সোনা কান্তি বড়ুয়া : সকল ধর্মের মানব ধর্ম বিশ্বমৈত্রী! সকল ধর্মের বিশ্বমৈত্রীতে বিদ্বেষটাই ধর্মান্ধদের অধর্ম! অহিংসায় মানবাধিকারের মানব ধর্ম! অহিংসা ধর্ম এবং হিংসা অধর্ম! সাতচল্লিশে ধর্মের জন্য হিন্দু মুসলমান রাজনীতিতে মানুষ জবাই করে ভারত ও পাকিস্তান দ্বিখন্ডিত হয়ে গেল! শুধুমাত্র ধর্মের নামে বাংলাদেশ ভারত ও পাকিস্তানে মানব সন্তান হত্যা ট্রাজেডি কেন? ১৯৭১ সালে পাকিস্তান বাংলাদেশ ৩০ লাখ মানুষ হত্যা, ২ লাখ নারী ধর্ষণ এবং ১ কোটি মানুষের দেশান্তরিত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে, যার অধিকাংশের সঙ্গে জামায়াতের জঙ্গিরা জড়িত। বাংলাদেশে ইসলামের অপব্যবহার তোএক অপ্রিয় সত্য কথা। মৌলবাদীরা দেশকে তিলে তিলে ধ্বংস করে চলেছে, এই কি ইসলাম? ধর্মান্ধ ধর্ম বিক্রির জিনিস নয়! সাতচল্লিশে ধর্মের নামে মানুষ জবাই করা হ’ল! আমাদের জাতীয় বিবেকের জবাবদিহিতার শক্তি মরে ধর্ম নামক বিভিন্নভয় ভীতির কবলে। ধর্মের জন্য মানুষ জবাই করা হয় কেন?
বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানে ধর্মের নামে মানুষ জবাই করা হয় কেন? ব্রাহ্মণ কিংবা অন্যান্য প্রতারণাকারী লোভী (হিন্দু ও মুসলমান রাজনীতির POLITICAL PARTY) ধর্মগুরুরষ (জামাত) ধর্ম বিক্রি করে একটা শ্রেণি LOTS OF MONEY রোজগার করবে, এটা হতে পারে না। ধর্মান্ধ POLITICAL ধর্ম বিক্রয়যোগ্য নয়, এটা মনে রাখতে হবে! ধর্মের নামে বাংলাদেশ ভারত ও পাকিস্তানে মানুষ জবাই করা হয় কেন? জামায়াত-শিবিরসহ সমমনা দলগুলো, ভারত ব্রাহ্মণ কিংবা অন্যান্য প্রতারণাকারী লোভী ধর্মগুরুরষ ধর্ম বিক্রি করে (MAKING LOT OF MONEY) একটা শ্রেণি রোজগার করবে, এটা হতে পারে না।
২০১৮ সালের ২০ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে কংগ্রেসম্যান জিম ব্যাংক জামায়াত-শিবিরকে সন্ত্রাসী সংগঠন আখ্যা দিয়ে একটি প্রস্তাব জমা দিয়েছেন উল্লেখ করে এতে আরও বলা হয়েছে, “যেখানে জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্র শিবিরের বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিবরণ দিয়ে স্টেট ডিপার্টমেন্ট ও ইউএসএইডকে নির্দিষ্টভাবে বলা হয়েছে- জামায়াত-শিবিরসহ সমমনা দলগুলোকে যেন কোনো রকম প্রশ্রয় দেওয়া না হয়। এতে আরও বলা হয়েছে- ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে এবং ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছে। স্বাধীনতার মূল্য দিতে গিয়ে ৩০ লাখ মৃত্যু, ২ লাখ নারী ধর্ষণ এবং ১ কোটি মানুষের দেশান্তরিত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে, যার অধিকাংশের সঙ্গে জামায়াতের জঙ্গিরা জড়িত।
