ফরিদ আহমেদ : মেরিলিন রিচার্ডসন টের পেলেন তাঁর শরীর কাঁপছে অনিয়ন্ত্রিতভাবে। ফ্রাঙ্ক ওরল্যান্ড স্টোরেজ রুমের দরজা খুলে আলো জ্বালানোর আগে থেকেই হৃৎস্পন্দন বেড়ে গিয়েছিলো তাঁর, কণ্ঠনালী শুকিয়ে ছিলো কাঠ হয়ে। এখন আলো জ্বালানোর পরে যে দৃশ্য তিনি চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছেন, সেটা তাঁর শরীরকেও কাঁপিয়ে ছাড়ছে দৃশ্যমানভাবে। অসংখ্য অপ্রয়োজনীয় জিনিসের মাঝে রাজকীয় চেহারায় বসে রয়েছে প্রমাণ আকৃতির ভাস্কর্যটা – দ্য ডেথ অব ক্লিওপেট্রা। মার্বেল পাথরে করা এক অতুলনীয় সৌন্দর্য উদ্ভাসিত তাঁর চোখের সামনে। স্বপ্নেও তিনি ভাবেননি যে দ্য ডেথ অব ক্লিওপেট্রা-কে তিনি দেখতে পাবেন নিজের চোখে।

একশো বছর ধরে মানুষের চোখের আড়ালে চলে গিয়েছিলো এই ভাস্কর্যটা। বলতে গেলে ভুলে গিয়েছিলো এর অস্তিত্বের কথাই। সেই ভুলে যাওয়া ভাস্কর্যটাই অক্ষত অবস্থা স্টোরেজ রুমে নিঃশব্দে অপেক্ষায় থেকেছে মেরিলিনের মতো কোনো এক নিবেদিতপ্রাণ শিল্প-প্রেমিকের জন্য।

এই ভাস্কর্যটা তৈরি করা হয়েছিলো ১৮৭৬ সালে, যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার একশো বছর পূর্তিতে। ভাস্কর্যটি নির্মাণ করেছিলেন ভাস্কর এডমোনিয়া লুইস। নিও-ক্লাসিক্যাল স্টাইলে করা হয়েছিলো কাজটা। সেই সময়ের খুব জনপ্রিয় একটা স্টাইল ছিলো নিও-ক্লাসিক্যাল স্টাইল। এডমোনিয়া লুইস নিজেও দারুণ জনপ্রিয় ছিলেন তখন। আধা কৃষ্ণাঙ্গ এবং আধা রেড ইন্ডিয়ান এই নারী ভাস্করও তাঁর সেরা সৃষ্টি ‘দ্য ডেথ অব ক্লিওপেট্রা-র মতোই হারিয়ে গিয়েছিলেন সময়ের বিবর্তনে। একশো বছর ধরে বিস্মৃতির আড়ালে চলে যান তিনি। কোথায় তিনি মারা গেছেন, কী ঘটেছিলো তাঁর জীবনে, সেগুলো কেউ-ই পরিষ্কারভাবে জানতো না।
আশির দশকে এডমোনিয়া লুইসের জীবনী নিয়ে কাজ করা শুরু করেন গবেষক এবং শিল্পপ্রেমী মেরিলিন রিচার্ডসন। জীবনী লেখার জন্য খুব সামান্য তথ্যই তিনি জোগাড় করতে পারলেন। ভাস্কর নিজে হারিয়ে গিয়েছেন, তাঁর কাজ হারিয়ে গিয়েছে, এই অবস্থায় জীবনীর কাজ সম্পন্ন করাটা দুরূহ। আশির দশকে ইন্টারনেট ছিলো না। তথ্য খুঁজে বের করাটা বেশ কষ্টসাধ্য একটা কাজ ছিলো। এডমোনিয়া লুইসের জীবনীর লেখার পরিকল্পনা বাদ দিয়ে দেওয়াটাই ছিলো বুদ্ধিমান পন্থা। কিন্তু, মেরিলিন হাঁটলেন আরো বেশি বুদ্ধিমত্তার পথে। নিউ ইয়র্ক টাইমসে বিজ্ঞাপন দিলেন তিনি। এডমোনিয়া লুইস সম্পর্কে যে যা তথ্য জানেন, সেগুলো তাঁকে জানানোর অনুরোধ জানালেন তিনি সেই বিজ্ঞাপনে।

মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অব আর্টের কিউরেটরের নজরে আসে মেরিলিন রিচার্ডসনের এই অনুরোধ। সামান্য কিছুক্ষণ ইতস্তত করে মেরিলিনকে ফোন দেন তিনি। তাঁর ইতস্তততার মূল কারণ হচ্ছে, তাঁর নিজের কাছেও কোনো দলিলপত্রই ছিলো না। কিন্তু, তাঁকে ফ্রাঙ্ক ওরল্যান্ড নামের শিকাগোর একজন দন্ত্য-চিকিৎসক চিঠি দিয়েছিলো দ্য ডেথ অব ক্লিওপেট্রা সম্পর্কে জানার জন্য। মেরিলিনকে ফোন করে তিনি ফ্রাঙ্ক ওরল্যান্ডের ফোন নাম্বার দেন। জানান যে তাঁকে ফোন দিলে হয়তো দ্য ডেথ অব ক্লিওপেট্রা সম্পর্কে কোনো তথ্য পেলেও পেতে পারেন। ফ্রাঙ্কের নাম্বারে বেশ কয়েকবার ফোন করেন মেরিলিন। তাঁর ফোন কেউ ধরে না। ভয়েস মেসেজও রাখেন তিনি তাঁর ফোনে। কল ব্যাকও আসে না। ধৈর্য হারিয়ে ফেলেন মেরিলিন। প্লেনে চড়ে শিকাগোতে চলে আসেন তিনি ফ্রাঙ্কের সাথে দেখা করার জন্য। ফ্রাঙ্ক তাঁকে নিয়ে যান একটা শপিং প্লাজার স্টোর রুমে। সেখানেই গচ্ছিত ছিলো এই অমূল্য শিল্পকর্ম- দ্য ডেথ অব ক্লিওপেট্রা।

এডমোনিয়া লুইস যেভাবে হারিয়ে গিয়েছিলেন, আমাদের দেশেও ভাস্কর নভেরা আহমেদ হারিয়ে গিয়েছিলেন। প্রশ্ন হচ্ছে, শিল্পীরা কেনো হারিয়ে যান? এর পিছনে নানা কারণ থাকে। এডমোনিয়া লুইসের ক্ষেত্রে কারণগুলো ছিলো এরকম।

তিনি মূলত নিও-ক্লাসিক্যাল স্টাইলে কাজ করতেন। ১৮৬০ থেকে ১৮৮০ সাল পর্যন্ত এটা অত্যন্ত জনপ্রিয় একটা স্টাইল ছিলো। ফলে, সবার মনোযোগ তিনি পেয়েছেন তখন। হঠাৎ করেই নিও-ক্লাসিক্যাল স্টাইলটা জনপ্রিয়তার কেন্দ্র থেকে সরে যায়। ফলশ্রæতিতে, তিনিও শিল্পবোদ্ধাদের মনোযোগের জায়গা থেকে কক্ষচ্যুত হন। তাঁর কোনো বংশধর ছিলো না। ফলে, তাঁর কাজকে বাঁচিয়ে রাখার মতো, কিংবা তাঁর স্মৃতিকে ধরে রাখার মতো কাউকে পাওয়া যায়নি। সকলের অজ্ঞাতে অন্তরালের এক জীবনে চলে গিয়েছিলেন তিনি। মৃত্যুর পরেও তাঁকে নিয়ে কোনো আলোচনা করার মতো কেউ ছিলো না। এমনকি তিনি কোথায় মারা গিয়েছেন, সেটার সঠিক হদিসও কেউ জানতো না। কেউ বলেছে তিনি মারা গেছেন রোমে, কেউ বলেছে প্যারিসে। কেউ আবার বলেছে তিনি মারা গেছেন ক্যালিফোর্নিয়ার মেরিন কাউন্টিতে এবং তাঁর লাশকে সমাহিত করা হয়েছে স্যান ফ্রান্সিসকোতে। আসল সত্য হচ্ছে তিনি মারা গেছেন লন্ডনে, ১৯০৭ সালে। সেখানেই সমাধিস্থ করা হয়েছিলো তাঁকে।
এডমোনিয়া লুইসের জন্ম ১৮৪৪ সালে, আপ-স্টেট নিউ ইয়র্কে। তাঁর বাবা ছিলেন কৃষ্ণাঙ্গ, আর মা রেড ইন্ডিয়ান। শৈশবেই বাবা-মাকে হারান তিনি। তাঁকে এবং তাঁর ভাই স্যামুয়েলকে মানুষ করে তাঁদের মায়ের বংশের রেড ইন্ডিয়ান পরিবারের লোকেরা। আমেরিকার গৃহযুদ্ধের আগের বছরে তাঁর ভাই পশ্চিমে যায় স্বর্ণের সন্ধানে। পয়সা কড়ি ভালোই বানিয়ে ফেলে স্যামুয়েল। সেই টাকায় ওহাইয়োর ওবার্লিন কলেজে পড়তে পাঠায় বোন এডমোনিয়াকে। এখানে যাবার আগে নিউ ইয়র্ক সেন্ট্রাল কলেজে পড়াশোনা করতেন এডমোনিয়া। কলেজে তাঁর ভাবমূর্তি খুব একটা ভালো ছিলো না। বুনো হিসাবে কুখ্যাতি ছিলো তাঁর। ফলে, এক পর্যায়ে কলেজ থেকে বের করে দেওয়া হয় তাঁকে। এর পরই স্যামুয়েল তাঁকে ওবার্লিন কলেজে পাঠায়।

