অনলাইন ডেস্ক : তীব্র সমালোচনার মুখে পদত্যাগ করেছেন কানাডার স্পিকার অ্যান্থনি রোটা। এজন্য নিজের ভুল স্বীকারসহ ক্ষমা প্রার্থনাও করেছেন তিনি।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ইউক্রেনে নাৎসি বাহিনীর হয়ে যুদ্ধ করা এক ব্যক্তিকে পার্লামেন্টে আমন্ত্রণ জানিয়ে ‘কানাডীয় বীর’ বলে সম্বোধন করায় তাকে নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। পরে পদত্যগ করতে বাধ্য হন তিনি।
কানাডার পার্লামেন্টে রোটা বলেন, অবশ্যই আমাকে স্পিকারের পদ থেকে সরে যেতে হবে। আমি আমার গভীর অনুশোচনা পুনর্ব্যক্ত করছি।
বিবিসি বলেছে, ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়েও পার পাননি রোটা। তার পদত্যাগের দাবি ওঠে। প্রথমে তিনি রাজি না হলেও ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের সঙ্গে দেখা করার পর গত মঙ্গলবার পদত্যাগ করেন।
ইয়ারোস্লাভ হানকা নামে ৯৮ বছর বয়সি এই নাৎসি বাহিনীর অধীন স্বেচ্ছাসেবক ইউনিট ১৪ ওয়াফেন-এসএস গ্রেনাডিয়ার ডিভিশনে ছিলেন। এ ইউনিটের বেশিরভাগ সদস্যই ছিলেন ইউক্রেনীয়। এ ইউনিটের বিরুদ্ধে পোল্যান্ডের বেসামরিক নাগরিক ও ইহুদিদের হত্যার অভিযোগ থাকলেও ট্রাইব্যুনালে যুদ্ধাপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত হননি।
দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ঘটনার সূত্রপাত ঘটে গত শুক্রবার কানাডার পার্লামেন্টে। সেদিন কানাডার পার্লামেন্টের বিশেষ অধিবেশনে হাজির হয়েছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। হানকাকেও আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন অ্যান্থনি রোটা।
বক্তব্যের একপর্যায়ে তাকে ‘কানাডীয় বীর’ বলে প্রশংসা করেন স্পিকার। পার্লামেন্টের সবাই উঠে দাঁড়িয়ে অভ্যর্থনাও (স্ট্যান্ডিং ওভেশন) জানান হানকাকে। জেলেনস্কির উদ্দেশে দাঁড়িয়ে হানকা স্যালুট দিলে তিনিও হাত নেড়ে পালটা সম্মান জানান। এ ঘটনা বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড় তোলে। সমালোচনা শুরু হলে রোটা জানান, তিনি হানকার নাৎসি সংশ্লিষ্টতার কথা জানতেন না।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো গত সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, যা ঘটেছে তা অত্যন্ত হতাশাজনক। ঘটনাটি কানাডার পার্লামেন্ট এবং সব কানাডীয়দের জন্য খুবই বিব্রতকর।
এ খবরের পর পোল্যান্ড সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, তারা কানাডা থেকে হানকাকে প্রত্যর্পণের উদ্যোগ নেবে।