অনলাইন ডেস্ক : বাইরের তাপমাত্রা হিমাংকের ১০-১২ ডিগ্রী নীচে। কনকনে এই শীতকে উপক্ষো করেই মানুষের ঢল যেনো নাথান ফিলিপ স্কয়ারে। ডাউন টাউন টরন্টোর প্রাণকেন্দ্র সিটি হল চত্বর এটি। আজ সন্ধ্যায় এই স্কয়ার থেকেই আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করবে আলোর মিছিল- Cavalcade of Lights.
কানাডায় এই সময়টাকে বলা হয় ‘হলি ডে সিজন’- ছুটির মৌসুম। ছুটির মৌসুমটাকেও উৎসবে রুপান্তরিত করেছে কানাডীয়ানরা, জৌলুসময় উদযাপনের বিষয় বানিয়ে নিয়েছে তারা। হলি যে সিজনকে সামনে রেখে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথম আলো প্রজ্জ্বলনের সূচনা হবে আজ, তার স্বাক্ষী হতে এতো মানুষের সমাগম।
নাথান ফিলিপ স্কয়ারে বসানো হয়েছে ৬০ ফুটের বিশালাকার ক্রিসমাস ট্রি। সাড়ে পাঁচ হাজারের বেশি লাইট সাজানো হয়েছে সিটি হলের ট্ওায়ার, ভবন আর এলাকা জুড়ে।পাঁচ শতের বেশি অলংকার বসানো হয়েছে এখানে সেখানে। আহা সেকি আয়োজন !
কুইন্স সাব্ওয়ে স্টেশন থেকে নামতেই যেনো মানুষের গ্রোত। সেই গ্রোত ঠেলে ঠেলে আমাদের তেরোজনের একটি দল গিয়ে মিশে যাই নাথান ফিলিপ স্কয়ারের গ্রোতের সাথে। মঞ্চে তখন কানাডীয়ান শিল্পীদের সুরের মূর্চ্ছনা।
সোয়া আটটার দিকে হঠাৎ যেনো থেমে যায় সুরের মূর্চ্ছনা, মাইকে ভেসে আসে কাউন্ট ডাউন- ৯, ৮,৭,৬ৃৃ..। পুরো নাথান ফিলিপ স্কয়ার যেনো এক সাথে হেসে ওঠে রঙিন আলোয়, উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে পুরো এলাকা। আলোর বন্যায় অবগাহন করতে করতে সমবেত নাগরিকরা আবার ডুবে যান সুরের মূর্চ্ছনায়। রাত সাড়ে নয়টায় ডাউন টাউন টরন্টোর সুরম্য অট্রালিকা ভেদ করে পুরো আকাশে যেনো শুরু হয় আলোর খেলা। টানা কয়েক মিনিটের মন মাতানো ফায়ার ওয়ার্কস যেনো টরন্টোর আকাশে আকাশে ছড়িয়ে অন্ধকার বিনাশী আলোর বার্তা। জানিয়ে দেয়- অন্ধকার নয়- আগামীর দিনগুলো আলোয় আলোয় উদ্ভাসিত হবার দিন, চারদিকে আলো ছড়িয়ে দেয়ার দিন। নতুনদেশ ডটকম