অনলাইন ডেস্ক : জানুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ডালহৌসি ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলাম্বিয়া, ইউনিভার্সিটি অব গুয়েল্ফ এবং ইউনিভার্সিটি অব সাস্কেচুয়ান তাদের বার্ষিক ‘কানাডা’স ফুড প্রাইস রিপোর্ট’ প্রকাশ করেছে। তাতে বলা হয়েছে, নতুন বছরে নিত্য প্রয়োজনীয় খাবার কেনার জন্য কানাডিয়ানদের গত দুই বছরের মত বেশি খরচ করতে হবে। তবে মূল্যস্ফীতির হার গত বছরগুলোর তুলনায় কিছুটা কম থাকায় এ বছরে খাদ্যের দাম ২.৫ থেকে ৪.৫ শতাংশ বাড়তে পারে। উল্লেখ্য, আগের দুই বছরে এই হার অনেক বেশি ছিল, যা কানাডার সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনে এক নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৪ সালে চার সদস্যের একটি পরিবারকে খাবার বাবদ ৭০০ ডলার অতিরিক্ত ব্যয় করতে হতে পারে। ২০২৩ সালে খাবার বাবদ চার সদস্যের একটি পরিবারের বার্ষিক খরচ হিসাব করা হয়েছিল ১৬ হাজার ২৯৭ দশমিক ২০ ডলার। প্রকল্প প্রধান এবং ডালহৌসির এগ্রি-ফুড অ্যানালিটিকস ল্যাবের পরিচালক সিলভেইন চার্লেবোয়িস সিটিভি নিউজ টরন্টোকে বলেন, মূল্যস্ফীতির প্রসঙ্গ এলে অন্টারিওকে আমরা গড়পড়তা প্রদেশ হিসেবে ধরতে পারি।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, বেকারি, মাংস ও সবজির দাম সবচেয়ে বেশি ৫ থেকে ৭ শতাংশ বাড়তে পারে। চার্লেবোয়িস বলেন, খাবার বাবদ অর্থ সাশ্রয় করায় ২০২৪ সালের প্রধান ভাবনা বলে আমি মনে করি। আপনি যদি অপেক্ষা করেন এবং নজর রাখেন তাহলে আরও বেশি ছাড় দেখতে পাবেন। ২০২৩ সালের দ্বিতীয়ার্ধে আমরা খাদ্য মূল্যস্ফীতি অব্যাহতভাবে কমতে দেখেছি। শুকনা খাবারের ক্ষেত্রে আমরা আরও বেশি ছাড়ের প্রত্যাশা করছি। এসব পণ্যে মুনাফা আঁটোসাঁটো হয়ে আসছে।
প্রতিবেদনের অন্যতম সদস্য ও গুয়েলফ বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি ছাত্রী ক্রিস্টিনা কুপফারসমিড বলেছেন, ‘এটি এক দিকে ভাল খবর অন্য দিকে খারাপ খবর। সুসংবাদটি হল এটি গত বছরের মতো বাড়ছে না – আমি জানি গত বছরটি অনেকের জন্য একটি সত্যিকারের সংকটের বছর ছিল। আমরা সত্যিই কানাডায় ব্যাপকভাবে ক্রয়ক্ষমতা সংকটের সম্মুখীন হয়েছি। কিন্তু খারাপ খবর হল, দাম এখনও বাড়তে থাকবে; বিশেষ করে শাকসবজি, মাংস এবং বেকারির মতো পণ্যগুলোর।’ সূত্র : সিটিভি নিউজ