সোনা কান্তি বড়ুয়া : ‘তুমি, নির্মল কর, মঙ্গল করে, মলিন মর্ম মুছায়ে’ প্রতিপাদ্যে বৌদ্ধধর্মের অহিংসা মানবতার পথ এবং হিংসা মানুষজাতির সর্বনাশের পথ। ইংরেজ আসার পূর্বে ভারতবর্ষের বৌদ্ধতীর্থ এবং বৌদ্ধ ধর্মই, আমাদের জানা ও ছিল না! বুদ্ধ বিদ্বেষী ব্রাহ্মণ্যবাদের হিংস্রতায় ভারতবর্ষের বৌদ্ধধর্ম এত বড় বৌদ্ধ ঐতিহ্য মাটির নীচে কবরস্থ রয়েছে। অদ্য আষাঢ়স্য প্রথম দিবস! আজ আষাঢ়ের প্রথম দিন। মহাকবি কালিদাস তার ‘মেঘদূত’ কাব্যে আষাঢ়স্য প্রথম দিবসে বিরহকাতর যক্ষ মেঘকে দূত করে কৈলাশে পাঠিয়েছিলেন তার প্রিয়ার কাছে। যক্ষের সে বিরহবারতা মেঘদূত যেন সঞ্চারিত করে চলেছে প্রতিটি বিরহকাতর চিত্তে, যুগ হতে যুগান্তরে। গানের ভিতর দিয়ে যখন দেখি ভুবনখানি- …রবীন্দ্র সংগীত! এ এমন এক ধারার গান, যা বাঙালি রবীন্দ্রনাথের আগে আর শোনেনি…! বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথের সৃষ্টির সেই অনবদ্য দিক, যা নিয়ে তিনি নিজে সবচেয়ে বেশি আশাবাদী ছিলেন? তাঁর সার্ধশতবর্ষ পেরিয়ে আজও বাঙালির অনুভ‚তি প্রকাশ করতে গেলে সেই একটিই বিষয়ের প্রতি মনোযোগ ঘনীভ‚ত হয়, তাহল রবীন্দ্রসংগীত!
আধুনিক বিশ্বের CAPITAL শহর হিসেবে আমেরিকার আলো ঝলমল নগরী নিউইয়র্ক শহরের নাম পৃথিবীব্যাপী এই সবার কাছে পরিচিত! অতপর ২০১৫ সালের ৮ ও ৯ আগষ্ঠ নিউইয়র্কে বৌদ্ধ সম্মেলনে গানের দেবী যুথিকা বড়ুয়া গাইছেন বিশ্বকবি “রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান,”
আমার এই পথ-চাওয়াতেই আনন্দ।
সারাদিন আঁখি মেলে / দুয়ারে রব একা।
শুভক্ষণ হঠাৎ এলে / তখনি পাব দেখা।
খেলে যায় রৌদ্র ছায়া / বর্ষা আসে বসন্ত।
কারা এই সমুখ দিয়ে / আসে যায় খবর নিয়ে,
খুশি রই আপন মনে, / বাতাস বহে সুমন্দ।
সারাদিন আঁখি মেলে দুয়ারে রব একা।
শুভক্ষণ হঠাৎ এলে / তখনি পাব দেখা।
ততখন ক্ষণে ক্ষণে / হাসি গাই মনে মনে,
ততখন রহি রহি / ভেসে আসে সুগন্ধ।
আমার এই পথ-চাওয়াতেই আনন্দ।”
বাংলাদেশের বৌদ্ধদের বৌদ্ধধর্ম – বৌদ্ধদের বুকেই থাকে! পাকিস্তান-ভারত বিভাজনে বিভক্ত মানব সত্তার কান্নায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন বাঙালির রক্তে রক্তে প্রবহমান এবং পাকিস্তানকে পরাজিত করে বাংলাদেশের বিজয় হয়। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতায়
“আজি এ প্রভাতে রবির কর /কেমন পশিল প্রাণের ‘পর,
কেমনে পশিল গুহার আঁধারে / প্রভাতপাখির গান!
না জানি কেন রে এত দিন পরে / জাগিয়া উঠিল প্রাণ!
জাগিয়া উঠেছে প্রাণ,/ ওরে উথলি উঠেছে বারি,
ওরে প্রাণের বাসনা প্রাণের আবেগ / রুধিয়া রাখিতে নারি।
রবীন্দ্রসংগীতের সবচেয়ে বড় দিক হল, এ এমন এক ধারার গান, যা বাঙালি রবীন্দ্রনাথের আগে আর শোনেনি? রবীন্দ্রনাথের রচনাশৈলীর যাবতীয় বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে সঙ্গেই এই সংগীত উঠে এসেছে স্বতোৎসারিত প্রবাহের মত? অমৃতের প্রবাহ বললে খুব ভুল হবে না? তাঁর সৃষ্টির এই বিশেষ দিকটিতে ধরা পড়েছে জীবনের যাবতীয় পর্যায়? তা সে প্রেম থেকে প্রকৃতি কিংবা স্বদেশ চেতনা থেকে বৈরাগ্য কিংবা পূজা থেকে রসবোধ? জীবনযাপনের সব শাখাতেই, মানবমনের সব অনুভ‚তি নিয়েই সংগীত রচনা করেছেন রবীন্দ্রনাথ? ভাসিয়ে দিয়েছেন মানুষকে অপরূপ সুরের আর বাণীর স্রোতে এবং নিউইয়র্কে বৌদ্ধ সম্মেলনে গানের দেবী যুথিকা বড়ুয়া গাইছেন বিশ্বকবি “রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান,
আমার সকল দুখের প্রদীপ জ্বেলে দিবস গেলে করব নিবেদন-
আমার ব্যথার পূজা হয় নি সমাপন\
যখন বেলা-শেষের ছায়ায় পাখিরা যায় আপন কুলায়-মাঝে,
সন্ধ্যাপূজার ঘণ্টা যখন বাজে,
তখন আপন শেষ শিখাটি জ্বালবে এ জীবন–
আমার ব্যথার পূজা হবে সমাপন\
অনেক দিনের অনেক কথা, ব্যাকুলতা, বাঁধা বেদন-ডোরে,
মনের মাঝে উঠেছে আজ ভ’রে।
যখন পূজার হোমানলে উঠবে জ্বলে একে একে তারা,
আকাশ-পানে ছুটবে বাঁধন-হারা,
অস্তরবির ছবির সাথে মিলবে আয়োজন–
আমার ব্যথার পূজা হবে সমাপন!
রবীন্দ্রনাথ তাঁর সংগীতের রসদ সংগ্রহ করেছিলেন বহুকিছু থেকে? শেষ কৈশোরে তাঁর রচিত ভানুসিংহের পদাবলী যেমন ব্রজবুলিতে শান্ত স্নিগ্ধ প্রেমের বাণী শুনিয়েছে, তেমনই আবার ভারতীয় মার্গসংগীত, রাগভাঙা গান এবং সুর কিংবা পাশ্চাত্যের ধর্মসংগীত থেকে শুরু করে পশ্চিমের লোকগানের সুরকেও তিনি আত্মস্থ করে ঢেলে দিয়েছেন নিজের রচনায়? বাংলার লোকগানের আদলকেও তিনি মিশিয়েছেন নিজের মনের মাধুরীর সঙ্গে? সেই সংগীত আসন পেয়েছে অবশেষে যেন রাজসভায়? এবং নিউইয়র্কে বৌদ্ধ সম্মেলনে গানের দেবী যুথিকা বড়ুয়া গাইছেন বিশ্বকবি “রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান,
দাঁড়িয়ে আছ তুমি আমার গানের ও পারে–
আমার সুরগুলি পায় চরণ, আমি পাই নে তোমারে \
বাতাস বহে মরি মরি, আর বেঁধে রেখো না তরী–
এসো এসো পার হয়ে মোর হৃদয়মাঝারে \
তোমার সাথে গানের খেলা দূরের খেলা যে,
বেদনাতে বাঁশি বাজায় সকল বেলা যে।
কবে নিয়ে আমার বাঁশি বাজাবে গো আপনি আসি
আনন্দময় নীরব রাতের নিবিড় আঁধারে!”
‘একটা গান লিখো আমার জন্য / না হয় আমি তোমার কাছে / ছিলেম অতি নগণ্য’ অথবা ‘বাঁশবাগানের মাথার উপর চাঁদ উঠেছে ওই’ সর্বকালের অন্যতম জনপ্রিয় দুটি বাংলা গান যার কণ্ঠে কালজয়ী হয়েছে তিনি প্রতিমা বন্দ্যোপাধ্যায়। আটপৌরে চেহারা, কপালে টিপ, তাম্বুল রাঙা ঠোঁট, সাদামাঠা শাড়ির এই বঙ্গনারী সঙ্গীতের জগতে এক অনন্যা। প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী হৈমন্তী শুক্লষ প্রতিমা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে বলেন- উনি যে কী বিরাট শিল্পী ছিলেন, নিজেই জানতেন না!
বুদ্ধ বিদ্বেষী ব্রাহ্মণ্যবাদ বৌদ্ধধর্ম এবং বৌদ্ধ ঐতিহ্যকে ধ্বংস করেছে। ইংরেজ আসার পূর্বে ভারতবর্ষের বৌদ্ধ তীর্থ এবং বৌদ্ধ ধর্মই, আমাদের জানা ও ছিল না! বৌদ্ধ ইতিহাসের পুনর্জন্ম (দি রিবার্থ অব বৌদ্ধ হিস্টোরি)! বুদ্ধ বিদ্বেষী ব্রাহ্মণ্যবাদের হিংস্রতায় ভারতবর্ষের বৌদ্ধ ধর্মই, এত বড় বৌদ্ধ ঐতিহ্য মাটির নীচে কবরস্থ রয়েছে। বৌদ্ধ ধর্মই, হারিয়ে যাওয়ার হাত থেকে যেভাবে রক্ষা পেল কালেভারতবর্ষের সেগুলির অধিকাংশ আজ বুদ্ধ বিদ্বেষী ব্রাহ্মণ্যবাদের হিংস্রতার থাবায় কালের গর্ভে চিরতরে হারিয়ে গিয়েছে। অনেক কিছুকে তারা বিকৃত করে দিয়েছে, কিছু কিছুকে ধ্বংস করে মাটির সাথে বিলীন করে দেওয়া হয়েছে এবং কিছু কিছু হিংস্র তাণ্ডবের শিকার হয়ে ধ্বংস স্তূপে পরিণত হয়ে কালের সাক্ষীরূপে মহান উদ্ধারকের জন্য অপেক্ষা করছে, যাঁরা মৃত্তিকা গর্ভ হতে তুলে এনে হয়তো কোনোদিন জগতের সামনে উদ্ভাসিত করবেন, এ প্রত্যাশায়। চাঁদের বুকে অশোকস্তম্ভ (BY THE INDIAN ROCKET) প্রতিষ্ঠাপর শিবশক্তি নিয়ে হিন্দু রাজনীতি কেন?
ড. বরসম্বোধি ভিক্ষু লিখেছিলেন, “এ ভারতবর্ষে (INDIA, PAKISTAN, BANGLADESH & AFGHANISTAN) সারনাথের মাটির নীচ হতেই মহান ভারতের রাষ্ট্রীয় প্রতীক সম্রাট অসোক নির্মিত গর্জন রত চারমুখী চার সিংহ মূর্তির প্রতীকসহ ভারতের জাতীয় পতাকায় স্থাপিত ধম্মচক্রের প্রতীক আবিস্কৃত হয়েছে। এখান হতেই প্রাচীন ভারতের অতীত গরিমা সগৌরবে উদ্ভাসিত হয়েছে। এভাবে দেখা যায় মহান সারনাথ বৌদ্ধতীর্থ কত মহত্বপূর্ণ সমৃদ্ধময় স্থাপনায় ভরপুর ছিল। কিন্তু ইংরেজ আসার পূর্বে আমাদের জানাও ছিলনা যে, এখানে এত বড় বৌদ্ধ ঐতিহ্য মাটির নীচে কবরস্থ রয়েছে। ইংরেজ না আসলে এরকম অনেক কিছুরই অস্তিত্ব সামনে আসতনা।
অতীতে ভারতবর্ষে বৌদ্ধ ভিক্ষুরা অসাধারণ বাস্তুকলা, শিল্পকলা ও স্থাপত্যের জন্ম দিয়েছেন। ভারতের বিভিন্ন স্থানে পাহাড়-পর্বত ও গুহায় স্থাপিত ভাস্কর্য শৈলীসমূহ দেখলেই তার অপূর্ব নিদর্শন ফুটে উঠে। আধুনিক প্রযুক্তি ছাড়াও তাঁরা আজ হতে প্রায় দু’হাজারেরও অধিক বছর পূর্বে কিভাবে এত বিপুল সংখ্যক কারুকার্যময় ও নিপুণ হস্তে গুহা, ভাষ্কর্য, চিত্র নির্মাণ করেছেন, তা ভাবতেও অবাক লাগে। এগুলি করতে কত যুগের পর যুগ যে চলে গিয়েছে, কত নিষ্ঠা ও ত্যাগ যে করতে হয়েছে তা অভাবনীয়। ব্রাহ্মণ্যবাদীরা শত শত বছর ব্যাপী আপ্রাণ চেষ্টা করেছে বৌদ্ধ স্থাপত্য ও শিল্পকলাসমূহ ধ্বংস করতে। কয়েক শতাব্দী পর্যন্ত কঠোর চেষ্টা করার পর অনেক নষ্ট করলেও সম্পূর্ণরূপে নিঃশেষ করতে পারেনি। যেগুলিকে নষ্ট করতে পারেনি, সেগুলির মধ্যে অনেক মূর্তিকে ঘষেমেজে বিকৃত করেছে, বস্ত্রালঙ্কার পড়িয়ে রূপের পরিবর্তন করে কাল্পনিক দেবী-দেবতার নামাঙ্কিত করেছে এবং নানা মনগড়া কাহিনী রচনা করে নিজেদের বলে সেগুলি মিথ্যা প্রচার করেছে।
পালি ভাষা কিংবা অসোকের লিপির কোথাও – শ- শব্দ বা অক্ষরসমূহের ব্যবহারও দেখা যায় না। সংস্কৃতকে প্রাচীন প্রমাণের জন্য অসোকের নামে ‘স’ এর স্থানে ‘শ ’ করে বিকৃত করা হয়েছে। কোথায় কি বিকৃতি হয়েছে তা আমাদের জানা উচিত। নীচে সম্রাট অসোকের লিপির চার্ট প্রদত্ত হল।
ব্রাহ্মণ এবং মোগলেরা মিলে যে বুদ্ধকে মাটির উপর হতে অনেক নীচে চাপা গিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছিল, সে বুদ্ধকে বৃটিশেরাই আবার নিজেদের বিদ্বান সত্যানুসন্ধানীদের সহায়তায় ভারতবর্ষের ভ‚মির তলদেশ হতে খোদাই করে করে উত্তোলনের মাধ্যমে প্রাচীন বৌদ্ধ ইতিহাস-ঐতিহ্যকে পৃথিবীর সামনে দৃষ্টিগোচর করেছেন এবং জ্ঞাত করিয়েছেন যে, ব্রাহ্মণ্য ধর্ম নয়, বৌদ্ধ ধম্মই হল ভারতবর্ষের মূল ধম্ম এবং বৌদ্ধ ইতিহাস-সংস্কৃতিই হল ভারতবর্ষের মূল ঐতিহ্য। বৃটিশদের মাধ্যমে বুদ্ধকে যত বেশি লোকে জেনেছে, ততবেশী ভ্রান্তির অপনোদন হতে চলেছে। বৃটিশ আসার পূর্বে ভারতের অধিকাংশ লোক বুদ্ধের নামও ভুলে গিয়েছিল এবং কিছু লোক বুদ্ধের সম্পর্কে জানলেও তারাও মনে করত বুদ্ধ হলেন কোনো বিদেশী ধম্মের (বৌদ্ধধর্ম ) প্রচারক।”
চর্যাপদের বৌদ্ধ বাংলায় মুসলমান বখতিয়ার খিলজির রাজত্ব কেন? চর্যাপদের বৌদ্ধ বাংলায় উদ্ভাসিত বিশ্বমানবতা! IMAGINATIVE ALLAH AND POLITICAL ISLAM ধর্ম হল ISLAMIC লুঠেরাদের ধান্ধাTO TAKE OVER BUDDHIST COUNTRIES INDONESIA, AFGHANISTAN, BANGLADESH AND MORE 15 BUDDHIST COUNTRIES. সর্বগ্রাসী HINDU SEN KINGDOM দুর্নীতি চর্যাপদের বৌদ্ধ বাংলাকে হতাশায় ঘিরে ধরেছে, বৌদ্ধ বাংলাদেশে বৌদ্ধ চট্টগ্রাম! ১৬৬৬ সালে মুঘল সুবেদার শায়েস্তা খান, আরাকানীদের পরাজিত করে চট্টগ্রাম দখলে নেন। BANGLADESH BELONGS TO THE BUDDHISTS আইনকে নিজের হাতে তুলে নেওয়া নৈতিক অপরাধ এবং “১৬৫৯ সালে আরাকানে এই রাষ্ট্রদ্রোহী কাজে যোগদান থাকায় মহাকবি আলাওলের ৫০ দিনের কারাবাস হয়েছিল (নয়া দিগন্ত, ১৪ জানুয়ারি, ২০০৮)।” তখন থেকে রোহিঙ্গাদের সাথে আরাকানের শাসকদের সাথে শত্রæতা শুরু হল। ভ‚মি ও দেশ দখল করার নাম বাংলাদেশে মুসলমান ধর্ম এবং বৌদ্ধ বাংলাদেশে (BAKHTIAR KHILJI) বৌদ্ধ চট্টগ্রাম! বৌদ্ধ বাংলার অতীত মুখ ফোটে মনের কথা বলতে পারেনি। বৌদ্ধ বাংলায় এয়োদশ শতাব্দীতে দু’চারিটি অশ্রæজল এবং বৌদ্ধ বাংলাদেশে বৌদ্ধগণ মুসলমান হয়েছিলেন কেন? মুসলমানদের রাজনীতি চট্টগ্রাম দখলে নেন। জামাত হিন্দু ও বৌদ্ধদের মুসলমান বানষচ্ছে! বর্তমান বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, ভারত, পাকিস্তান এবং ইন্ব্দোনেশিয়ষ একসময় বৌদ্ধপ্রধান দেশ ছিলো!
কথাশিল্পী শওকত আলীর লেখা “প্রদোষে প্রাকৃতজন” এবং “দুষ্কালের দিবানিশি” গ্রন্থদ্বয়ে দক্ষিন এশিয়ার হিন্দু মুসলমান শাসকগণ কর্তৃক বৌদ্ধ হত্যাযজ্ঞের রক্তাক্ত ইতিহাস লিপিবদ্ধ করেছেন। বখতিয়ার খিলজির (১২০২ সালে) AND HINDU POLITICAL CONSPIRACY HAD CONVERTED BENGALI BUDDHISTS INTO ISLAM / বৌদ্ধগণ মুসলমান হয়েছিলেন! বাংলা পঞ্জিকা রচনায় হিজরি সালকে ভাড়া করে এনে সূর্য্য ক্যালেন্ডারের দোহাই দিয়ে বাঙালি মুসলমানদের চোখে ধোকা দেয়! বখতিয়ার খিলজির (১২০২ সালে) বৌদ্ধগণ মুসলমান হয়েছিলেন!
রবীন্দ্রজন্মের পর পেরিয়ে গেছে দেড়শোটি বছর? এত বছর পরেও কতটা প্রাসঙ্গিক তাঁর সংগীত? সে প্রশ্ন স্বভাবতই জরুরি মনে হতে পারে? কিন্তু দেখা যাচ্ছে, এই এত বছর পেরিয়ে গেলেও আজও বাঙালি মননের মনে হয়না রবীন্দ্রসংগীত তার প্রাসঙ্গিকতা হারিয়েছে? সেকথাই বলছেন এমনকি আজকের প্রজন্মের শিল্পীরা, শ্রোতারাও? আজও প্রতি বছর নবীন, তরুণ শিল্পীরা আগ্রহ নিয়ে শিখছেন রবীন্দ্রনাথের গান? গাইছে আজকের প্রজন্ম তাঁরই সেই শাশ্বত রচনা? বারেবারে বাঙালির মননকে ঋদ্ধ করছে, তার হৃদয়কে আপ্লæত করছেন সেই রবীন্দ্রনাথ? লালন ফকির যাঁর প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেছিলেন, ‘সত্যদ্রষ্টা বাউল?’
বৌদ্ধ ধর্ম কে (DASARATHA JATAKA) আত্মসাৎ করে ব্রাহ্মণদের (RAMAYANA) ধর্ম BRAHMANISM / HINDUISM টাই দাঁড় করা হয়েছে। প্রায় সবকিছুকেই বিভিন্ন কলা-কৌশলে তাঁরা (ব্রাহ্মণ) বৌদ্ধ ধর্ম কে আত্মসাৎ করে নিয়েছেন। ব্রাহ্মণদের ধর্ম রঙ্গমঞ্চের ইতিকথায় মানুষকে / কে নাচায়? ঈশ্বর, আল্লাহ, রঙ্গমঞ্চের মানুষ কি পুতুল মানুষ কি জানে, তাকে পুতুলের মতো করে কে নাচাচ্ছে? GOVERNMENT / POLITICS / RELIGION SEXUAL MISCONDUCT AND BLACK MARKET. / অন্য কেউ? জানলেও কি সে বাঁধন ছিঁড়তে চায়? নাকি জীবনপথের রঙ্গমঞ্চে পুতুলনাচের পুতুল হয়েই কাটিয়ে দিতে হয় তাকে? মানবজীবনরূপী এই রঙ্গমঞ্চের পুতুলনাচ খেলার গল্প বলেছেন মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় তার পুতুলনাচের ইতিকথায়।
বাংলাদেশে থেকে যদি এই অত্যাচারিত হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্ঠান ও পাহাড়ি সংখ্যালঘু স¤প্রদায় উৎখাত হয়ে যায় তা হলে হয়তো বাংলাদেশ একদিন দ্বিতীয় আফগাস্তানে রূপান্তরিত হবে ! ওই সময় বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘ, বাংলা দেশ বৌদ্ধ সমিতি, বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশন এবং কুমিল্লা নোয়াখালী বৌদ্ধ সমিতি সহ অনেক বৌদ্ধ সংগঠন মতোই গ্রামে যায় এবং সরেজমিনে তদন্ত করে ও এমন বর্বরোচিত কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে! অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, প্রশাসন এই পৈশাচিক কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে কোনো প্রতিকার বা বৌদ্ধদেরকে শান্তনা দেওয়া ছাড়া কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করে নাই!