ওবার্লিন কলেজ উদার ধরনের কলেজ ছিলো। এখানেই প্রথম কালো মেয়েদের ভর্তি করা হয়েছিলো। ওহাইয়ো তখন দাসপ্রথা বিরোধীদের বেশ শক্ত একটা ঘাঁটি ছিলো।
কিন্তু, এখানে এসেও গুরুতর সমস্যায় পড়েন এডমোনিয়া। দুইজন শেতাঙ্গিনী সহপাঠিনী বন্ধুকে তিনি মদের সাথে বিষ মিশিয়ে খাইয়েছেন, এই অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। তাঁর বিরুদ্ধে অফিসিয়ালি অভিযোগ আসার আগেই তাঁকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়। নির্জন এক স্থানে নিয়ে তাঁকে উলঙ্গ করে নির্দয়পভাবে পেটানো হয়। পিটিয়ে সেখানেই ফেলে রেখে আসা হয় তিনি মারা যাবেন এই আশায়।। তিনি অবশ্য মরেন না। তবে, কয়েকদিন বিছানায় পড়ে থাকতে হয়েছিলো তাঁর। ক্র্যাচে ভর দিয়ে হাঁটা লাগতো তখন।

এমন কঠিন মার খাওয়ার পরেও ঝামেলার শেষ হয় না। তাঁর বিরুদ্ধে অফিসিয়াল অভিযোগ আসে বিষ প্রয়োগের। পুলিশ ধরে নিয়ে যায় তাঁকে। তাঁর পক্ষে উকিল হিসাবে কাজ করেন মার্সার ল্যাংস্টোন। ইনি ওবার্লিন কলেজ থেকে গ্রাজুয়েট হওয়া প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তি ছিলেন। মার্সার ল্যাংস্টোন হার্ভার্ড ল স্কুলের প্রথম ডীনও ছিলেন। ছয় ঘণ্টার একটা ক্লোজিং স্টেটমেন্ট দেন তিনি এডমোনিয়ার পক্ষে। তাঁর দক্ষতায় বিষ প্রয়োগের অভিযোগ থেকে রেহাই পান এডমোনিয়া।

বিষ প্রয়োগের কেস থেকে খালাস পেলেও, পরের বছরেই এডমোনিয়ার বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ ওঠে। তিনি কলেজের আর্ট সাপ্লাই চুরি করেছেন, এই অভিযোগ নিয়ে আসে কলেজ কর্তৃপক্ষ তাঁর বিরুদ্ধে। এই অভিযোগ থেকেও রেহাই পেয়ে যান এডমোনিয়া। কিন্তু, পুনঃ ভর্তি হবার সুযোগ কলেজ আর তাঁকে দেয় না।

ওবার্লিনে শিক্ষা শেষ না হওয়াটা দুঃখজনক বটে। তবে এটা এক পর্যায়ে আশীর্বাদ হয়ে আসে তাঁর জন্য। শিল্পকলার উপর দক্ষতা অর্জনের জন্য বোস্টনে চলে আসেন তিনি। এখানে তাঁর সাথে পরিচয় ঘটে উইলিয়াম লয়েড গ্যারিসনের। উইলিয়াম লয়েড গ্যারিসনই এডমোনিয়াকে পরিচয় করিয়ে দেন তাঁর ভবিষ্যৎ শিক্ষক এডওয়ার্ড ব্রাকেটের সাথে।
এডওয়ার্ড ব্রাকেট মহান ব্যক্তিদের আবক্ষ মূর্তি তৈরিতে বিখ্যাত ছিলেন। তিনি তাঁর আগ্রহী ছাত্রীকে এই বিদ্যা শেখান সমস্ত মন-প্রাণ দিয়ে। গুরুর বিদ্যাকে দ্রুতই আত্মস্থ করে নেন এডমোনিয়া। রবার্ট শ ছিলেন বোস্টনের খুব বিখ্যাত একজন মানুষ। আমেরিকার গৃহযুদ্ধের সময়ে সম্পূর্ণ কালো সৈন্যদের নিয়ে গড়া রেজিমেন্টের কম্যান্ডার ছিলেন তিনি। যুদ্ধে তিনি মারা যান। তাঁর একটা আবক্ষ মূর্তি করে দেবার সুযোগ তৈরি হয় এডমোনিয়ার। এই কাজটা এতো ভালো হয় যে, এর অসংখ্য কপি এবং ছবি বিক্রি হয়। বেশ ভালো পরিমাণে টাকা চলে আসে এডমোনিয়ার হাতে। এই টাকা নিয়ে ইতালির রোমে চলে যান তিনি। সেখানেই বসবাস করা শুরু করেন তিনি।