মার্কিন আইনপ্রণেতার এই বিলে আরও বলা হয়েছে- ‘বিগত নির্বাচনগুলোতে ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্র শিবিরের হামলার শিকার হয়েছে, যার ফলে নভেম্বর ২০১৩ থেকে জানুয়ারি ২০১৪-এর ভেতর ৪৯৫টি হিন্দু বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ৫৮৫টি দোকান আক্রান্ত ও লুণ্ঠিত হয়েছে এবং ১৬৯টি মন্দির ধ্বংস হয়েছে।’ ‘জিম ব্যাংকের এই বিলকে স্বাগত জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ‘মিডলইস্ট ফোরাম’ বলেছে, জামায়াতে ইসলামী একটি ভয়ঙ্কর প্রভাবশালী গোষ্ঠী, যাদের সন্ত্রাসের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে।’
বিজ্ঞানবাদী গৌতমবুদ্ধ সবকিছু ঘটার পেছনে কার্য-কারণ তত্বের (PRATITYA SAMUPPADA AND RELATED PARTICLES OF KARMA AND CONSCIOUSNES OF UNIVERSAL SYSTEMS) সম্পর্ক দেখিয়েছেন, সেখানে আশীর্বাদ ও অভিশাপের যথাক্রমে প্রলোভন ও ভয় ছড়ায় বিজ্ঞানবাদী বুদ্ধের নাম বিক্রি করে খাওয়া ধম্মগুরুরা। ধর্মান্ধতার কারণেই পৃথিবীতে ধর্মগুরুদের প্রতারণার দোকান রমরমা চলছে। পৃথিবীতে যত ভয়, মিথ্যা দৃষ্টি, অন্ধবিশ্বাস, অন্ধ ভক্তি, অন্ধ শ্রদ্ধার আবিস্কারক হলেন তথাকথিত ধর্মগুরু ও তাঁদের অন্ধ অনুসারীরা।
ক্ষেতের মধ্যে ক্ষেতের ফসল রক্ষার জন্য মনুষ্য আকৃতির পুতুল বসিয়ে যেমন বন্য পশু-পক্ষীদেরকে ডয় বা ভয় দেখানো হয়, তদ্রূপ তথাকথিত ধর্মগুরুরাও বিভিন্ন কাল্পনিক আল্লাহ, ঈশ্বর, খোদা, গড বা দেব-দেবীর আকৃতি বানিয়েও লোকদেরকে ভয় দেখিয়ে নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধির ব্যবস্থা করে যাচ্ছে। ব্রাহ্মণ কিংবা অন্যান্য প্রতারণাকারী লোভী ধর্মগুরুদের মত ধর্মের নামে ভয় ঢুকানোর কাজে বিজ্ঞানবাদী ও বাস্তববাদী বুদ্ধের অনুসারী ধম্মগুরাও পেছনে নেই। সমানতালে তাঁরাও এগিয়ে চলছেন। আমরা প্রায় সময় দেখে ও শুনে আসছি যে, যদি কেহ সামান্য হোঁচট খেয়ে ব্যথা পেলেও তাঁকে পছন্দ না করা তখন কোন না কোন তথাকথিত ধম্মগুরু জোরের সাথে বলে উঠেন যে, অমুকদিন সে আমাকে এরূপ বলার কারণে বা আমার সাথে এরূপ করার কারণে তার এরূপ দুর্দশা হয়েছে। ইহা শুনে তাঁর অন্ধানুকরণকারীরা এগুলি আরও জোরেসোরে প্রচার করতে থাকেন। এভাবে একদিকে যেমন তারা ধর্মের নামে অন্ধবিশ্বাস ছড়িয়ে মানুষের মধ্যে ভয় ডুকিয়ে দেয়, অন্যদিকে প্রতারক ধর্মগুরুদের রমরমা ব্যবসা চালাতেও ভরপুর সহায়তা করে থাকে। (Varasambodhi Mahathero)১”
বাংলাদেশে আদর্শবান ধর্ম নিয়ে নাদিয়া সুলতানা পুরবী! বিংশ শতাব্দীর সেরা মানুষ (টাইম ম্যাগাজিন মতে) অ্যালবার্ট আইনস্টাইন (১৮৭৯-১৯৫৫), “Science and Religion” ২২৫ নম্বর প্রবন্ধ (১৯৪১) নিউইয়র্কে বিজ্ঞান, দর্শন ও ধর্ম বিষয়ক সম্মেলনে উক্তি, “ধর্মহীন বিজ্ঞান খোঁড়া, বিজ্ঞানহীন ধর্ম অন্ধ।” বাংলাদেশে নাদিয়া সুলতানা পুরবীর প্রসঙ্গ কথন, “গৌতম বুদ্ধ প্রার্থণা করেছেন- বিশ্বের সকল প্রাণী (“সর্ব্বে সন্তা) সুখিতা ভবন্তু, সর্ব্বে সন্তু নিরাময় (বিশ্বের সকল প্রাণী সুখী হোক, নিরাময়ে থাকুক)”। গৌতুম বুদ্ধের এ প্রাথর্ণায় শুধু বৌদ্ধদের সুখ কামনা করা হয়নি, সকল প্রাণী বলতে কীটপতঙ্গ থেকে ধর্ষক ও অসভ্য মানুষ জবাই করা মুমিন মুসলমানও রয়েছে।”
