সোনা কান্তি বড়ুয়া : ধর্মান্ধদের নর-নারী হত্যালীলার উল্লাস মানবজাতির ধর্ম নয়! হিংসা মানুষজাতির সর্বনাশের পথ। সেবা, ভালোবাসা বা বিশ্বমৈত্রী দিয়ে মানুষের মনের অন্ধকার ধ্বংস করে প্রতিটি মানব মনে মানবতার আলোই আলোকিত বিশ্ব গড়ে তুলবে। সুখী হও সুখী হও / এ মৈত্রী ভাবনা। / দিবা নিশি হিত সুখ করিনু প্রার্থনা। কানাডায় ধর্ম বিশ্বাসের কারণে একটি মুসলিম পরিবারের চারজনকে ট্রাক-চাপা দিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে ২০ বছর বয়সের এক শেতাঙ্গ যুবক নাথালিয়ান ভেল্টম্যান, টরন্টোর নিকটবর্তী শহর লন্ডনে! পরমতসহিষ্ণু মানবধর্মকে ধ্বংস করার নাম ধর্মান্ধ উগ্রবাদের ধর্ম! বাংলাদেশে চাকমা বৌদ্ধদের হত্যাযজ্ঞ ও কানাডার আবাসিক স্কুলগুলিতে আদিবাসী (আদি আমেরিকানদের) ২১৫টি জন শিশুর বীভৎস দেহাবশেষ (27 May 2021) হত্যায় মানবধর্ম কেঁপে উঠেছে! ব্রিটিশ কলম্বিয়ার কামলুপস ইন্ডিয়ান রেসিডেন্সিয়াল নামের ওই স্কুলটি ১৯৭৮ সালে বন্ধ হয়ে যায়। শুক্রবার কানাডার বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এই খবর প্রকাশ হওয়ার পর দেশের প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এই ঘটনাটিকে গভীর হৃদয়বিদারক বলে উল্লেখ করেছেন। জানা গেছে, দেহাবশেষগুলি রাডার বিশেষজ্ঞের সাহায্যে উদ্ধার করা হয়েছে।
কানাডার পুলিশ জানিয়েছে, (ধর্মান্ধ) একটি পিকআপ ট্রাক অন্য ধর্মের প্রতি ভয়ঙ্কর বিদ্বেষটাই রাস্তা থেকে লাফ দিয়ে ফুটপাতে উঠে মুসলিম পরিবারটির ওপর দিয়ে চলে যায়। মুসলিম পরিবারটি কানাডা দেশে তিন প্রজন্ম ধরে বসবাস করছে। হামলায় ওই পরিবারের নয় বছরের একটি ছেলে বেঁচে গেছে। হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে। টরন্টো ও ডেট্রয়টের মধ্যবর্তী অবস্থানে থাকা লন্ডন শহরটিতে চার লাখ মানুষের বসবাস। সেখানে মুসলিমদেরও একটি বড় অংশ বাস করে এবং শহরে অন্তত তিনটি মসজিদ আছে। পার্লামেন্টে দেশের প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো আরও বলেন, ঘৃণার বিরুদ্ধে আমরা অফলাইন এবং অনলাইনে লড়াই চালিয়ে যাব। এর মধ্যে রয়েছে অতি-ডানপন্থী গোষ্ঠীগুলোকে ভেঙে দেওয়া। ইসলামভীতি তলে তলে ফেনিয়ে উঠছে এবং মাঝে মাঝেই আমাদেরকে এর কুৎসিত চেহারাটির মোকাবেলা করতে হচ্ছে চরম পরিণতির মাধ্যমে। ২০১৭ সালে একজন বন্দুকধারী কুইবেক সিটি মসজিদে ছয়জনকে হত্যার পর কানাডায় এটাই মুসলিমদের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় হামলা। লন্ডন শহরের মেয়র এড হোল্ডার জানিয়েছেন, তার শহরের ইতিহাসে এটাই সবচেয়ে বড় হত্যাকাণ্ড।
ফিলিস্তিনের মতো বাংলাদেশে পাহাড়ী জনতাদের হত্যাযজ্ঞ! বাংলাদেশ ও কানাডার ধর্মান্ধদের মানুষজাতি হত্যাযজ্ঞ! তারা পৃথিবীকে নিয়ে যেতে চায় মধ্যযুগে, অন্ধকার যুগে অথবা আরো পিছিয়ে আদিম যুগে। তাদের হাত থেকে পৃথিবীকে বাঁচানো দরকার। যতদিন আমরা কথার জবাব কথা দিয়ে দিতে না শিখবো, ততদিন পৃথিবীর মানুষ আমাদের সভ্য হিসেবে গ্রহণ করবে না। বাংলাদেশে সওয়াব এর আশায় জোর করে মুসলমান করেছে চাকমা বৌদ্ধদের, না হলে মৃত্যু। খাগড়াছড়ির মোঃ আব্দুর রহিম (পূর্ব নাম ভিনসেন্ট চাকমা), মোঃ আব্দুর রহমান পূর্ব নাম ভন্দ চাকমাকে জোর করে মুসলমান করেছে! “বান্দরবানে নও মুসলিমকে গুলি করে হত্যা! বান্দরবান প্রতিনিধি DAINIK AZADI শনিবার, ১৯ জুন, ২০২১)! বান্দরবানের রোয়াংছড়িতে ওমর ফারুক (৫৪) নামে এক নওমুসলিমকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। নিহতের পূর্বের নাম পূর্নচন্দ্র ত্রিপুরা। বাড়ি রোয়াংছড়ি সদর ইউনিয়নের তুলাছড়ি আগা পাড়া এলাকায়। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, জেলার রোয়াংছড়ি উপজেলার রোয়াংছড়ি সদর ইউনিয়নের তুলাছড়ি আগা পাড়া এলাকায় মসজিদে নামাজ পড়ে বাড়ি ফেরার সময় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা গুলি করে হত্যা করে ত্রিপুরা থেকে ধর্মান্তরিত হয়ে মুসলিম হওয়া এক ব্যক্তিকে। নিহতের ওমর ফারুক। তার জন্মগত পূর্বের নাম পূর্নচন্দ্র ত্রিপুরা। পিতার নাম তয়ারাম ত্রিপুরা।
শেতাঙ্গ ভেল্টম্যানের বিরুদ্ধে চার ধরনের অভিযোগ আনা হয়েছে। সন্ত্রাসী হামলার বিষয়ে সম্ভাব্য অভিযোগের বিষয়টিও খতিয়ে দেখতে কর্তৃপক্ষ। উগ্র ডানপন্থী ধর্মান্ধ খ্রিস্টানদের রাজনীতির উগ্রবাদের বিরুদ্ধে লড়াই জোরদারের ঘোষণা কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো (১০ জুন, ২০২১)! উগ্র ডানপন্থী ধর্মান্ধ খ্রিস্টান গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দ্বিগুণ উদ্যোমী হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো (১০ জুন, ২০২১ ) দুদিন আগে অন্টারিওতে ট্রাক চাপায় এক মুসলিম পরিবারের চারজনের মৃত্যুর প্রসঙ্গ টেনে মঙ্গলবার পার্লামেন্টের হাউজ অব কমন্সে এই প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। ধর্মান্ধদের নর-নারী হত্যালীলার বীভৎস উল্লাস মানবজাতির ধর্ম নয়!
কোনো ধর্মের মানুষকে ছোট করা উচিত নয়। বিশ্বাস ও মতামতের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের দেশ কানাডায় এই জাতীয় ঘটনা মেনে নেয়া কষ্টকর। একটি ভয়ঙ্কর খুনে ভাবাদর্শে বেড়ে উঠেছে ধর্মান্ধ জঙ্গিরা। তাদের কাছে মানবতা, উদারতা, নারীর অধিকার, শিল্প-সাহিত্য, জ্ঞান-বিজ্ঞান সবকিছুই অর্থহীন। আমরা যদি জঙ্গিদের দমনে ব্যর্থ হই তবে এমন বর্বরতা চলতেই থাকবে। পৃথিবীর মানুষ আমাদের ঘৃণার চোখে দেখতেই থাকবে। বাংলাদেশে Md. বরকত ও Md. জামান ১৯৯৮’ এর রিপোর্ট বলছে : অর্পিত সম্পত্তির আওতায় বাংলাদেশে হিন্দুদের ২০ লাখ একরের বেশী জমি কেড়ে নেওয়া হয়েছে (from 1947 to 1965) রাষ্ট্রধর্মের সুযোগ নিয়ে! পাকিস্তানের ‘শত্রু সম্পত্তি বাংলাদেশে অর্পিত সম্পত্তি শীর্ষক মানবতার কান্না এখনও থামেনি! প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষভাবে সরকার কর্তৃক সমর্থিত এই প্রক্রিয়ার উদ্দেশ্য হলো সকল সংখ্যালঘুকে নিশ্চিহ্ন করে বাংলাদেশকে খাঁটি ইসলামী রাষ্ট্র বানিয়ে ফেলা! পাঠক দ্বিমত আছে নাকি? ‘বৈধভাবে চিহ্নিত শত্রু’ হিন্দুদের জমি অধিগ্রহণ করে মুসলমানকে দিয়ে দেওয়া আইনগতভাবেই বৈধ বাংলাদেশে, মানুন আর নাই মানুন । সব দেশেই সংখ্যাগরিষ্ঠ ধার্মিকদের দ্বারা সংখ্যালঘু ধার্মিকরা নির্যাতিত, শোষিত, ধর্ষিত ও লাঞ্ছিত হয়েছে! অন্য ধর্মের প্রতি ভয়ঙ্কর বিদ্বেষটাই ধর্মান্ধদের নর নারী হত্যাযজ্ঞ!
ধিক্কার শেতাঙ্গ ধর্মান্ধদেরকে! কানাডার আবাসিক স্কুলগুলিতে আদিবাসী (আদি আমেরিকানদের) ২১৫টি জন শিশুর বীভৎস দেহাবশেষ (27 May 2021) হত্যায় মানবধর্ম কেঁপে উঠেছে! বীভৎস হত্যাযজ্ঞ প্রথায় মানুষের জীবন কেড়ে নেওয়াটাই ধর্মান্ধদের ধর্ম! এ জীবন কি যাপন করা যায়? বলো, কতদিন এভাবে চলবে? সুখ নেই, স্বস্তি নেই, গৃহ নেই, কেবলই প্রাণ নিয়ে পলায়ন করতে হচ্ছে – এর শেষ কোথায়? অন্য ধর্মের প্রতি ভয়ঙ্কর বিদ্বেষটাই করেছে ধর্মান্ধদের মানুষজাতি হত্যাযজ্ঞ! এই কি মানুষের জীবন? না করে।
কানাডার কামলুপস এলাকাটিতে আদি আমেরিকানদের বিভিন্ন গোষ্ঠীর বাসিন্দাদের বাস। আরও জানা যাচ্ছে, মৃত শিশুদের মধ্যে অনেকেরই বয়স ৩ বছরের কম। যে শিশুদের দেহাবশেষ উদ্ধার হয়েছে তারা সবাই সেখানকার টিকেমলুপস টে সেকওয়েপেমেক গোষ্ঠীভুক্ত ছিল বলে জানা গেছে। ওই গোষ্ঠীর বর্তমান প্রধান রোসান্নে ক্যাসিমির। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের স¤প্রদায় এই ঘটনাটি সম্পর্কে জানত। আমরা কেবল তা যাচাই করতে সক্ষম হয়েছি। মৃতদের মধ্যে ৩ বছর বয়সি শিশুদেরও মৃতদেহ পাওয়া গেছে। আর এই ঘটনাটির কোথাও রেকর্ড নেই।’’
রোববারের (6 June 2021) একটি মুসলিম পরিবারের চার জনকে হামলার ঘটনায় নাথানিয়েল ভেল্টম্যান নামের ২০ বছরের একজনকে অন্টিারিও লন্ডন শহরের মসজিদ থেকে ৫০০ মিটার দূরের একটি পার্কিংলট থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরিবারের সর্বকনিষ্ঠ সদস্যটি আহত অবস্থায় হাসপাতালের চিকিৎসাধীন রয়েছে। নাথালিয়ান ভেল্টম্যান নামের হত্যাকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কানাডায় মুসলিম হত্যার উল্লাস মানবজাতির ধর্ম নয়! ধিক্কার শেতাঙ্গ ধর্মান্ধদের কে!
বান্দরবানে চিকিৎসা সেবার নামে জুম্মদেরকে ইসলামে ধর্মান্তরিত করছেন ডা: ইউসুফ আলী! বাংলাদেশে ধর্মান্ধ ডা: ইউসুফ আলী মোঃ আব্দুর রহমান পূর্ব নাম ভন্দ চাকমাকে জোর করে মুসলমান করেছে!
(২) ১৬ জুন ২০২১, বান্দরবান: বান্দরবান পার্বত্য জেলাধীন আলীকদম, লামা ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার নামে বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে ডা: ইউসুফ আলী দরিদ্র জুম্মদের সুকৌশলে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বলে আবারও অভিযোগ পাওয়া গেছে। উল্লেখ্য, এর পূর্বেও হিল ভয়েসের একাধিক রিপোর্টে বান্দরবানে আদিবাসী জুম্মদের দারিদ্র্যতা, অর্থনৈতিক সুবিধা ও শিশুদের শিক্ষার প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন জুম্ম পরিবার ও শিশুদের ইসলামে ধর্মান্তরিত করার ষড়যন্ত্রের সাথে এই ডা: ইউসুফ আলীর শুধু জড়িত থাকার কথা নয়, এই ধর্মান্তরকরণে তিনি নেতৃত্ব দিচ্ছেন বলেও উঠে এসেছে। প্রসঙ্গত: ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজাকাররা ‘সওয়াব এর আশায় জোর করে মুসলমান করেছে হিন্দুদের, না হলে মৃত্যু।
খ্রিস্টান চরমপন্থিরা ধর্মের ধুঁয়ো তুলে কানাডার মুসলিম হত্যা মানবজাতির ধর্ম নয়! কানাডা আমেরিকায় খ্রিস্টান ধর্ম রাজনীতির হাতিয়ার নয় যেন! শোক ও সমবেদনা হতভাগ্য পরিবারের প্রতি! কানাডার প্রধানমন্ত্রী, অন্টারিও’র প্রিমিয়ার ও লন্ডন শহরের মেয়র হত্যাকাণ্ডের নিন্দা করেছেন! ন্যায় পরায়ন মিডিয়াগুলো এই মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডকে হেটক্রাইম হিসেবে অভিহিত করেছে! ট্রাক চাপার ওই ঘটনাকে পুলিশ পূর্বপরিকল্পিত বলছে। ধারণা করা হচ্ছে, ইসলাম বিদ্বেষ থেকেই এই হামলা চালানো হয়েছে। ট্রুডো বলেন, এটা একটি সন্ত্রাসী হামলা। যা আরেকটি স¤প্রদায়ের প্রতি ঘৃণা থেকে একজনের হৃদয়ে উৎসরিত হয়েছে। খবর বিডি নিউজের।
অষ্টাদশ শতকের শেষ থেকে উনবিংশ শতকের শুরুর দিকে কানাডায় দলে দলে ইউরোপীয়রা আসতে থাকে। তখন স্থানীয় গোষ্ঠীগুলির সঙ্গে তাঁদের সঙ্ঘাত হয়েছিল। ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যাবে, আদি আমেরিকানদের খ্রিস্টধর্মে ধর্মান্তরিত ও ‘সভ্য’ করে তুলতে উনিশ শতকের মাঝামাঝি থেকে কানাডা জুড়ে বিভিন্ন আবাসিক স্কুল প্রতিষ্ঠা করা শুরু হয়। এক সময় কানাডায় ১৩৯টি এ রকম আবাসিক স্কুল ছিল। ক্যাথলিক খ্রিস্টান মিশনারিরা এই স্কুলগুলি চালাতেন।
অভিযোগ, প্রায় দেড় লক্ষাধিক শিশুকে জোর করে ভর্তি করা হয়েছিল আবাসিক স্কুলগুলিতে। শিশুদের ব্যাপকভাবে শারীরিক ও যৌন নির্যাতন করা হত বলেও ২০১৫ সালের একটি তদন্তে উঠে আসে। তদন্ত রিপোর্টে বলা হয়, ১৮৪০ সাল থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত অটোয়ার পক্ষে খ্রিস্টান গির্জা দ্বারা পরিচালিত স্কুলগুলিতে শিশুদের উপর ভয়াবহ শারীরিক নির্যাতন, ধর্ষণ, অপুষ্টি ও অন্যান্য অত্যাচারের রেকর্ড রয়েছে। আবাসিক স্কুলে পড়ার সময় কমপক্ষে ৪ হাজার ১০০ জন শিশু মারা গিয়েছিল। কামলুপস-র যে স্কুলটি থেকে এই দেহাবশেষগুলি উদ্ধার করা হয়েছে, সেটি ছিল ১৩৯টি আবাসিক স্কুলের মধ্যে সবচেয়ে বড়। তবে সেই স্কুলে এত সংখ্যক শিশুর মৃত্যুর বিষয়টি কোথাও নথিভুক্ত করা হয়নি।
