অনলাইন ডেস্ক : বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ছবি: সংগৃহীত
ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সোশ্যাল মিডিয়ায় বক্তব্য রাখাকে কেন্দ্র করে ফের কূটনৈতিক উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে। হাসিনার বক্তব্যকে বানোয়াট ও উস্কানিমূলক অভিহিত করে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানিয়ে ভারতের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারকে তলব করেছে বাংলাদেশ।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতে অবস্থানরত বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও মানবতাবিরোধী অপরাধে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি শেখ হাসিনা যেন বক্তব্য না দেন, সেজন্য ঢাকার ভারতীয় ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার পবন বাধেকে তলব করে প্রতিবাদ নোট দেয়ার পাশাপাশি আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ। এতে করে ঢাকা ও নয়াদিল্লির মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনা আবারও বেড়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ছাত্র-জনতার ব্যাপক আন্দোলন ও গণবিপ্লবের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে পালাতে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। সম্প্রতি ফেসবুক লাইভে তিনি বক্তব্য দেন। আর এটিকে কেন্দ্র করে ঢাকার ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা।
ভারতীয় ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারের কাছে দেয়া প্রতিবাদ নোটে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় “গভীর উদ্বেগ, হতাশা এবং গুরুতর আপত্তি” প্রকাশ করেছে। হাসিনার বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য-বিবৃতিগুলো ঢাকা-দিল্লির মধ্যে সুস্থ সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য সহায়ক নয় বলেও উল্লেখ করা হয়েছে এতে।
এছাড়া ভারতে থাকাকালীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং অন্যান্য যোগাযোগ চ্যানেলের মাধ্যমে হাসিনাকে মিথ্যা ও উস্কানিমূলক বিবৃতি দেয়া থেকে বিরত রাখতে, পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও বোঝাপড়ার মনোভাব নিয়ে অবিলম্বে এবং যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার জন্য ভারতকে আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।