২০১৯ সালে মুসলমান রচিত ইসলাম ধর্মের পাঠ্য বইতে (Class Five Pages 16 & 17) বলছে “অমুসলিমরা ‘মিথ্যাবাদী’, ‘লোভী’, ‘পশুর অধম’ – শেখাচ্ছে বইসরকারি পাঠ্যবইয়ে অমুসলিমদেরকে যেভাবে তুলে ধরা হয়েছে, তা নিতান্তই আপত্তিকর এবং বিব্রতকরও বটে।’
শুধুমাত্র ধর্মের নামে ভারত ও পাকিস্তানে মানব সন্তান হত্যা! ধর্ম IS PEACE BUT HINDUS AND MUSLIMS MADE RELIGION AS THE POLITICAL POISON OF MANKIND. ভারত ও পাকিস্তান MEAN ট্রাজেডি OF MANKIND. পাকিস্তানের বাঙালি হত্যাযজ্ঞই কি ধর্মান্ধ ইসলাম? হিংসা ও লোভের নাম ধর্ম নয়! বাংলাদেশ থেকে বিহারী শরণার্থী পাকিস্তান নিচ্ছে না কেন? রোহিঙ্গা নিয়ে পাকিস্তান ও ইরানের জামাত শুধূ কুম্ভীরাশ্র“ বর্ষন করছে।
রামুর বৌদ্ধপল্লী ট্র্যাজেডির ১ বছর! কোরাণের নামে বাংলাদেশে আক্রমণের শিকার বৌদ্ধ গ্রাম ও বৌদ্ধধর্ম কেন? হিন্দুরাজনীতি বৌদ্ধধর্ম গ্রহন না করে বা বৌদ্ধ ধর্মালম্বী না হয়ে বৌদ্ধবিশ্বের প্রার্থনার জায়গা বুদ্ধগয়ায় হিন্দু রাজনীতির শিবলিঙ্গ দুর্বৃত্তপনা কেন? বাংলাদেশে বৌদ্ধ রাজত্ব ছিল! সেন আমলে সর্বগ্রাসী হিন্দু রাজনীতি HAD DESTROYED BUDDHIST PALA KINGDOM IN 1138 A. D. সেন আমলে সর্বগ্রাসী হিন্দু রাজনীতি গায়ের জোরে উচ্চবর্ণের হিন্দু শাসকগণ বৌদ্ধগণকে দলিত বানিয়েছিলেন (দেশ, ৪ মে ২০০১ কলিকাতা পৃষ্ঠা ১২)! কথাশিল্পী শওকত আলীর লেখা “প্রদোষে প্রাকৃতজন গ্রন্থে রাজনীতির ভয়াবহ বর্ণনা “তুর্কী আক্রমন অত্যাসন্ন। তবু হিন্দু সামন্ত-মহাসামন্তদের অত্যাচারের শেষ নেই। সেই অত্যাচার রুখে দাঁড়ায় কখনো অন্ত্যজেরা, কখনো বৌদ্ধেরা।” (page 50)। জগৎ জুড়ে মানব সমাজে মানবাধিকারের অহিংসায় সকল সমস্যার একমাত্র সমাধান। ভারতীয় উপমহাদেশ সাতচল্লিশে ধর্মের জন্য ভারত ও পাকিস্তান দ্বিখন্ডিত হয়ে গেল।
কানাডায় ধর্ম বিশ্বাসের কারনে একটি মুসলিম পরিবারের চার জনকে ট্রাক-চাপা দিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে ২০বছর বয়সের এক শেতাঙ্গ যুবক নাথালিয়ান ভেল্টম্যান, টরন্টোর নিকটবর্তী শহর লন্ডনে (6 June 2021)! সকল ধর্মের বিশ্বমৈত্রীতে বিদ্বেষটাই ধর্মান্ধদের অধর্ম! শেতাঙ্গ ধর্মান্ধদের ধর্ম এই বিষয়টার মধ্যে যে সা¤প্রদায?িক বিদ্বেষের মশলা আছে তা জনমানসের রন্ধ্রে রন্ধ্রে সংক্রমিত! খ্রিস্টষন চরমপন্থিরা ধর্মের ধুঁয়ো তুলে কানাডার মুসলিম হত্যা মানবজাতির ধর্ম নয়! কানাডা আমেরিকায় খ্রিস্টষন ধর্ম রাজনীতির হাতিয়ার নয় যেন! শোক ও সমবেদনা হতভাগ্য পরিবারের প্রতি!
