অনলাইন ডেস্ক : নির্বাচন কমিশন (ইসি) নির্বাচনী প্রক্রিয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
সোমবার (২০ ডিসেম্বর) বঙ্গভবনে নির্বাচন কমিশন গঠন বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরুর প্রথম দিনে জাতীয় পার্টির সঙ্গে আলোচনার সময় তিনি এ কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের প্রেস অনুবিভাগের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতীয় সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদেরের নেতৃত্বে ৮ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বিকেলে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেয়। প্রতিনিধি দলটি বঙ্গভবনে পৌঁছালে তাদের স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
আলোচনায় রাষ্ট্রপতি বলেন, নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী প্রক্রিয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে শেষ হবে। তার আগে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এ সময় রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত ও পরামর্শের ভিত্তিতে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠন সম্ভব হবে এবং নতুন নির্বাচন কমিশন জাতীয় নির্বাচনসহ সব নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করতে সক্ষম হবে।
এ ব্যাপারে সব রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজের সহযোগিতা কামনা করেন রাষ্ট্রপতি।
আলোচনায় স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনে তাদের প্রস্তাবনাগুলো তুলে ধরে জাতীয় পার্টি। তারা তিনটি সুস্পষ্ট প্রস্তাব রাখেন। কমিশন গঠনের জন্য সংসদে আইন প্রণয়ন কিংবা রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে আইন করার দাবি জানান তারা। এ দুটি সম্ভব না হলে সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠনের পরামর্শ দেন তারা।
একইসঙ্গে সংলাপের উদ্যোগ নেওয়ায় রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের।
জি এম কাদেরের নেতৃত্বে দলের সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, কো-চেয়ারম্যান রুহুল আমীন হাওলাদার, কাজী ফিরোজ রশীদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, সালমা ইসলাম, মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু ও সাবেক মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা সংলাপে অংশ নেন।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন, সচিব (সংযুক্ত) মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান।