অনলাইন ডেস্ক : মাদক সমস্যার অজুহাতে চীনা পণ্যের ওপর যুক্তরষ্ট্রের নতুন শুল্কারোপ ঘোষণার বিরোধিতা করে ওয়াশিংটনকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছে বেইজিং। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের কার্যালয়ের ফেসবুক পেজে পোস্ট করা এক বিবৃতি শেয়ার করেছে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত চীনা দূতাবাস।
এতে বলা হয়েছে, যদি আমেরিকা যুদ্ধ চায়, সেটা শুল্ক হোক বা বাণিজ্য যুদ্ধ, কিংবা অন্য যে কোনো ধরণের যুদ্ধ, আমরা শেষ পর্যন্ত লড়াই করতে প্রস্তুত। শক্তিশালী কৃত্রিম আফিম-সদৃশ ব্যথানাশক ঔষধ ‘ফেন্টানাইল’কে যুক্তরাষ্ট্রে মাদক সঙ্কটের অন্যতম কারণ হিসেবে দেখা হয়। চীন বলেছে, এই সংকটের মূল কারণ তাদের নিজেদের দেশেই নিহিত এবং তাদের উচিত নিজেদের সমস্যার সমাধান করা। মানবিক কারণে ফেন্টানাইল সমস্যা মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্রকে সহায়তা করেছে বলেও জানায় চীন।
বেইজিংয়ের ভাষ্য, আমেরিকান জনগণের প্রতি মানবিকতা এবং সদিচ্ছার চেতনায় আমরা এই সমস্যা মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্রকে সহায়তা করার জন্য জোরালো পদক্ষেপ নিয়েছি। দূতাবাসের শেয়ার করা ফেসবুক পোস্টে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র যদি সত্যিই ফেন্টানাইল সমস্যা সমাধান করতে চায়, তাহলে সঠিক কাজ হল চীনের সাথে পরামর্শ করে একে অপরের সাথে সমান আচরণ করা। এতে বলা হয়, ভয় দেখানোতে আমরা ভয় পাই না। ধমক দেওয়া আমাদের ওপর কাজ করে না।
চাপ, বলপ্রয়োগ বা হুমকি দেওয়া চীনের সঙ্গে সঠিক উপায় নয়। যে কেউ চীনের উপর সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগ করলে ভুল কিছু বেছে নিচ্ছে এবং ভুল হিসাব করছে। অপর এক খবরেবলা হয়, আগামী বছরগুলোতে এক কোটি ২০ লাখ নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করছে চীন। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির হাতে বুধবার এমনই একটি সরকারি নথি এসেছে বলে এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। বার্তা সংস্থাটি বলছে, চীন আগামী বছরে শহরে এক কোটি ২০ লাখ নতুন কর্মসংস্থান তৈরির লক্ষ্যে কাজ করছে।
কেননা, তরুণদের চাকরি খুঁজে পেতে বেশ সংগ্রাম করতে হচ্ছে। এছাড়া ওই সরকারি নথিতে আরও দেখা গেছে, ২০২৫ সালে চীন ‘প্রায় পাঁচ শতাংশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য জোর দিচ্ছে। এই্ লক্ষ্যমাত্রা এমন সময়ে নেওয়া হলো যখন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটি নতুন মার্কিন শুল্ক, একটি স্থায়ী সম্পত্তি খাতের ঋণ সংকট এবং একগুঁয়েভাবে কম ভোক্তা চাহিদাসহ অসংখ্য প্রতিকূলতার মুখোমুখি হচ্ছে।
এর সাঙ্গে চীনের শহরগুলোতে এক কোটি ২০ লক্ষ নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং ২০২৫ সালে দুই শতাংশ মুদ্রাস্ফীতি অর্জনের প্রতিশ্রুতিও ছিল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশ যে অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি তার বিবেচনায় এই সংখ্যাটি উচ্চাভিলাষী। রয়টার্স, এএফপি।