অনলাইন ডেস্ক : বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনা রোগীদের জন্য কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালের ১৬টি বেড, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালর ১০টি বেড, শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালের ১৬টি বেড, সরকারি কর্মচারী হাসপাতালের ৬টি বেড, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ২০টি বেড, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজের ১০টি বেড ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০টি বেডের সবগুলোতিই রোগী ভর্তি রয়েছে।
কেবলমাত্র মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ১৯টি বেডের মধ্যে একটি, আর রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে ১৫টি বেডের দুইটি বেড ফাঁকা রয়েছে।
অর্থাৎ, অধিদফতরের তালিকাভুক্ত সরকারি হাসপাতালের মোট ১৩২টি আইসিইউ বেডের মধ্যে রোগী ভর্তি আছেন ১২৯ জন, আর বেড ফাঁকা রয়েছে মাত্র তিনটি।
তবে এতদিন বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে আইসিইউ বেড কিছুটা ফাঁকা থাকলেও এখন সেখানেও রোগীর চাপ বাড়ায় বেড ফাঁকা হচ্ছে না।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অধিদফতরের তালিকাভুক্ত বেসরকারি আনোয়ার খান মর্ডান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ২২টি বেড, আসগর আলী হাসপাতালের ১৮টি বেড, স্কয়ার হাসপাতালের ১৯টি বেড, ইবনে সিনা হাসপাতালের ৭টি বেড, ইম্পালস হাসপাতালের ৫২টি বেড, এ এম জেড হাসপাতালের ১০টি বেড, বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালের ৯টি বেড, ল্যাব এইড হাসপাতালের ৮টি ও পপুলার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ৪৭টি বেডের সবগুলোতে রোগী ভর্তি রয়েছে।
কেবলমাত্র বেসরকারি ইউনাইটেড হাসপাতালের ১৫টি বেডের মধ্যে একটি, এভার কেয়ার হাসপাতালের ২১টি বেডের মধ্যে দুইটি, গ্রিন লাইফ হাসপাতালের ১৭টি বেডের মধ্যে একটি বেড ফাঁকা রয়েছে।
অর্থাৎ বেসরকারি হাসপাতালগুলোর মোট ২৪৫টি আইসিইউ বেডের মধ্যে ফাঁকা রয়েছে মাত্র চারটি বেড এবং রোগী ভর্তি আছেন ২৪১ জন।
দেখা যাচ্ছে, স্বাস্থ্য অধিদফতরের তালিকাভুক্ত সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে মোট আইসিইউ বেড রয়েছে ৩৭৭টি, এর মধ্যে রোগী ভর্তি আছেন ৩৭০ জন, আর বেড ফাঁকা রয়েছে মাত্র সাতটি।
দেশের অন্যান্য হাসপাতালগুলোতে করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্য আইসিইউ রয়েছে মোট ৬৭২টি, এতে রোগী ভর্তি আছেন ৫৩০ জন আর বেড ফাঁকা রয়েছে মাত্র ১৪২টি।