অনলাইন ডেস্ক : লিড গ্রিন ফ্যাক্টরির তালিকায় আরও একটি পোশাক কারখানা যুক্ত হয়েছে। নতুন সবুজ কারখানা হিসেবে যোগ হয়েছে গাজীপুরের ফ্যাশন মেকার্স লিমিটেড। এ নিয়ে বাংলাদেশে লিড সনদপ্রাপ্ত মোট সবুজ কারখানার সংখ্যা দাঁড়াল ২১৫। গতকাল বুধবার বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশের মোট গ্রিন সনদপ্রাপ্ত ফ্যাক্টরির মধ্যে প্লাটিনাম ৮১টি, গোল্ড ১২০টি, সিলভার ১০টি এবং নিবন্ধিত কারখানা ৪টি। সব মিলিয়ে সবুজ কারখানার সংখ্যা দাঁড়াল ২১৫। যুক্তরাষ্ট্রের ‘ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল’ এই সনদ দেয়। শিল্পকারখানার ভবন নির্মাণ থেকে পণ্য উৎপাদন পর্যন্ত সব পর্যায়ে পরিবেশ সুরক্ষার বিষয়টি ভালোভাবে বিশ্লেষণ করে সর্বোচ্চ মানের কারখানাকে এই সনদ দেয় তারা। এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রেটপ্রাপ্ত ১০০ লিড কারখানার মধ্যে ৫৫টিই রয়েছে বাংলাদেশে।
রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির পর সবুজ কারখানা ভবনের দিকে অগ্রসর হওয়া বাংলাদেশের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধার করতে সাহায্য করেছে। সাভারে ২০১৩ সালের ঐ ভবনধসের ঘটনায় ১ হাজার ১৩৪ জনের মৃত্যু এবং ২ হাজার জনের বেশি আহত হন। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকশিল্পের অভ্যন্তরীণ নাজুক অবস্থা সামনে চলে আসে। এ সময় সবুজ কারখানা প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি সামনে আসে এই খাতের উদ্যোক্তা ও নীতিনির্ধারকদের।
বাংলাদেশ ২০১১ সাল থেকে পরিবেশবান্ধব তৈরি পোশাক কারখানার সনদ পাওয়া শুরু করে। কিন্তু রানা প্লাজা ধসের পর থেকে কারখানার জন্য পরিবেশবান্ধব হওয়ার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। উদ্যোক্তারা কারখানাকে পরিবেশবান্ধব করার তাগিদ দেন। ২০১৩ সাল পর্যন্ত যেখানে দুটি থেকে তিনটি তৈরি পোশাক কারখানা পরিবেশবান্ধব বা গ্রিন সনদ পায়, পরের বছর থেকে ১১ থেকে ৩০টা পর্যন্ত সনদ আসে। চলতি বছরের এপ্রিলের মাঝামাঝি পর্যন্ত ৯টি কারখানা গ্রিন সনদ অর্জন করল। দেশে পরিবেশবান্ধব কারখানার সনদ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক অবস্থাও টেকসই হচ্ছে বলে জানাচ্ছেন এই খাতের ব্যবসায়ীরা।