Home আন্তর্জাতিক নাগরিকদের অস্ত্র হাতে তুলে নেওয়ার আহ্বান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের

নাগরিকদের অস্ত্র হাতে তুলে নেওয়ার আহ্বান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের

অনলাইন ডেস্ক : অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যোগ দিতে দেশের প্রাপ্তবয়স্ক ও সক্ষম সব নাগরিকের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লোদিমির জেলেনস্কি। বৃহস্পতিবার মস্কোর সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার পর এক টেলিভিশন ভাষণে নাগরিকদের লড়াইয়ে যোগ দেওয়ার এই আহ্বান জানান তিনি।

রুশ সৈন্যদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দেশের জনগণকে অস্ত্র হাতে তুলে নেওয়ার পাশাপাশি ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীকে সহায়তার আহ্বান জানিয়েছেন জেলেনস্কি। এছাড়া ইউক্রেনকে রক্ষায় ইচ্ছুক কারো ওপর পূর্বে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়ে থাকলে এখন তা প্রত্যাহার করে নেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তিনি।

তিনি বলেছেন, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রুশ হামলা নাৎসি আক্রমণের মতোই। ইউক্রেনে হামলার প্রতিবাদ জানাতে রাশিয়ার নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, শত্রুরা গুরুতর ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে এবং এই ক্ষতি আরও বাড়বে। দেশের সরকার ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ইচ্ছুক প্রত্যেকের কাছে ‘ইতোমধ্যে অস্ত্র বিতরণ শুরু’ করেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সামরিক অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দেওয়ার পর ইউক্রেনের কয়েকটি শহরে বিভিন্ন দিক থেকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী। আক্রমণ শুরুর প্রথম এক ঘণ্টায় ইউক্রেনের ৪০ জনের বেশি সৈন্য এবং ১০ বেসামরিক নাগরিকের প্রাণহানি ঘটেছে। অন্যদিকে, ইউক্রেনে বলছে, পাল্টা প্রতিরোধে রাশিয়ার অন্তত ৫০ দখলদার সৈন্য নিহত হয়েছে। এছাড়া ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে রাশিয়ার পাঁচটি বিমান এবং একটি হেলিকপ্টার ভূপাতিত করার দাবি জানিয়েছে দেশটির সামরিক বাহিনী। পরবর্তীতে আরও একটি বিমান ধ্বংস করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়।

সদ্য স্বাধীনতার স্বীকৃতি দেওয়া ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় গণপ্রজাতন্ত্রী দনেৎস্ক এবং লুহানস্ককে কিয়েভের আগ্রাসন থেকে রক্ষার জন্য দেশটিতে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরুর নির্দেশ দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ইউক্রেন দখলে নেওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই বলে বৃহস্পতিবার দাবি করেছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে পুতিন বলেছেন, সামরিক অভিযানের চূড়ান্ত উদ্দেশ্য হলো— গত আট বছর ধরে কিয়েভ শাসকদের গণহত্যার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হওয়া লোকজনকে রক্ষা করা। একই সঙ্গে ইউক্রেনকে অসামরিকীকরণ এবং নাৎসিবাদমুক্ত করবে মস্কো। এছাড়া যারা বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে বহুমুখী নৃশংসতা চালিয়েছে তাদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে।

তিনি বলেন, ইউক্রেনের পুরো ভূখণ্ড দখলে নেওয়ার কোনো সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা নেই মস্কোর। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, আমরা কারো ওপর জোর করে কোনো কিছু আরোপ করতে যাচ্ছি না। কিয়েভের সৈন্যরা এখনো রাশিয়ার স্বাধীন ঘোষণা করা দনেৎস্ক এবং লুহানস্ক অঞ্চলের বিশাল অংশের নিয়ন্ত্রণ করছে।

সূত্র: আরটি, এএফপি, রয়টার্স, বিবি

Exit mobile version