স¤প্রতি হিজরত জঙ্গিদের ভয়ঙ্কর ষড়য়ন্ত্র পার্বত্য চট্টগ্রামকে ইসলামি পার্বত্য চট্টগ্রাম বানষতে (প্রথম আলো, ২৭ নভেম্বর ২০২২)। পার্বত্য চট্টগ্রামে চিটিংবাজ ধর্মান্ধ রাজনীতির জাল-জালিয়াতি প্রত্যহ ব্যাপকতর, প্রকটতর এবং নির্লজ্জতর! ইচ্ছাশক্তির নবউত্থান ঘটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। গত ২৬ নভেম্বর ২০২২-এ প্রধানমন্ত্রীশেখ হাসিনার সঙ্গে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবদের বৈঠকের বিষয় নিয়ে এক ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, স¤প্রতি জঙ্গিরা দেশে যে মাথাচাড়া দেওয়ার চেষ্টা করছে সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে বৈঠকে বলা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, কারণ পার্বত্য চট্টগ্রামে আপনারা দেখেছেন, একটি দলকে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। (প্রথম আলো, ২৭ নভেম্বর ২০২২)। হিজরতের নামে (হরকাতুল জিহাদ, জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি), আনসার আল ইসলামের কিছু সদস্য মিলে) ২০১৭ সালে নতুন করে এই উগ্রবাদী সংগঠনের কার্যক্রম পরিচালনা করতে থাকে। চিটিংবাজ ধর্মান্ধ এই সংগঠনটি মূলত তরুণদের দলের সদস্য হিসেবে সংগ্রহ করে এবং জিহাদের কথা বলে চরাঞ্চলে ও সীমান্তবর্তী পাহাড়ে প্রশিক্ষণ দিচ্ছিল।
পার্বত্য চট্টগ্রামে সমস্ত বিষয়েই ধর্মান্ধ জিহাদের ধর্মের সুড়সুড়ি কেন? মুসলিম রাজনীতির ভীতির কবলে চট্টগ্রাম হিজরত জঙ্গিগোষ্ঠীর হরিলুট! গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশে ১৯৭৮ থেকে ১৯৮১ সালের মধ্যে পাহাড়ীদের বেঁচে থাকার অধিকার ধ্বংস করতে জেনারেল জিয়াউর রহমান সরকার সমতল জেলা থেকে প্রায় পাঁচ লক্ষ (১১ লক্ষ) বাঙালি মুসলমান সেটেলার পাহাড়ি অঞ্চলেনিয়ে আসে, যেখানে আদিবাসী জুম্ম জাতি কয়েক শতাব্দী ধরে বসবাস করছে এই সেটেলাররা আদিবাসীদের ব্যাপক ভ‚মি অবৈধভাবে দখল করে চলেছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে সমস্ত বিষয়েই ঘুরে ফিরে সেই চিটিংবাজ ধর্মান্ধ জিহাদের ধর্মের সুড়সুড়ির শেষ কোথায়? মুসলিম রাজনীতির ভীতির কবলে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশে পাহাড়ীদের মনুষ্যত্ব কেড়ে নিতে পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ীদের ভিটে-মটিতে পাঁচ লক্ষ মুসলমান সেটেলার! মুসলমান সেটেলাররা এবং জঙ্গিরা পার্বত্য চট্টগ্রামে আদিবাসীদের ব্যাপক ভ‚মি অবৈধভাবে দখল করে চলেছে।
বাংলাদেশী আদিবাসী জুম্ম জাতি এবং বৌদ্ধগণ বিষাদ সিন্ধু বুকে নিয়ে বিরাজমান! দুর্নীতি দমন কমিশন শ্বেতপত্রে বাংলাদেশ নিয়ে রাজাকার ভন্ডদের ‘ইসলামধর্ম অপব্যবহারের’ বীজ আজ মহীরূহ হয়ে মৌলবাদী গোষ্ঠীর এতো উলঙ্গ দর্প বাংলাদেশে কেন? সকল ধর্মের বিশ্বমৈত্রীতে মুসলমান রাজনীতির বিদ্বেষটাই ধর্মান্ধদের অধর্ম! পার্বত্য চট্টগ্রামে ভ‚মির সমস্যা আরও জটিল হয়ে ওঠে। বাংলাদেশে মুসলমান রাজনীতির ভীতির কবলে হিন্দু, বৌদ্ধ ও চাকমা, মারমাসহ ১৪ উপজাতি! পার্বত্য চট্টগ্রামে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর জানমালের নিরাপত্তা বিধানে কার্যকর ও দৃশ্যমান উদ্যোগ করতে হবে।
