গত ১ সেপ্টেম্বর রোববার টরেন্টোর ডেন্টোনিয়া পার্কে বিশাল আয়োজনে অনুষ্ঠিত হল ৩য় সম্মিলিত বাংলা।
আমরা যারা দেশের বাইরে থাকি তাদের মাঝে টরন্টোর বাঙালিদের মত সৌভাগ্যবান আর হয়তো কোনও দেশেই নেই। বলছি এ কারণেই যে, প্রতি বছরই ভাগ্যান্বেষণে আগত বহু বাঙালি পাড়ি জমায় সাম্যবাদের অসামান্য দৃষ্টান্ত এ শহরে।
আর দিনে দিনে বাড়ছে আমাদের আপনজন, একই সাথে কমছে আমাদের নি:সঙ্গতা। আর এই বিপুলসংখ্যক নিজের দেশের মানুষ একত্রিত হবার কারণেই প্রতিবছর গ্রীষ্মকাল হয়ে ওঠে আরও রঙে রঙিন। আর আমরা তা উপভোগ করি নানাবিধ অনুষ্ঠান, মেলা, আনন্দ, ফুর্তির মাধ্যমে। আর এবারের অত্যন্ত সফল তৃতীয় সম্মিলিত বাংলা মেলা আমাদের একসাথে আনন্দ করার, একসাথে ভালো কিছু করারই এক জ্বলজ্বলে উদাহরণ।
গত তিন মাস ধরে দেখছি এক একজন মানুষ কতখানি নিষ্ঠার সাথে পরিশ্রম করলে এবং কতখানি যত্নবান হলে এত বিশাল আকারের একটি মেলা সফলতার সাথে সম্পন্ন করা সম্ভব। প্রতিটি মানুষ যার যার স্থান থেকে নিজের দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালন করে গেছেন। আর একারণেই এত এগোন বৈরী আবহাওয়ার মাঝেও উপচে পড়া ভিড়ের মাঝে তিল ধারন করার স্থান ছিল না। সকলেই উপভোগ করেছেন আমাদের আয়োজন। যেমন ছিল স্টলগুলোতে ক্রেতাদের আনাগোনা, তেমনি ছিল স্টেজের সামনে দর্শকের আনন্দধ্বনী। আর আমরা যারা সবজায়গায়ই দৌড়ঝাঁপ দিচ্ছিলাম তারা জানে কতখানি পরিশ্রম করে এই মেলাটিকে দাঁড় করাতে হয়েছে।
এ বছরের গ্রীষ্মের সর্বশেষ মেলা হিসেবে তৃতীয় সম্মিলিত বাংলা মেলার সাফল্যের পেছনে যাদের অবদান অসীম তাঁরা হলেন কনভেনর আখলাক হোসেন। মেম্বার সেক্রেটারী মাহবুব চৌধুরী রণি। চেয়ারম্যান নাজমা হক, আহাদ খন্দকার, রেশাদ চৌধুরী, মঈন চৌধুরী, জাকারিয়া রশীদ চৌধুরী, লায়েক চৌধুরী, মিলাদ চৌধুরী, তপন মাহমুদ, জাকির খান, আসাদ আহাদ নিশু, আনিসুর রহমান, মুহাম্মদ আলী শাওন, রেজাউল করিম, মকবুল হোসেন মঞ্জু, মেহেদী ফারুক, কাশেম জয়, ফারহানা হক, ফারুক, জুমল চৌধুরী, অলী হোসন, সাকীব, আসমা হক, মম কাজী, মাসুদা পল্লী, চমন রুকেয়া পারভিন, আব্দুল আজিজ, শিল্পী মুক্তা সরোয়ার, নোবেল চৌধুরী, ফারাহানা জয়, ফারুক আহমদ, মাসরুল হোসেন রিপন, কামিল হোসেন, মনছুর আহমদ, আকিব মাহমুদ, এজাজ চৌধুরী, মতিউর রহমান, রবাট, আমিনুর রহমান চৌধুরী বাবু, সৈয়দ মাহবুব, আলী হোসেন, হাবিবুর রহমান চৌধুরী, ইলিয়াস খান, মনসুর আহমেদ, রিপন বখত, আলিম আল জুয়েল এবং কর্মবীর আরিফ আহমেদ। আমাদের বিশেষ কৃতজ্ঞতা এদের সকলের প্রতি এবং তাদের পরিবারের প্রতি। যাদের নাম উল্লেখ করতে পারিনি তাঁদের প্রতি রইল ক্ষমাভিক্ষা এবং শুভেচ্ছা। মেলা দেখতে এসে যারা আমাদের সাহায্য করেছেন তাতের প্রতিও আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। এই যে একসাথে ভালো কিছু করার একটা শান্তি, তা এই মেলার সাথে যুক্ত সকলেই বুঝতে পেরেছেন।
আমি আশা করি আগামী সম্মলিত বাংলা মেলাগুলো আমাদের জন্য বয়ে আনবে আরও মজা, সমৃদ্ধি ও আত্মতৃপ্তি। সেই দিনের অপেক্ষায় বাঙালী হয়ে সবসময় সাথে থাকার প্রতিশ্রুতি চাই সকলের কাছে।
তৃতীয় সম্মিলিত বাংলামেলায় বৈরী আবহাত্তয়া উপেক্ষা করে যারা আমাদের এই আয়োজনে উপস্থিত থেকে ‘সম্মিলিত বাংলা মেলা’কে সফল করেছেন তাদের জানাই আমাদের পক্ষ থেকে ।