরে রাখতে সক্ষম হবেন। বেশির ভাগ কানাডিয়ান এই নির্বাচন চাননি।