হিন্দু মুসলমান রাজনীতিতে বৌদ্ধ হত্যাযজ্ঞ! রাজা লক্ষন সেনের মহামন্ত্রী বিশ্বাসঘাতক হলায়ুধ মিশ্র এবং বখতিয়ার খিলজির বৌদ্ধ হত্যাযজ্ঞের জন্যে বৌদ্ধগণ মুসলমান হয়েছিলেন! চর্যাপদের ২৫৬৭ (বুদ্ধাব্দ) বাংলা সাল বাদ দিয়ে বৌদ্ধগণকে নিশ্চিহ্ন করতে ১১৯২ সালে রাজা লক্ষন সেনের মহামন্ত্রী বিশ্বাসঘাতক হলায়ুধ মিশ্র হিন্দু রাষ্ট্রধর্মের নেতা হয়ে বৌদ্ধ হত্যাযজ্ঞ করতে ‘শেখ শুভোদয়া’ শীর্ষক বই লিখেছিলেন। তিনি তাঁর (হলায়ুধ মিশ্র) রচিত দিনলিপির (ডায়েরী) উক্ত বইতে বৌদ্ধ হত্যাযজ্ঞ করতে মুসলিম তুর্কী মিশনের যোদ্ধাদের সাথে মহামন্ত্রীর হলায়ুধ মিশ্র’ র গোপন ষড়যন্ত্র এবং রাজা লক্ষণ সেনকে সরিয়ে বখতিয়ার খিলজিকে বাংলার সিংহাসন আরোহনের নীলনক্সার পুঞ্জীভ‚ত লোমহর্ষকর বাস্তব ঘটনাবলী অকপটে রচনা করে স্বীকার করলেন। ১২০২ সালে রাজা লক্ষন সেনের মহামন্ত্রী হলায়ুধ মিশ্র’র বিশ্বাসঘাতকতায় বখতিয়ার খিলজি বাংলা জয় করেছিলেন! আনন্দবাজার পত্রিকার (সম্পাদকীয়, ২২ আগষ্ট, ১৯৯৩) মতে, … সেই উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা কেমন করিয়া ভুলিয়া গেলেন যে, একদা রাশি রাশি বৌদ্ধ ধর্মস্থান ধ্বংস করিয়া একদিন গড়িয়া উঠিয়াছিল রাশি রাশি হিন্দু মন্দির।”
মুসলমান নয় বলে পার্বত্য চট্টগ্রামের ৫২টি বৎসরের ইতিহাস মুমূর্ষু আদিবাসী জুম্ম নর-নারীর আর্তনাদের ইতিহাস। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং স্বাধীন বিবেকের ঊর্ধ্বে গিয়ে অন্ধভাবে ২০২২ সালে ৯ আগস্ট আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস উপলক্ষে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ‘আদিবাসী’ শব্দ ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে! ইসলাম ধর্মের বিকৃত ও মনগড়া ব্যাখ্যাদানকারী উগ্রবাদীদের প্ররোচনা ও পরিকল্পনা রয়েছে এগুলোর পেছনে। যারা এ ধরনের সন্ত্রাসী হত্যাকাÐ পরিকল্পনা করছে, প্রশিক্ষণ দিচ্ছে, অর্থায়ন করছে এবং বাস্তবে ঘটাচ্ছে এরা প্রায় সবাই দেখা যাচ্ছে ইসলাম ধর্মের অনুশাসনের অপব্যাখ্যাকারী ও বিকৃত ব্যাখ্যাদানকারী বিপথগামী ব্যক্তি। আদিবাসী জুম্ম নর নারী চিটিংবাজ ধর্মান্ধ সেটেলার মুসলমান নয় বলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় পার্বত্য চট্টগ্রামে শাসনকর্তা সামরিক কর্তৃত্ব কেন? ইসলামি বাংলাদেশে মুসলমানদের শাসনকর্তা সামরিক কর্তৃত্ব নয়! আমরা তো মুক্তিযুদ্ধ করেছি। যুদ্ধের ভেতর দিয়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছি।
