অনলাইন ডেস্ক: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প টানা চারটি বছর নিষ্প্রাণ করে রেখেছেন হোয়াইট হাউজকে। তবে প্রাণহীন হোয়াইট হাউজে এবার প্রাণের সঞ্চার হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন অনেকেই। কারণ নির্বাচিত নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এমন একজন মানুষ, যিনি ভালোবাসেন প্রাণী। তাইতো বলা হচ্ছে, তার সঙ্গে এবার হোয়াইট হাউজে স্থান পাবে তার পোষা দুই কুকুর চ্যাম্প ও মেজর।
গত চার বছর ধরে চলা ট্রাম্পের শাসনামলে চরম আকার ধারণ করেছে হোয়াইট হাউজে। এই চার বছরে কোথাও থেকে ফেরার পর একবারও ট্রাম্প এবং ফার্স্ট লেডি মেলানিয়াকে উষ্ণ আলিঙ্গন করতে দেখা যায়নি। পারিবারিক ভাবে হাসি আনন্দের মাঝে প্রেমময় কোনো মুহূর্ত ভাগাভাগি করতেও দেখেনি কেউ। এখানে কোনোদিন কনসার্ট বা কবিতা আবৃতির আয়োজন করে নি ট্রাম্প। কিংবা কোনো দিন কোনো শিল্পীর শিল্পকর্ম প্রদর্শনেরও আয়োজন করেননি ট্রাম্প। এই সময়গুলোতে মেলানিয়ার ভেতরের রংও ছিনিয়ে নিয়েছিল। আর বিশেষ ছুটির দিনগুলোতে করা সাজসজ্জা দেখে মনে হতো যেন হাতে বানানো কোন গল্প এটি।
কিন্তু তুলনা করলে দেখা যায়, সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার দুই মেয়ে সাশা ও মালিয়াকে নিয়ে তাদের দুই পর্তুগিজ পোষা কুকুর বো ও সানির সঙ্গে হোয়াইট হাউজের লনে বরফ নিয়ে খেলা করত। ২০০৮ সালের মার্কিন নির্বাচনের সময় ওবামা তার মেয়েকে পোষা কুকুর দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন এবং তিনি অবশেষে সে প্রতিশ্রুতি রেখেছিলেন।
সেদিক থেকে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের থেকে তার ছেলে বেরন একটু আদর চেয়ে তা পেয়েছে বলে মনে হয় না। আর যদি ট্রাম্প সে বিষয়ে ওয়াদা করে, তা রেখেছে বলেও মনে হয় না।
কিন্তু এবার আমেরিকানরা কেবল জো বাইডেন এবং কমলা হ্যারিসকেই বেছে নিয়েছে তা না, বাইডেনের দুই পোষা কুকুর চ্যাম্প ও মেজরকেও যদিও নতুন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের এখন কোনো পোষা প্রাণী নাই, কিন্তু তিনি যে কুকুর পছন্দ করেন তা উল্লেখ রয়েছে।
বাইডেনের পোষা কুকুর চ্যাম্প ২০০৮ সাল থেকে তার সঙ্গে আছে। এবং ডেলাওয়্যার হিউম্যান সোসাইটি থেকে ২০১৮ সালে মেজরকে তুলে এনেছিল বাইডেন। এই দুই প্রাণী বাইডেনের মতোই অনুগত। তবে এটা পরিষ্কার যে নবাগত প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে চ্যাম্প ও মেজরের একটি বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। এটি প্রমাণ করে যে, হোয়াইট হাউজে আবারও প্রাণের সঞ্চার হচ্ছে।
পারিবারিক ও মানবিক দিক থেকে জো বাইডেনের অবস্থান বেশ শক্ত। এবার মার্কিন ফাস্ট লেডি হতে যাচ্ছেন বাইডেনের স্ত্রী একজন শিক্ষিকা ড. জিল বাইডেন। জিল বাইডেন এক টুইট বার্তায় বলেছেন, ‘তিনি আমাদের সব পরিবারের প্রেসিডেন্ট হবেন’।
যেখানে আমেরিকার পাশাপাশি পুরোবিশ্ব ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই মানবিক ও পারিবারিক দিকগুলো খুব মিস করত।
যদিও জো বাইডেন হাঁকডাক বাজিয়েই নির্বাচিত হয়েছেন, কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্প তার সময়ে যে ক্ষতি সাধন করেছে তা ফিরেয়ে আনতে অনেকটা পথ হাঁটতে হবে বাইডেনকে। সেই সঙ্গে ডেমোক্র্যাটদের খুব সুচিন্তিত ও সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ নিতে হবে, যাতে করে আগামী নির্বাচনের জয়েও অনেক মানুষ দলের সঙ্গে থাকে। আসছে বছর ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেবেন জো বাইডেন। ভোগ (ম্যাগাজিন)।