অনলাইন ডেস্ক : গ্রিসের এভিয়া দ্বীপের হাজার হাজার মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। কারণ রোববার ষষ্ঠ দিনের মতো দাবানল অনিয়ন্ত্রিতভাবে ছড়িয়ে পড়ছে দ্বীপটিতে। সমুদ্রপথে অনেককে সরানোর পর বাকিদের নিরাপদে নিতে প্রস্তুত রয়েছে ফেরি।
এথেন্সের শহরতলীতেও দাবানল ছড়িয়ে পড়েছিল। সেখানে এখন এর ক্ষিপ্রতা কমেছে। তবে এথেন্সের উত্তরের এভিয়া দ্বীপে দাবানল চলছে। চারপাশে ছড়িয়ে পড়া এই দাবানলে হাজার হাজার হেক্টর বনাঞ্চল পুড়ে ছাঁই হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
দ্বীপটির অনেক গ্রামের মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সারোপৌলি নামক গ্রামের বাসিন্দা এএফপিকে বলেন, ‘আমাদের গ্রাম ধ্বংস হয়ে গেছে। আমি বাড়ি হারিয়েছি। কিছুই অবশিষ্ট নেই। কাল কি হবে জানি না। এটা বিশাল বিপর্যয়।’
সপ্তাহব্যাপী দাবদাহের পর গ্রিসের বিভিন্ন অংশে তিন দশকে সবচেয়ে ভয়াবহ দাবানল ছড়িয়ে পড়ে। রেকর্ড তাপমাত্রায় দাবদাহ হয়েছে প্রলয়ঙ্কারী। বনভুমি পুড়ে ছাঁই হয়েছে। দাবানলে ছারখার হয়েছে অনেক বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
দেশজুড়ে দাবানল ঠেকাতে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে সুইজারল্যান্ড, ফ্রান্স, মিসরের মতো দেশ। স্পেন দাবানল ঠেকানোর জন্য বিমান পাঠিয়েছে। মোতায়েন রয়েছে সাড়ে পাঁচ শতাধিক দমকলকর্মী।
কোস্টগার্ড দুই হাজারের বেশি মানুষকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে সরিয়েছে। মঙ্গলবার থেকে এই অভিযান শুরু হয়। উদ্ধার হওয়াদের মধ্যে অনেক প্রবীণ ব্যক্তিও রয়েছেন। এসব মানুষ দাবানলে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। হারিয়েছেন বাড়িঘর।
সেন্ট্রাল গ্রিসের গভর্নর ফেনিস স্পানোস বলেছেন, দ্বীপটির পরিস্থিতি এক সপ্তাহ ধরে ‘খুবই জটিল’। দাবানলের শক্তি দিন দিন বাড়ছে। বিস্তীর্ণ এলাকা পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে। হোটেল ও আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে দুই হাজারের বেশি মানুষকে।