অনলাইন ডেস্ক : ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বাইরের দেশের দক্ষ কর্মীদের কাজের সন্ধানে জার্মানিতে আসার অনুমতি দেওয়ার একটি নতুন প্রকল্প কার্যকর করেছে জার্মান সরকার। প্রকল্পের আওতায় চান্সেনকার্টে বা অপরচুনিটি কার্ড নামে একটি বিশেষ ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। চান্সেনকার্টে পাওয়ার যোগ্যতা হিসেবে ভাষার দক্ষতা, শিক্ষা ও কাজের অভিজ্ঞতার কথা বলা হয়েছে।
এই সুবিধার আওতায় ইইউর বাইরে থেকে দক্ষ কর্মীরা জার্মানির শ্রম বাজারে প্রবেশের সুযোগ পাবেন।
সঠিক মানদণ্ড পূরণ করতে পারলে সেই কার্ডের মাধ্যমে দেশটিতে এক বছর অবস্থান করে চাকরি খুঁজে নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে।
নতুন এই ভিসা প্রকল্প দেশটির একটা আইনের প্যাকেজের অংশ। এর লক্ষ্য জার্মানির দক্ষ শ্রমের বিপুল ঘাটতি মেটানো।
শনিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যান্সি ফেজার বলেন, ‘আমরা নিশ্চিত করছি, জার্মানির অর্থনীতিতে বছরের পর বছর ধরে জরুরিভাবে কর্মী ও দক্ষ কর্মী প্রয়োজন।
যোগ্যতা পূরণ সাপেক্ষে অপরচুনিটি কার্ড বা চান্সেনকার্টের জন্য আবেদন করা সম্ভব। এর জন্য কমপক্ষে দুই বছরের বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ থাকতে হবে বা নিজ দেশে স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি থাকতে হবে।
জার্মান কিংবা ইংরেজি ভাষারও জ্ঞান থাকতে হবে।
আবেদনকারীর ভাষা দক্ষতা, পেশাগত অভিজ্ঞতা, বয়স ও জার্মানির সঙ্গে সম্পর্কের ভিত্তিতে পয়েন্ট সিস্টেম অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। চান্সেনকার্টে পেতে কমপক্ষে ছয় পয়েন্ট প্রয়োজন।
কার্ড পেলে আবেদনকারী জার্মানিতে প্রবেশ করতে পারবেন এবং এক বছর পর্যন্ত দেশটিতে অবস্থান করে চাকরি খোঁজার অনুমতি পাবেন। সেই সময়ের মধ্যে আংশিক সময়ের কাজ বা পরীক্ষামূলক চাকরিতে (ট্রায়াল জব) সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা পর্যন্ত কাজ করতে পারবেন।
নতুন এই প্রকল্পের আওতায় পশ্চিম বলকান দেশগুলোর চাকরিপ্রার্থীদের জন্য সুযোগও বেড়েছে।
পশ্চিম বলকান অঞ্চলের দেশ আলবেনিয়া, বসনিয়া, কসভো, মন্টেনেগ্রো, উত্তর মেসিডোনিয়া ও সার্বিয়ার নাগরিকদের ২০১৬ সাল থেকে বিশেষ বিবেচনায় কাজের অনুমতি দিয়ে আসছে জার্মান সরকার। প্রতি বছর পশ্চিম বলকান অঞ্চলের এই দেশগুলো থেকে অন্তত ২৫ থেকে ৫০ হাজার মানুষ জার্মানিতে যান কাজ করতে। এবার এই দেশগুলো থেকে গেলে কোনো পেশাগত যোগ্যতা না থাকলেও জার্মান শ্রমবাজারে প্রবেশাধিকার থাকবে। যদিও পশ্চিম বলকান দেশগুলো থেকে জার্মানিতে প্রবেশের জন্য জার্মান কম্পানির সঙ্গে চাকরির চুক্তির প্রয়োজন হবে।