অনলাইন ডেস্ক : রাশিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এ মাসের ১২ তারিখে তারা করোনাভাইরাস প্রতিরোধী ভ্যাকসিনের নিবন্ধন সম্পন্ন করবে। দেশটির উপস্বাস্থ্যমন্ত্রী ওলেগ গ্রিডনেভ শুক্রবার সাংবাদিকদের এ তথ্য দিয়েছেন। রয়টার্স।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যৌথভাবে এই ভ্যাকসিন তৈরি করেছে গামালেয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউট। রাশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে স্পুটনিক নিউজ জানিয়েছে, ভ্যাকসিনটি এখন ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের তৃতীয় পর্যায়ে আছে। উফা শহরে এক ক্যান্সার সেন্টার উদ্বোধন করতে গিয়ে গ্রিডনেভ সাংবাদিকদের বলেন, ‘ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল খুবই গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। আমাদের নিশ্চিত হতে হবে, ভ্যাকসিনটি মানুষের দেহে নিরাপদ। স্বাস্থ্যকর্মী ও বেশি বয়সের মানুষদের আগে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হবে।’ এর আগে ১২ জুলাই রাশিয়ার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, গামালেই ইনস্টিটিউট অব এপিডেমোলজি অ্যান্ড মাইক্রোবায়োলজির উদ্ভাবিত ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল সফলভাবে শেষ করেছে তারা। ২২ জুলাই রুশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, তাদের ভ্যাকসিনটি প্রস্তুত। রুশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী মিখাইল মুরাশকো বলেন, ‘ভ্যাকসিন তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। এখন শুধু নিয়মমাফিক লেখাপড়ার কাজ চলছে।’ রাশিয়ান ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের প্রধান কিরিল দিমিত্রিয়েভ জানান, ভ্যাকসিনটির প্রথম ডোজ শরীরে ইনজেক্ট করার ২১ দিনের মাথায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করছে।
চূড়ান্ত ট্রায়ালে আমিরাতের ভ্যাকসিন : আরব আমিরাতের স্বাস্থ্য খাতের সহায়তায় চীনা কোম্পানি সিনোফার্ম যৌথভাবে এই করোনা ভ্যাকসিনের গবেষণা চালাচ্ছে। আবুধাবিতে ভ্যাকসিনটির প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের ট্রায়ালে সফলতা এসেছে। এখন তৃতীয় ধাপ তথা চূড়ান্ত পর্যায়ের ট্রায়ালে রয়েছে ভ্যাকসিনটি। এই পর্যায়ে সাফল্য এলে ভ্যাকসিনটি করোনা থেকে মানুষকে মুক্ত করতে পারবে।
আমিরাতের করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির প্রধান ডক্টর নাওয়াল আহমেদ আলকাবি বলেন, ধারণার চেয়েও দ্রুত কাজ হচ্ছে। গবেষকদের সরব অংশগ্রহণে এবং আমিরাত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একাগ্রতায় এখানে প্রায় ১৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবী ভ্যাকসিনটি গ্রহণ করছেন। আশা করছি, আপনাদের কাজের প্রতি নিষ্ঠা খুব দ্রুত কাজ শেষ করতে সক্ষম করবে। খুব দ্রুতই ‘ই-৮৫’ নামের এই ভ্যাকসিনের চূড়ান্ত পর্যায়ের ট্রায়ালের ফল পাওয়া যাবে।