সাংসদ রাশেদ খান মেনন বলেন, “পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের লড়াই কেবল পাহাড়িদের নয়, এটা সম্মিলিত একটি লড়াই। পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের প্রশ্নে প্রথম যে ধারাটি ছিল সেটা হল, পার্বত্য চট্টগ্রাম আদিবাসী অধ্যুষিত অঞ্চল হবে এবং তার বৈশিষ্ট সংরক্ষণ করা হবে। কিন্তু তা আজও হয়নি। আশির দশকে নদীভাঙা ও চরভাঙা মানুষকে যেভাবে পার্বত্য চট্টগ্রামে অভিবাসিত করা হল তাই ছিল পাহাড়ের জনমিতি পরিবর্তনের প্রথম ধাপ।” এখন পাহাড়ের যে জনমিতি তার কারণে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন হচ্ছে না এবং এইসব অভিবাসিত বাঙালিদেরকে পাহাড়ের বাইরে পুনর্বাসিত করার জেন্টলমেন্ট এগ্রিমেন্ট থাকলেও তা করা হচ্ছে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
২০২২ সালে ৯ আগস্ট আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস উপলক্ষে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ‘আদিবাসী’ শব্দ ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে গত ১৯, জুলাই ২০২২)! প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ২০০৯ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন সময়ে আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস উপলক্ষ্যে ‘আদিবাসী’ শব্দ উল্লেখ করে শুভেচ্ছা বাণী দিয়েছিলেন। এ লজ্জা কার? আর কত কাল এই ঘৃণ্য রাজনীতি সহ্য করতে হবে? ২১ জুলাই ভোট গণনা শেষে ভারতের ১৫তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হলেন দ্রৌপদী মুর্মু। তিনি দেশটির প্রথম আদিবাসী রাষ্ট্রপতি। ভারতে আদিবাসী স¤প্রদায় থেকে রাস্ট্রপতি বানাচ্ছে আর বাংলাদেশে আদিবাসী শব্দটি ও বিলুপ্ত করে দিয়েছে। ২৪ বছর পাকিস্তান সরকার শাসন করে কাপ্তাই জলবিদ্যুত প্রকল্প বানিয়ে লক্ষাধিক লোক উদ্ভাস্তু করল, ১৯০০ সালের শাসন ব্যবস্থা টুকুরো টুকরো করে দিল। ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হয়ে ৫০ বছর পর আদিবাসী জনগোষ্ঠীর অবস্থান একদম প্রান্তিক পর্যায়ের শেষ অংশে ঠেকেছে।
জঙ্গী, বর্ণবাদী মৌলবাদীরা শান্তিকামী মুসলমান জনতাসহ বিশ্বে সংখ্যালঘুদেরকে দুঃখের দহনে করুন রোদনে আর কতকাল ধরে তিলে তিলে ধ্বংস করবে? মানবজাতির হৃদয়াসনে মানবতা চির দেদীপ্যমান হয়ে ছিল, আছে এবং থাকবে। চাকমা, মারমা সহ ১৪ আদিবাসী COMMUNITIES মুসলমান নয় বলে ধর্মান্ধ মুসলমান হিংস্র জীব-জানোয়ারের চেয়েও ভয়ঙ্কর মানুষরূপী কোন জীব! দীর্ঘ ৫২টি বছর ধরে সামরিক শাসনের মধ্য দিয়ে চলছে পার্বত্য চট্টগ্রাম। হত্যা, ধর্ষণ, লুন্ঠন, সম্পদ হানি থেকে শুরু করে লুঠতরাজ চলছে। দীর্ঘ ৫২টি বৎসরের অত্যাচারের করুণ ইতিহাস, জুম্মদের রক্তের ইতিহাস।
বিশ্ববৌদ্ধ পুরস্কার প্রাপ্ত প্রখ্যাত মানবতাবাদী লেখক সোনা কান্তি বড়ুয়া (Bachelor of Arts, University of Toronto), The AuthorÕs World famous and glorious New Book entitled ÒPRE – VEDIC MOHENJODARO BUDDHISM & MEDITATION IN THE NUCLEAR AGE , (516 Pages)“ সাবেক সভাপতি, বাংলা সাহিত্য পরিষদ, টরন্টো, খ্যাতিমান ঐতিহাসিক, কথাশিল্পী, বিবিধগ্রন্থ প্রনেতা প্রবাসী কলামিষ্ঠ, লাইব্রেরীয়ান, বিশ্ববৌদ্ধ সৌভ্রতৃত্ব পত্রিকার সহ সম্পাদক এবং জাতিসংঘে বিশ্ববৌদ্ধ প্রতিনিধি!