কৌশলী ইমা, নিউ ইয়র্ক : যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সি অঙ্গরাজ্যের প্যাটারসন সিটির ২ নম্বর ওয়ার্ডে আবারও দুই বাংলাদেশি সাবেক কাউন্সিলরের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে। গত ১২ মে ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
নির্বাচনী ফলাফলে মো. আক্তারুজ্জামান ফয়সল এবং শাহীন খালিক সমান সংখক ভোট পেয়েছিলেন ফলে নির্বাচন কমিশন ফলাফলে কাউকেই বিজয়ী ঘোষণা করতে পারেনি। আগামী ৩ নভেম্বর প্রসিডেন্ট নির্বাচনের সাথে বিশেষ নির্বাচনের এই আয়োজন করেছেন স্থানীয় পেসাইক কাউন্টি নির্বাচন অফিস।
প্যাটারসননের দুই বাংলাদেশি কাউন্সিলরের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বাংলাদেশিদের মাঝে উত্তেজন বিরাজ করছে। সাবেক এ দুই কাউন্সিলর ছাড়াও নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন আরও ৫ প্রার্থী। উন্নয়নের নানা আশ্বাস দিয়ে ভোটারদের মন জয়ের চেষ্টা করছেন তারা।
একই দিনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টসহ স্থানীয় গুরুত্বপূর্ণ বেশ কটি পদে নির্বাচন হওয়ায় ভোটারদের মধ্যে বিরাজ করছে এক অন্যরকম আমেজ। নিউ জার্সির প্যাটারসন সিটিতে প্রায় ২০ হাজার বাংলাদেশি অভিবাসীর বসবাস। শুধুমাত্র ২ নম্বর ওয়ার্ডেই বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন জাতী-গোষ্ঠীর ভোটার রয়েছেন সাড়ে ১৪ হাজার।
যার অধিকাংশই বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত। টানা ৮ বছর ধরে ওয়ার্ডটি বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত সাবেক দুই কাউন্সিলরদের দখলে। এর মধ্যে ৪ বছর করে পর্যায়ক্রমে দ্বায়িত্বপালন করেছেন মো. আক্তারুজ্জামান ফয়সল এবং শাহীন খালিক। ৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে আবারও লড়ছেন প্রতিদ্বন্দ্বী এই দুই প্রার্থী। কমিনিউটির উন্নয়নকে মাথায় রেখে প্রতিনিধি নির্বাচনের ক্ষেত্রে ভোটারও বেশ সচেতন।
উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে শাহীন খালিক তাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতে নানা যুক্তি তুলে ধরছেন। এক্ষেত্রে মসজিদগুলোতে মাইকে প্রকাশ্যে আজান, পাবলিক স্কুলগুলোতে মুসলিম শিক্ষার্থীদের মধ্যে হালাল খাবারের ব্যবস্থা, বাংলাদেশ বুলেভার্ড হিসাবে প্যাটারসনের প্রধান সড়কের নামকরণসহ উন্নয়নের নানা ফিরিস্তি তুলে ধরছেন।
অপরদিকে আক্তারুজ্জামান ফয়সল বাড়িঘরের ট্যাক্স ও সুয়ারেজ বিল বৃদ্ধির বিরুদ্ধে আন্দোলন ছাড়াও অপরাধ দমনে তার নেয়া বলিষ্ঠ ভূমিকাসহ নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধিতে বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে ভোটারদের মন জয়ের চেষ্টা করছেন। স্থানীয় ভোটাররা বলছেন আবারও এ দুই প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে।