Home কলাম ধর্মান্ধ হিন্দু মুসলমানদের একদিন ইতিহাসের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে

ধর্মান্ধ হিন্দু মুসলমানদের একদিন ইতিহাসের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে

সোনা কান্তি বড়ুয়া : ইতিহাসের নিকট কোনো অপরাধের ক্ষমা নাই। যুদ্ধ মূলত আয়োজিত হয় মানুষের মনে। স¤প্রতি মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যকারী ভারতের রাজনীতিবিদ বিজেপির বহিস্কৃত নেত্রী নূপুর শর্মার পক্ষে হিন্দু রাহুল দেব ফেসবুকে পোস্ট দেওয়াকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের নড়াইলে (SAMAKAL, 18 June 2022) ব্যাপক সংঘর্ষ ও তিন হিন্দু শিক্ষকের মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দিয়েছেন মুসলমান শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ টিয়ার গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। আটক করা হয়েছে রাহুল দেব অপি নামের পোস্টদাতা এক কলেজ ছাত্রকে। শনিবার সদর উপজেলার মির্জাপুর আদর্শ কলেজ ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে। এতে এক কলেজ শিক্ষকসহ অন্তত ১০ ছাত্র ও স্থানীয় বাসিন্দা এবং ২ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।

ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপির দুই মুখপাত্রের মহানবী (সা.) কে নিয়ে করা বিতর্কিত মন্তব্যে দেশটির মুসলিমদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের জন্ম দেয়। তারা ওই মন্তব্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও করে। ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপির দুই মুখপাত্রের মহানবী (সা.) কে নিয়ে করা বিতর্কিত মন্তব্যে দেশটির মুসলিমদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের জন্ম দেয়। তারা ওই মন্তব্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও করে। কিন্তু বিক্ষোভে নিপীড়নের অভিযোগ উঠে। এবার এই পরিপ্রেক্ষিতে কড়া বিবৃতি দিয়েছে মানবাধিকার-বিষয়ক বেসরকারি সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। সংস্থাটি ভারত সরকারকে মুসলিমদের টার্গেট না করার আহ্বান জানিয়েছে। একটি সংবাদমাধ্যমে বিজেপি মুখপাত্র নুপুর শর্মার (বর্তমানে বহিষ্কৃত) বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে আরব বিশ্বে কঠোর সমালোচনার মুখে পড়ে ভারত। একাধিক দেশ ভারতের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে বিজেপি মুখপাত্রের মন্তব্যের বিরোধিতা করে। পশ্চিম এশিয়ার একাধিক বাণিজ্যিক স্থলে ভারতীয় পণ্য বয়কট করা হয়। খবর আনন্দবাজারের June 5, 2022.

হিংসা ও লোভের নাম ধর্ম নয়! নরহত্যার ভয়ানক পরিণাম সম্পর্কে সুরা আল-মায়িদার ৩২ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে- একজন নিরীহ ও নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করা গোটা মানবজাতিকে হত্যা করবারই নামান্তর। আর কোনো ব্যক্তি যদি কাহারো প্রাণ রক্ষাকরেন, তিনি যেন পৃথিবীর সকল মানুষের প্রাণ রক্ষা করলেন। এই কথা দ্বারা অনুধাবন করা যায় যে, পৃথিবীতে প্রতিটি মানবজন্ম কতখানি গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটি মানুষই ইউনিক এবং অনন্য। প্রতিটি মানুষের রয়েছে বাঁচিবার অধিকার। সকল ধর্মেই এই আপ্তবাক্য স্পষ্ট করা হয়েছে যে, নরহত্যা মহাপাপ। পৃথিবী তো নিয়মশূন্য হয়ে যায় নাই। কিন্তু কিছু ক্ষমতাধর মানুষ যেন কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা করেন না।