১৯৭২-এর ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধান থেকে ৪১নং ধারা : “বাংলাদেশ একটি বহু-ধর্মীয় সমাজে পরিণত হয়েছে এবং রাষ্ট্র ও ধর্মের মধ্যে পার্থক্য বজায় রাখা হয়েছে” মুছে ফেলা হয়েছিল ১৯৭৭ এ। পরিবর্তিত ধারা ৮.১ (ক) : “সর্বশক্তিমান আল্লাহর প্রতি নিরংকুশ আস্থা ও বিশ্বাস হবে সকল কাজের ভিত্তি”। তাহলেই বুঝুন পাঠক খেলাটা কি সুন্দর রাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোতে সাজানো হয়েছে! রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের মহান যোদ্ধা, হত্তাকর্তারা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান, প্রকৃতি পূজারী নির্বিশেষে সংখ্যালঘুদেরকে হত্যা ও বাস্তুচ্যুত করে এই প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। মন্দির, গীর্জা ও লাইব্রেরী কোনো কিছুই নিরাপদ নয়।
বার্তা প্রেরক সুনয় চাকমা reported, পানছড়িতে বৌদ্ধ ভিক্ষুকে হত্যার চেষ্টা ও বৌদ্ধ বিহারে লুটপাটের ঘটনায় দুর্বৃত্তদের গ্রেফতারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে পিসিপি’র বিবৃতি! খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার পানছড়ি উপজেলার পূজগাং- এ অবস্থিত বৌদ্ধদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা সাধনা বন বিহারে দিবাগত রাত (৩১ মে ২০২১) আনুমানিক ১টার সময় ৫/৬ জনের একদল দুর্বৃত্ত চুরির উদ্দেশ্যে হানা দেয়। বিহারে অবস্থানরত ভিক্ষু শ্রীমৎ অগ্রজ্যোতি স্থবির ঠের পেয়ে বাঁধা দিতে গেলে দুর্বৃত্তরা দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁর উপর আক্রমণ চালায়। মাথায়, পিঠেসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে দা দিয়ে কুপিয়ে অগ্রজ্যোতি স্থবিরকে গুরুতর আহত করা হয়। স্থানীয়রা খবর পেয়ে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে পানছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। বর্তমানে অগ্রজ্যোতি স্থবির খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎস্যাধীন অবস্থায় রয়েছেন।
যোগাযোগ করে জানা যায়, দুর্বৃত্তরা পাশ্ববর্তী শনটিলা এলাকার সেটেলার বাঙালি। ভিক্ষুঅগ্রজ্যোতি স্থবির দুর্বৃত্তদের একজনকে চিনতে পেরেছেন। দুর্বৃত্তরা বিহার থেকে প্রায় ৬০ হাজার টাকা লোপাট করেছে বলে বিহার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। এ ঘটনা প্রমাণ করে যে, পার্বত্য চট্টগ্রামের রাষ্ট্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা কতটা ভঙ্গুর। এ ধরণের ঘটনা আগেও বিভিন্ন বিহারে বহুবার সংঘটিত হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ, পানছড়ি থানা শাখা মনে করে এটি জুম্মদের উপর সেটেলার বাঙালি ও রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের একটি চিত্র। পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ, পানছড়ি থানা শাখা- এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে এবং দুর্বৃত্তদের অতিদ্রত গ্রেফতারের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানাচ্ছে। (সভাপতি, পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ, পানছড়ি থানা শাখা)!