রোমে যাবার পিছনে মূলত দুটো কারণ দায়ী ছিলো। গৃহযুদ্ধের অবসানে দাসপ্রথা বিলুপ্ত হলেও আমেরিকাকে কালোদের প্রতি সাদা মানুষদের দৃষ্টিভঙ্গি খুব একটা ভালো ছিলো না তখন। নারীদের অবস্থানও সমাজে সুসংহত এবং সম্মানের ছিলো না। এ কারণে তিনি আমেরিকা ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন। পরবর্তীতে নিউ ইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, “দ্য ল্যান্ড অব লিবার্টি হ্যাড নো রুম ফর এ কালারড স্কাল্পটর।” রোম তখন সারা বিশ্বের শিল্পকলার রাজধানী। সব শিল্পীরই স্বপ্নের জায়গা ছিলো রোম। এডমোনিয়াও তাঁর ব্যতিক্রম কিছু নয়। তবে, এর বাইরে আরেকটা কারণও ছিলো। রোমের নারীরা তখন স্বাধীনতার স্বাদ পেয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে আমেরিকা তখনো প্রবলভাবে পিতৃতান্ত্রিক। সমাজে নারীদের মূল্যায়ন নেই বললেই চলে। যে কারণে এডমোনিয়া শুধু এক নন, আরো বেশ কিছু আমেরিকান এবং ব্রিটিশ নারী শিল্পী এবং সাহিত্যিক দেশে ছেড়ে দিয়ে রোমে চলে যান। এদেরকে নিয়েই বোহেমিয়ান এক জীবন যাপন করতেন তিনি।

এর মধ্যে ভাস্কর হিসাবে বিখ্যাত হয়ে ওঠেন তিনি। নিজস্ব একটা স্টুডিও তাঁর ছিলো। নিউ ইয়র্ক সিটি তাঁকে লিংকনের একটা আবক্ষ মূর্তি তৈরি করে দিতে বলে। ফিলাডেলফিয়ার ইউনিয়ন লীগ তাঁকে জন ব্রাউনের পূর্ণাঙ্গ ভাস্কর্য করার দায়িত্ব দেয়। ১৮৭৬ সালে আমেরিকার স্বাধীনতার একশো বছর পূর্তিতে তিনি তাঁর অন্যতম সেরা কাজ দ্য ডেথ অব ক্লিওপেট্রা করেন। ১৮৭৭ সালে তিনি তিনি খ্যাতির শীর্ষে ওঠে যান। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইউলিসিস গ্রান্ট তাঁর একটা পোর্টেট করে দিতে বলেন। পোর্টেট আঁকাবার জন্য তিনি এডমোনিয়ার রোমের স্টুডিওতে গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতেন পোজ দিয়ে। উদিত সূর্য যেমন এক সময় অস্ত যায়, উচ্ছ্বাসে পরিপূর্ণ ভরা জোয়ার পরিণত হয় নিস্তরঙ্গ ভাটাতে, এডমোনিয়ার সাফল্য এবং খ্যাতিও এক সময় ক্ষয়িষ্ণুতার দিকে ধাবিত হয়। আধুনিক শিল্পকলার উত্থানে রোম থেকে শিল্পকলার রাজধানী সরে আসে প্যারিসে। যে ধরনের ভাস্কর্য তিনি করতেন, যেগুলো এক সময় দারুণ জনপ্রিয় ছিলো মানুষের মধ্যে, সময়ের টানে সেগুলোও তাদের আবেদন হারায়। মানুষ এগুলোর প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। শিল্প নিয়েই ছিলো তাঁর জীবন, এটা দিয়ে চিনতো তাঁকে সকলে। সেই জায়গাটা হঠাৎ সংকুচিত এবং সীমাবদ্ধ হয়ে যাবার ফলে, তিনিও মানুষের মন থেকে মুছে যেতে থাকেন সময়ের সাথে সাথে। অন্তরালে চলে যেতে থাকে এক অসামান্য প্রতিভাবান শিল্পীর অসাধারণ সব কর্ম। রঙিন এক কর্মমূখর জীবন পরিণত হয় যায় ধূসর ভূমিতে। উনবিংশ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠতম কৃষ্ণাঙ্গ নারী ভাস্করটি হারিয়ে যান কালের গর্ভে। মেরিলিন রিচার্ডসনের দ্য ডেথ অব ক্লিওপেট্রা আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে পুনঃ আবিষ্কৃত হন তিনি।