২০০১ সালে ইসলামি জঙ্গীরা আফগানিস্থাণের বামিয়ান গৌতমবুদ্ধের মূর্তিকে ধ্বংস করেছে এবং কোরআনকে তলোয়ার বানিয়ে ধর্মান্ধ মুসলমান রচিত ফেইসবুকে কোরআনের উপর পদচিহ্ন দিয়ে রামুর বৌদ্ধ বিহার ভাঙার ধর্মান্ধ মহোৎসব! জামাত মৌলবাদীরা ক্ষমতার মদমত্তে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে বাংলাদেশে রামুর বৌদ্ধবিহার বুদ্ধমন্দির ও বৌদ্ধ বাড়ি ধ্বংস করেছে ২০১২ সালে ২৯ শে সেপ্টেম্বর ভয়াল কালো রাতে! ১৯০৮ সালে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘পথ ও পাথেয়’ নামের একটা প্রবন্ধে লিখেছিলেন, ‘আমি যাহা করিব সকলকেই তাহা করিতেই হইবে, আমি যাহা বলিব, সকলকে তাহা বলিতেই হইবে এইরূপ বলপ্রয়োগে দেশের সমস্ত মত, ইচ্ছা ও আচরণ-বৈচিত্র্যের অপঘাত মৃত্যু তুল্য। “কিন্তু সৃষ্টির সেরা জীব হিসাবে মানুষের ইতিহাস তো অন্যরকমও হতে পারত! অসভ্য হইতে সভ্য হওয়া পর্যন্ত মানবজাতি প্রতিটি মানুষের জীবনরক্ষা তথা উপকার করবার জন্যই তো অধিক মনোযোগী হইতে পারত। কিন্তু উপকারের পরিবর্তে কেন মানুষ নিজেদের ক্ষমতা দেখাতেই অধিক অস্থির হয়েছে। মানুষের জীবনাচরণ স্ববিরোধিতায় পরিপূর্ণ। অন্যায়ভাবে মানুষ হত্যাকে সবচাইতে বড় পাপ বলিয়া হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন মহান সৃষ্টিকর্তা।

পাকিস্তান ও ভারত “ভাগ’ কথাটা এখানে রক্তে রাঙানো ১৯৪৭ সাল ১৪ আগস্ট এবং ১৫ আগস্ট! দেশভাগ ’ এখানে সর্বাত্মক : দেশের ভাগ, মানচিত্রের ভাগ, আত্মা, সম্পর্ক, যোগাযোগ, এমন কি আমার লিখিত “আমি’টির ও ভাগ, পার্টিশন আমার সর্বস্ব; আমার সত্তাকেই বিভক্ত করে রেখেছে। দেশের ভাগ, মানচিত্রের ভাগ, আত্মা, সম্পর্ক, যোগাযোগ? ক্রমাগত ঐতিহাসিক হতে থাকা পাকিস্তান ভারত পার্টিশন ধর্মীয় ও সামাজিক অবস্থানের জন্য বিপক্ষীয় জাতিকে পৃথকীকরণ করা হিন্দু মুসলমান অন্ধ সা¤প্রদায়িকতায় রক্তাক্ত পাক ভারত বিভাজন অপরাধ ছিল! পাকিস্তান ভারত পার্টিশন মানুষের মনুষ্যত্ব কেড়ে নেওয়াটাই ধর্মান্ধ হিন্দু মুসলমান! মানুষের মনুষ্যত্ব কেড়ে নেওয়াটাই কি ধর্মান্ধ হিন্দু মুসলমানদের বিভাজনের ধর্ম?

ধর্মের নামে সাতচল্লিশে ধর্মান্ধ হিন্দু মুসলমানদের অধর্ম যুদ্ধ! ভারতীয় উপমহাদেশ সাতচল্লিশে হিন্দু ও মুসলমানদের ধর্মের জন্য ভারত ও পাকিস্তান দ্বিখন্ডিত হয়ে অন্যায় ন্যায় হল, সত্য হল অসত্য, অসত্য হল সত্য, অধর্ম যুদ্ধ হল ধর্ম যুদ্ধ! সমাজের ওই বিশৃংখল অবস্থায় এই গোঁজামিল অবশ্যম্ভাবী, তাই ধর্মান্ধের হিংসা উন্মত্ত রাজনৈতিক ধর্ম মানবতাকে ধ্বংস করেছে! ধর্ম যার, যার, সংবিধান সবার’! বাংলাদেশের জন্ম লগন থেকে আমরা ইসলামের অপব্যবহার দেখেছি রাজাকারদের পাশবিক আচরনে।

প্রীতি ও প্রেমের পুন্য বাঁধনে হিন্দু মুসলমানদের মানবতায় সকল ধর্মের প্রতি নিরপেক্ষ থাকা রাষ্ট্রশক্তির বাঞ্ছনীয়! বা ষ্টেট ট্রিটস অল রিলিজিয়নস উইদ আউট ফিয়ার (ভয়) এন্ড ফেভার (আসক্তি বা ভালো লাগার কারনে)। ধর্ম কে অপব্যবহার করে মানুষ পশু হয়েছে বার বার অনেকবার। সংবিধান সমস্ত নাগরিকের রক্ষা করবে এটা সংবিধানে রয়েছে কিন্তু শাসক বা রক্ষক যদি এই ধরনের কার্যকলাপ ব্যস্ত থাকে তাহলে মানুষ বা জনগণ কোথায় যাবে? প্রীতি ও প্রেমের পুন্য বাঁধনে মনুষ্যত্বের প্রজাতন্ত্রীক নিদর্শন সংবিধান!

কোরআন নিয়ে মুসলমান রাজনীতি রামুর বৌদ্ধ বিহারে ধ্বংসযজ্ঞ করেছে ৯ বছর অতিবাহিত হলেও মামলার বিচার এখনো শুরু হয়নি। তাই মুসলমান রাজনীতি বাংলাদেশে কুমিল্লায় দূর্গা পূজা পন্ড করার লক্ষ্যে হিন্দুদের ওপর সা¤প্রদায়িক হামলা চাল্লাচ্ছে! পৃথিবীর সকল মানুষ মুসলমান বা একটা ধর্মের মানুষ হলে কি সকল সমস্যার সমাধান হবে? বাংলাদেশে রাজনীতি কোরআন নিয়ে হিন্দুদের, ধর্মে হস্তক্ষেপ করেছে’ গত ১৩।১০।২০২১ ইং তারিখে! কুমিল্লায় কোরান অবমাননার রাজনীতি গুজব ছড়িয়ে হিন্দুদের উপর চলছে ভয়াবহ সা¤প্রতিক হামলা। কোরআন নিয়ে রামুর বৌদ্ধ বিহার ও কুমিল্লা দূর্গাপূজায় ধ্বংসযজ্ঞ এই বিষয়টার মধ্যে যে সা¤প্রদায়িক বিদ্বেষের মশলা আছে তা জনমানসের রন্ধ্রে রন্ধ্রে সংক্রমিত!

হিন্দুরাজনীতি গৌতমবুদ্ধেকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যকারী এবং গৌতমবুদ্ধের পূত পবিত্র ধ্যানভূমি বুদ্ধগয়ার মহাবোধি মন্দির দখল করে রেখেছে (Temple Act 1949)! রামায়নের অযোধ্যা কান্ডের (অধ্যায়) বত্রিশ নম্বর শ্লোকে গৌতমবুদ্ধেকে চোর বলে গালাগাল কেন? রাষ্ট্র আর ধর্ম দুটো আলাদা জিনিষ। ক্ষমতার মদমত্তে মানুষের মনস্তত্ত¡ জটিল হয়ে যায়। এই জন্য বলা হয়— যুদ্ধ মূলত আয়োজিত হয় মানুষের মনে। গৌতমবুদ্ধের দশরথ জাতকে রামজন্মভূমির ইতিহাস! ড. সুনীতি কুমার চট্টোপাধ্যায় মহাশয় কলকাতার এশিয়াটিক সোসাইটির এক আলোচনা সভায় বলেছেন, “দশরথ জাতকই রামায়নের উৎস (দৈনিক বসুমতি, কলকাতা, ২ মার্চ ১৯৭৮ ইং)।” মানবতাবাদী বৌদ্ধময় ভারতবর্ষকে ধ্বংস করে ব্রাহ্মন্যবাদের হিন্দুধর্ম প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে, একথা তো সর্বজন স্বীকৃত এবং সমস্ত ঐতিহাসিক, গবেষকেরাও তা অকপটে স্বীকার করে নিয়েছেন। গোটা রামজন্মভূমির আন্দোলনটাই বকওয়াসের রাজনীতি। রাম কাহিনি নিয়ে হিন্দুরাজনীতি হিন্দু রাষ্ট্রশক্তির বলপ্রয়োগ মুসলমানদের বাবরি মসজিদ কেড়ে নিল!

