অনলাইন ডেস্ক : মাত্র তিন দিনের মধ্যে দুটি মার্কিন ব্যাংকের পতনের কারণে ডলারের মান কিছুটা কমেছে। আর এর প্রভাবে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল ও স্বর্ণের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম কিটকো’র প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, সোমবার (১৩ মার্চ) বিশ্ববাজারে স্বর্ণ প্রতি আউন্স (২৮ দশমিক ৩৫ গ্রাম) বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ৯০০ ডলারে। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ২ লাখ ৫৮৩ টাকা।
আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের স্বীকৃত পরিমাপ হচ্ছে আউন্স (২৮ দশমিক ৩৫ গ্রাম)। তবে পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের বাজারে স্বর্ণ বেচাকেনা হয় ভরি বা তোলা (১১ দশমিক ৬৬ গ্রাম) গ্রাম হিসাবে। বাংলাদেশের পরিমাপের হিসাব অনুযায়ী এক আউন্স স্বর্ণ প্রায় আড়াই ভরির সমান।
কিটকো আরও জানায়, রোববার বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম আউন্স প্রতি ১ হাজার ৮৮১ দশমিক ৪০ ডলার ছিল। বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ লাখ ৯৮ হাজার ৬১৯ টাকা ৩৯ পয়সা। মাত্র একদিনের ব্যবধানে শতকরা হিসেবে এর দাম বেড়েছে দশমিক ৭৬ শতাংশ।
এদিকে ভুয়া খবর চাউড় হওয়ার কারণে মাত্র দুদিনের মধ্যে গ্রাহকরা সঞ্চয়ের অর্থ তুলে নেয়ার জন্য ধসে পড়ে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক। এ ঘটনার তিন দিনের মধ্যে নিউইয়র্কভিত্তিক ব্যাংক সিগনেচারের ক্ষেত্রেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়। আর তারল্য সংকটের জন্য দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের সংস্থা ফেডারেল ইন্সুরেন্স করপোরেশন (এফডিআইসি) রোববার ব্যাংক সিগনেচার বন্ধ করে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়।
এছাড়া মার্কিন সূচক ইউএস ডলার ইনডেক্সের তথ্য বলছে, পরপর দুটি ব্যাংক বন্ধ হওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা যেমন কানাডিয়ান ডলার, ব্রিটেনের পাউন্ড, সুইডেনের ক্রোনা, জাপানের ইয়েন ও সুইজারল্যান্ডের ফ্রাঙ্কের তুলনায় সোমবার ডলারের অবনমন ঘটেছে দশমিক ৫৮ শতাংশ।
আর ডলারে এই অবনমনের পর সোমবার জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এদিন অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দুই ব্র্যান্ড ব্রেন্ট ক্রুড এবং ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের দাম ব্যারেল প্রতি বৃদ্ধি পেয়েছে শতকরা ৩০ শতাংশ।