অনলাইন ডেস্ক : করলার স্বাদ তেতো হলেও এর উপকারিতা কিন্তু ভীষণ মিষ্টি। করলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে কম-বেশি জানেন নিশ্চয়ই? কিন্তু তেতো এই সবজি যে আপনার ত্বকের যত্নেও উপকারী, তা কি জানতেন? করোলা খেলে আপনার হার্ট ভালো থাকবে, শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে। যদি রূপচর্চার কাজে ব্যবহার করেন তবে ত্বক থেকে বয়সের ছাপ হবে দূর।

করলায় থাকে ভিটামিন সি, আয়রন, বিটা কেরাটিন, পটাসিয়াম এবং ক্যালসিয়াম। এসব উপাদান ত্বকের ব্যাকটেরিয়া এবং জীবাণু দূর করার পাশাপাশি এবং ত্বককে করে উজ্জ্বল। তেতো এই সবজির অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য আপনার ত্বককে রাখে প্রাণবন্ত, ফলে সহজে ত্বকে বয়সের ছাপ পড়ে না।

করলা ত্বকের যেসব উপকার করে:

* ত্বককে উজ্জ্বল করে।

* ত্বক থেকে দূষিত পদার্থ ও ধুলো-ময়লা দূর করে।

* ব্রণের দাগ দূর করে।

* ত্বকে বয়সের ছাপ যেমন- ফাইন লাইনস এবং রিঙ্কেলস প্রতিরোধ করে।

* ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা উন্নত করে।

* সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি থেকে ত্বককে বাঁচায়।

করলা ও শসার ব্যবহার
শসায় থাকে প্রচুর পানি। এটি ত্বককে আর্দ্র রাখতে কাজ করে। সেইসঙ্গে ত্বক পরিষ্কার রাখে ও ত্বকের জ্বালাভাব দূর করে। করলার সঙ্গে শসা মিশিয়ে ব্যবহার করলে তা ত্বকের জন্য আরও বেশি উপকারী হবে। অর্ধেকটা করলা ও অর্ধেকটা শসা ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিন। এবার এই মিশ্রণ মুখে ও গলায় ভালোভাবে লাগিয়ে নি। এরপর ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে নিন। এই প্যাক নিয়মিত ব্যবহার করুন। করলার বীজ ফেলে ব্লেন্ড করবেন।

দই, ডিমের কুসুম ও করলার ব্যবহার
আমাদের ত্বককে নরম ও আর্দ্র রাখতে কাজ করে ডিমের কুসুম। দইয়ে থাকা ল্যাকটিক অ্যাসিড ত্বকের ছিদ্রগুলোকে শক্ত করতে সাহায্য করে। এই দুই উপাদানের সঙ্গে করলা যোগ করলে তা ত্বক আরও বেশি সুন্দর করে, ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না। একটি ডিমের কুসুম, ১ টেবিল চামচ করলার রস এবং ১ টেবিল চামচ দই ভালো করে মিশিয়ে নিন। এবার মিশ্রণটি গলায় ও মুখে সমানভাবে লাগিয়ে নিন। এভাবে রাখুন ২০-২৫ মিনিট। এরপর কয়েক সেকেন্ড বৃত্তাকার গতিতে ম্যাসাজ করুন। এবার হালকা গরম পানিতে মুখ ধুয়ে নিন।