ভারত সরকার ও হিন্দু রাষ্ট্রশক্তি বৌদ্ধদেররকে টার্গেট করে গৌতমবুদ্ধেকে হিন্দুদের নবম অবতার বানিয়ে প্রতিদিন বৌদ্ধদেরকে হিন্দু বানষচ্ছে by Hindu Marriage Law for Buddhist community in India! সকল ধর্মের প্রতি নিরপেক্ষ থাকা রাষ্ট্রশক্তির বাঞ্ছনীয়! ধর্মকে টার্গেট করে বাংলাদেশে হিন্দু মুসলমানদের হিংসা পুষে রাখা অমানবিক ধর্ম! আমাদের পৃথিবী তো একটাই। তা’কে তো রক্ষা করতেই হ’বে। না হ’লে মহাবিপদ কড়া নারবে সকলের দরজায়। ভারতে সা¤প্রদায়িক স¤প্রীতিতে ধর্ম যার, যার, রাষ্ট্র সবার! মনুষ্যত্ব কেড়ে নেওয়াটাই কি ধর্মান্ধ হিন্দু মুসলমানদের ধর্ম? প্রাচীনকালে দেখা যা’ ত সাধারণত, একটি একক মানুষের মনেই যুদ্ধেচ্ছষ জাগভচ্ছে । ক্রমশ তিনি তাহা ছড়া’য়া দিতেন তা ‘র গোষ্ঠীতে। এখন যারা যুদ্ধাপরাধ করছেন, যা’দের যুদ্ধোন্মাদনার জন্য হাজার হাজার নিরীহ প্রাণ বলি হচ্ছে তা’দেরও একদিন ইতিহাসের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হ’বে।
রামায়নের অযোধ্যা কান্ডের (অধ্যায়) বত্রিশ নম্বর শ্লোকে হিন্দুরাজনীতি বুদ্ধকে চোর বলে গালাগাল কেন? হিন্দুরাজনীতির বৌদ্ধ হত্যাযজ্ঞের জন্যে বৌদ্ধগণ by force মুসলমান হয়েছিলেন এবং হিন্দুধর্মের পূর্বে মহেঞ্জোদারোর প্রত্নতাত্তি¡ক বৌদ্ধ ইতিহাস! ইতিহাস চুরির চাতুর্যে রামায়নের তথ্য ফাঁস : গৌতমবুদ্ধ তাঁর ভিক্ষুসংঘকে উপদেশ প্রসঙ্গে দশরথ জাতক সমাধান করতে গিয়ে বলেছেন, “তখন (পূর্ব জন্মে) শুদ্ধোধন রাজা ছিলেন দশরথ মহারাজা, মহামায়া ছিলেন সে মাতা, রাহুলমাতা (গোপা) ছিলেন রাজকুমারী সীতা, আনন্দ ছিলেন রাজপুত্র ভরত, সারীপুত্র ছিলেন রাজপুত্র লক্ষন, বুদ্ধ পরিষদ সে পরিষদ, আমি (বুদ্ধ) ছিলাম সে রাম পন্ডিত ( দশরথ জাতক নম্বর ৪৬১, জাতক অট্টকথা, পালি টেক্সট সোসাইটি, লন্ডন)।” বৌদ্ধ প্রধান দেশ থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক মহানগরীর বিখ্যাত রাজকীয় এমারেল্ড (মরকত মনি) বুদ্ধ মন্দিরের চারিদিক জুড়ে আছে দশরথ জাতকে রামকীর্তির অভিনব চিত্রশালা। The ancient Political Hinduism পালি বর্ণমালা কে ব্রাহ্মী বর্ণমালা করেছিল কেন? বৌদ্ধদের সর্বস্ব কেড়ে নিয়ে ব্রাহ্মণ্যবাদী হিন্দুরাজনীতি তাদেরকে দলিত বানিয়ে হিন্দুধর্মের নামে নীচু জাত করে মনুষ্যত্ব কেড়ে নিল।