কোন মানুষ অন্য মানুষের শত্রæ নয়। বাংলাদেশে “ধর্মহীন বিজ্ঞান খোঁড়া, বিজ্ঞানহীন ধর্ম অন্ধ” এবং মনুষ্যত্বের বাঁধনে সা¤প্রদায়িক স¤প্রীতির সাধনা! বাংলাদেশে স্বাধীনতা কী ধর্মান্ধ মুসলমানদের জন্য? স্বাধীনতা সংগ্রাম সংখ্যালঘুদের রক্তে রক্তে প্রবহমান! বাংলাদেশ স্বাধীন হলেও হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্ঠান ও পাহাড়িরা স্বাধীনতা পায়নি। স্বাধীনতা কি বাংলাদেশে ধর্মান্ধ রাজাকার, আলবদর মুসলমানদের জন্য? কাজেই উপায় কী? এখন উপায় একটাই তা হলো শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষদের সোচ্চার হওয়া। বাংলাদেশে এই সচেতনতা আছে বলেই এখনো প্রতিবাদসভা হচ্ছে, মানববন্ধন হচ্ছে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কালিদাসের উদ্দেশে লিখেছিলেন, ‘কবিবর, কবে কোন্ বিস্মৃত বরষে/ কোন্ পুণ্য আষাঢ়ের প্রথম দিবসে/ লিখেছিলে মেঘদূত। মেঘমন্দ্র শ্লোক বিশে^র বিরহী যত সকলের শোক/রাখিয়াছ আপন আঁধার স্তরে স্তরে/ সঘন সংগীত মাঝে পূঞ্জীভ‚ত করে। ‘’আষাঢ়ের মেঘ প্রতি বৎসর যখনি আসে, তখনই নূতনত্বে রসাক্রান্ত ও পুরাতনত্বে পুঞ্জীভ‚ত হইয়া আসে। মেঘদূতের মেঘ প্রতি বৎসর চিরনূতন চিরপুরাতন হইয়া দেখা দেয়… এইজন্য, কালিদাস উজ্জয়িনীর প্রাসাদশিখর হইতে যে আষাঢ়র মেঘ দেখিয়াছিলেন আমরাও সেই মেঘ দেখিয়াছি, ইতিমধ্যে পরিবর্তমান মানুষের ইতিহাস তাহাকে স্পর্শ করে নাই। কিন্তু সে অবন্তী, সে বিদিশা কোথায়? মেঘদূতের মেঘ প্রতিবৎসর চিরনূতন চিরপুরাতন হইয়া দেখা দেয়–বিক্রমাদিত্যের যে উজ্জয়িনী মেঘের চেয়ে দৃঢ় ছিল, বিনষ্ট স্বপ্নের মতো তাহাকে আর ইচ্ছা করিলে গড়িবার জো নাই।
মেঘদূত ছাড়া নববর্ষার কাব্য কোনো সাহিত্যে কোথাও নাই। ইহাতে বর্ষার সমস্ত অন্তর্বেদনা নিত্যকালের ভাষায় লিখিত হইয়া গেছে। প্রকৃতির সাংবাৎসরিক মেঘোৎসবের অনির্বচনীয় কবিত্ব-গাথা মানবের ভাষায় বাঁধা পড়িলাম।” (–বিচিত্র প্রবন্ধ)!
বিশ্ববৌদ্ধ পুরস্কার প্রাপ্ত প্রখ্যাত মানবতাবাদী লেখক সোনা কান্তি বড়ুয়া (Bachelor of Arts, University of Toronto), The AuthorÕs World famous and glorious New Book entitled ÒPRE – VEDIC MOHENJODARO BUDDHISM & MEDITATION IN THE NUCLEAR AGE , (516 Pages) “ সাবেক সভাপতি, বাংলা সাহিত্য পরিষদ, টরন্টো, খ্যাতিমান ঐতিহাসিক, কথাশিল্পী, বিবিধগ্রন্থ প্রনেতা প্রবাসী কলামিষ্ঠ, লাইব্রেরীয়ান, বিশ্ববৌদ্ধ সৌভ্রতৃত্ব পত্রিকার সহ সম্পাদক এবং জাতিসংঘে বিশ্ববৌদ্ধ প্রতিনিধি