ফিলিস্তিনের মতো বাংলাদেশে পাহাড়ী জনতাদের হত্যাযজ্ঞ! বাংলাদেশে ধর্মান্ধ ইসলাম রাজনীতির বৌদ্ধ হত্যাযজ্ঞের ইতিহাস লেখা হলে পাঠকগণ দেখবেন, তা হলোকাষ্টের চেয়ে কম বীভৎস নয়। বৌদ্ধধর্মকে ধ্বংস করবার জন্যে ইসলামিক মৌলবাদী রাজনীতির ষড়য়ন্ত্র কেন? দেশের রাজনৈতিক দলসমূহের কোন নৈতিক সমর্থন পায়নি। ১৯৭৮ সালে জেঃ জিয়া পাকিস্তানের বাদ বাকী অপকর্মরাশি পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসীদের উপর নির্মম অত্যাচার ও হত্যাকাণ্ড দিয়ে মানবতাকে কলঙ্কিত করে গেল। স্রোতস্বিনীর বুকে পাহাড়ী জনতার অশ্রæ নিয়ে কর্নফুলির কান্না এখনও থামেনি। রাষ্ট্রক্ষমতার দুর্নীতির মাফিয়াচক্রে রাজনীতির মস্তক বিক্রয় করে চলেছে দিনের পর দিন। কাপ্তাই বাঁধে সব হারানো পাহাড়ী দেশবাসীরা নৈরাশ্য, নৈরাজ্য, অভাব ও দারিদ্র, সমাজের সর্বত্র ছড়িয়ে থাকার জন্য দায়ী আমাদের শাসক ও সমাজের মুষ্টিমেয় রাজনীতিবিদগণ ও ধনিরা উচ্চশিখরে বসে সমস্ত ভোগবিলাস ভোগ করেছে। আর দুঃখীদের শ্রেণীতে চলছে নিদারুণ অভাব, দারিদ্র ক্ষধুা, পীড়ন, শোষণ, বর্জন, যন্ত্রণা ও মৃত্যুভয় এখনও সর্বত্র নৈরাশ্য-নৈরাজ্য। আজকের বাঙালী সমাজ শোষিত, নিপীড়িত, লাঞ্ছিত ও পাকি দালারদের দ্বারা অপমানিতের সমাজ। Jamati রাজনীতি? পলিটিক্যাল ইসলামিক ধর্মে বৌদ্ধসভ্যতা বিরোধি এক কালো আইন বা প্রথার নাম ‘Rohingya Jamati বাদ।’ অন্যায়কে সহ্য করা আইনের শাসনে ঘোরতর অন্যায়।
বিশ্ববৌদ্ধ পুরস্কার প্রাপ্ত প্রখ্যাত মানবতাবাদী লেখক সোনা কান্তি বড়ুয়া (Bachelor of Arts, University of Toronto), সাবেক সভাপতি, বাংলা সাহিত্য পরিষদ, টরন্টো, খ্যাতিমান ঐতিহাসিক, কথাশিল্পী, বিবিধগ্রন্থ প্রনেতা প্রবাসী কলামিষ্ট, লাইব্রেরীয়ান, বিশ্ববৌদ্ধ সৌভ্রতৃত্ব পত্রিকার সহ সম্পাদক এবং জাতিসংঘে বিশ্ববৌদ্ধ প্রতিনিধি!