আমি হৃদয়ের কথা বলিতে ব্যাকুল এবং ভারতের রাঁচি, হাওড়া ও কয়েকটি স্থানে গত শুক্রবার (June 10) জুমার নামাজের পর প্রতিবাদ যেভাবে সহিংসতায় রূপান্তরিত হয়েছে, তা কমবেশি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। যদিও এর ফলে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে পুলিশ আহত হয়েছেন; অন্তত তিনজনের প্রাণহানি ঘটেছে এবং অনেকেই আহত হয়েছেন। এখনও গ্রেপ্তার না হওয়া বিজেপির সাবেক মুখপাত্রদের বিরুদ্ধেই এ প্রতিবাদ। তাঁরা যেভাবে মহানবী মুহাম্মদ (সা.)-এর বিরুদ্ধে সা¤প্রদায়িক ও আক্রমণাত্মক মন্তব্য করেছেন, তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ যথার্থ এবং এ প্রতিবাদের কারণে মুসলিম স¤প্রদায়ের মধ্যে যে ক্রোধ সৃষ্টি হয়েছে, তাও বোধগম্য। সহিংসতার ঘটনাগুলো বিচ্ছিন্ন হলেও তা সংখ্যাগরিষ্ঠ সা¤প্রদায়িক শক্তি দ্বারা পরিচালিত, যারা অন্যদের অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার বিষয়টি চিন্তা না করে বরং আরও মেরূকরণ ও বিভাজনের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। সমাজের যৌক্তিক কণ্ঠস্বরগুলো এখনও সক্রিয় রয়েছে এবং গোঁড়া মৌলবাদীদের প্রতিহত করছে।

মুসলমানদের রাজনীতি বৌদ্ধদের হাত থেকে বৌদ্ধ দেশ এবং আফগানিস্তানের বামিয়ান বুদ্ধমূর্তি কেড়ে নিল! Mr. Ashif Ikbal writes আফগানিস্তান, ইরাক, সিরিয়ার যে ভয়াবহ চিত্র আমরা বিগত দুই যুগ থেকে দেখতে পেয়েছি, সেটা কিন্তু একদিনে হয় নি। সেসব দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষের লাশ আমরা দেখেছি। দেখেছি কোটি কোটি উদ্বাস্তুর আহাজারি। ধর্মীয় উগ্রবাদকে কাজে লাগিয়েই দেশগুলোকে ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। কিন্তু কোথাও ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হতে দেখা যায়নি।. আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ কেও সেই পরিণতির দিকে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে কওমী মাদ্রাসাভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম ও তাদের সহযোগী দলগুলো। তারা দেশের সম্পদ ধ্বংস করে, মাদ্রাসার ছাত্রদেরকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়ে স্বার্থসিদ্ধির পাঁয়তারা করছে। আসুন আমরা ধর্মের প্রকৃত শিক্ষাকে ধারণ করি, এসব ধান্ধাবাজ, লেবাসধারী ধর্মব্যবসায়ীদেরকে প্রতিহত করতে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলি। কোরাণকে তলোয়ার বানিয়ে ধর্মান্ধ মুসলমান রচিত ফেইসবুকে কোরাণের উপর পদচিহ্ন দিয়ে রামুর বৌদ্ধ বিহার ভাঙার ধর্মান্ধ মহোৎসব! জামাত ও মৌলবাদীরা উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে বৌদ্ধবিহার বুদ্ধমন্দির ও বৌদ্ধ বাড়ি ধ্বংস করেছে ২০১২ সালে ২৯ শে সেপ্টেম্বর ভয়াল কালো রাতে!

সা¤প্রদায়িক স¤প্রীতির মানসে ধর্মকে রাজনীতির হাতিয়ার হিসেবে যেন ব্যবহার করা না হয়, ইহাই বাংলাদেশের আপামর (বাকি অংশ ৩৩-এর পাতায় ধ)

জনসাধারনের মত, সংবিধান ও ইচ্ছা। হিংসা ও লোভের নাম ধর্ম নয়! বঙ্গবন্ধু গোলাম আযমদের নাগরিকত্ব কেড়ে নিয়েছিলেন। এদের রাজনীতি করার অধিকার বন্ধ করে দিয়েছিলেন। তারা হত্যা, লুটপাট, লাঞ্চন, ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগ করেছিল; তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিলেন, বিচার করে শান্তি দিয়েছিলেন এমনকি পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীতে প্রকৃত অপরাধীদের বিচারের ব্যাপারেও বঙ্গবন্ধু দৃঢ় মনোভাব ব্যক্ত করেছিলেন। কিন্তু কাদের কারসাজিতে তারা শাস্তি পেল না, আশা করি সচেতন সমাজ একদিন খুঁজে বের করলেন এবং জনসমক্ষে তা প্রচার করবেন। ‘জামায়াতী এজেন্ট থেকে কওমি শিক্ষার্থীদের সতর্ক থাকার আহ্বান’ (যুগান্তর ডেস্ক , ০৬ ফেব্রæয়ারি ২০২১)!

বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমান চৌধুরী। কওমি মাদ্রাসায় ইদানীং জামায়াত-শিবিরের অনুপ্রবেশ ঘটেছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমান চৌধুরী। তিনি বলেন, অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে, দেশের ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কওমি মাদ্রাসাগুলোতে ইদানীং জামায়াত-শিবির অনুপ্রবেশ করেছে। এর ফলে কওমি মাদ্রাসায় কিছু উগ্র সা¤প্রদায়িক বক্তার আবির্ভাব ঘটেছে। তাদের বক্তব্যে ন্যূনতম শিষ্টাচার থাকে না। তারা মূলত জামায়াত-শিবিরের এজেন্ডা বাস্তবায়নে মাঠে নেমেছে। বাংলাদেশে সা¤প্রদায়িক স¤প্রীতিতে ইসলাম ধর্ম রাজনীতির হাতিয়ার নয়!

গৌতমবুদ্ধের উপদেশ ছিল, “যে আমার দেহকে দেখে সে আমাকে দেখে না, যে আমার উপদেশ মেনে চলে সে আমাকে দেখে ও মেনে চলে। “হিন্দুগণ বুদ্ধপূজা না করে ও হিন্দুরাজনীতির পান্ডাগণ গৌতমবুদ্ধের পূত পবিত্র ধ্যানভূমি বুদ্ধগয়ার মহাবোধি মন্দির দখল করে দৈনিক হিন্দুদের বিবাহ অনুষ্ঠান সহ শিবলিঙ্গের পূজা সকাল বিকাল বাদ্য যন্ত্র বাজিয়ে করার জন্যে গৌতমবুদ্ধকে হিন্দুমার্কা বিষ্ণুর নবম অবতার বানিয়ে মিথ্যা ইতিহাস রচনা করেছে। হিন্দু রাজনীতির হাতে গৌতমবুদ্ধের পূত পবিত্র ধ্যানভূমি বুদ্ধগয়া এবং “রাশি রাশি বৌদ্ধমন্দির ধ্বংস করে হিন্দু মন্দিরে বদলানো হয়েছিল (সম্পাদকীয়, আনন্দবাজার পত্রিকা, ২৩ আগষ্ট, ১৯৯৩)

দক্ষিন এশিয়া জুড়ে।” বর্ণাশ্রমবাদী হিন্দু মন্দিরে ‘বুদ্ধং সরনং গচ্ছামি’ উচ্ছারিত হয় না কেন? হিন্দু ধর্মের রাজনৈতিক ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। কোন হিন্দু মন্দিরে বুদ্ধ পূজা হয় না, তবু ও হিন্দু রাজনীতি গৌতমবুদ্ধের বুদ্ধগয়া মহাবোধি মন্দির দখল করেছে। উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা ইচ্ছা করে গুঁড়িয়ে দিয়েছে বৌদ্ধ বাড়ী সহ পুরানো বৌদ্ধ শহর (বৌদ্ধহত্যা যজ্ঞ, দেশ, ৪ মে ২০০১ পৃষ্ঠা ১২ কলকাতা)!

বৌদ্ধধর্ম কেড়ে হিন্দুরাজনীতি বৌদ্ধবিশ্বের দশরথ (৪৬১) জাতককে বদলায়ে হিন্দু রামায়ন বানিয়েছে! এবং রাম কাহিনি নিয়ে ভারত রাষ্ট্রশক্তির বলপ্রয়োগ মুসলমানদের বাবরি মসজিদ ভেঙেছে! হিন্দু রাষ্ট্রশক্তি গৌতমবুদ্ধকে কে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যে হিন্দু রামায়নের অযোধ্যা কান্ডের (অধ্যায়) বত্রিশ নম্বর শ্লোকে বুদ্ধকে (যথাহি চৌর স তথাহি বুদ্ধ, তথাগতং নাস্তিকমত্র বিদ্ধি) চোর বলে গালাগাল করার পর সেই মহাকাব্যটি কি বৌদ্ধ জাতকের আগে রচিত? উক্ত হিন্দু রামায়নের অযোধ্যা কান্ডের বত্রিশ নম্বর শ্লোকে গৌতমবুদ্ধকে বৌদ্ধদের চোর এবং বৌদ্ধদেরকে নাস্তিক বানিয়েছে ! বৌদ্ধ হত্যাযজ্ঞ ও বৌদ্ধ বিহার ভেঙ্গে গড়ে তোলা হয়েছে পুরীর হিন্দু মন্দির”- সেই চেপে রাখা ইতিহাসের সামান্য তুলে ধরা হলো হিন্দু ধর্ম কি ভাবে বৌদ্ধধর্মকে ধ্বংস করে!

বুদ্ধকে হিন্দুদের নবম অবতার বানিয়ে বর্ণাশ্রমবাদী হিন্দু মন্দিরে ‘বুদ্ধং সরনং গচ্ছামি’ উচ্ছারিত হয় না কেন? হিন্দু ধর্মের রাজনৈতিক ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। কোন হিন্দু মন্দিরে বুদ্ধ পূজা হয় না, তবু ও হিন্দু রাজনীতি গৌতমবুদ্ধের বুদ্ধগয়া মহাবোধি মন্দির দখল করেছে। উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা ইচ্ছা করে গুঁড়িয়ে দিয়েছে বৌদ্ধ বাড়ীসহ পুরানো বৌদ্ধ শহর (বৌদ্ধহত্যা যজ্ঞ, দেশ, ৪ মে ২০০১ পৃষ্ঠা ১২ কলকাতা)!

হিন্দুগণ বুদ্ধপূজা না করে ও হিন্দুরাজনীতির পান্ডাগণ গৌতমবুদ্ধের পূত পবিত্র ধ্যানভূমি বুদ্ধগয়ার মহাবোধি মন্দির দখল করে দৈনিক হিন্দুদের বিবাহ অনুষ্ঠানসহ শিবলিঙ্গের পূজা সকাল বিকাল বাদ্য যন্ত্র বাজিয়ে করার জন্যে গৌতমবুদ্ধকে হিন্দুমার্কা বিষ্ণুর নবম অবতার বানিয়ে মিথ্যা ইতিহাস রচনা করেছে। হিন্দু রাজনীতির হাতে গৌতমবুদ্ধের পূত পবিত্র ধ্যানভূমি বুদ্ধগয়া এবং “রাশি রাশি বৌদ্ধমন্দির ধ্বংস করে হিন্দু মন্দিরে বদলানো হয়েছিল (সম্পাদকীয়, আনন্দবাজার পত্রিকা, ২৩ আগষ্ট, ১৯৯৩) দক্ষিন এশিয়া জুড়ে।”

বিশ্ববৌদ্ধ পুরস্কার প্রাপ্ত প্রখ্যাত মানবতাবাদী লেখক সোনা কান্তি বড়ুয়া (Bachelor of Arts, University of Toronto), The Author’s World famous and glorious New Book entitled ÒPRE – VEDIC MOHENJODARO BUDDHISM & MEDITATION IN THE NUCLEAR AGE , (516 Pages)“ সাবেক সভাপতি, বাংলা সাহিত্য পরিষদ, টরন্টো, খ্যাতিমান ঐতিহাসিক, কথাশিল্পী, বিবিধগ্রন্থ প্রনেতা প্রবাসী কলামিষ্ঠ, লাইব্রেরীয়ান, বিশ্ববৌদ্ধ সৌভ্রতৃত্ব পত্রিকার সহ সম্পাদক এবং জাতিসংঘে বিশ্ববৌদ্ধ প্রতিনিধি !

Exit mobile version