অনলাইন ডেস্ক : স্বায়ত্তশাসিত তাইওয়ানকে বরাবরই নিজেদের অংশ বিবেচনা করে চীন। অন্যদিকে তাইওয়ানের ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ পার্টি- ডিপিপি ও বিচ্ছিন্নতাবাদীরা নিজেদের স্বাধীন বিবেচনা করে। এ লক্ষ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতা ঘোষণার পথে যেতে চায় তাইওয়ান। এ নিয়ে বেইজিং-তাইপে উত্তেজনা তুঙ্গে।
চীন কোনোভাবেই বিচ্ছিন্নতাবাদীদের চাওয়া পূরণ হতে দেবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছে। প্রথমত তারা চায় শান্তিপূর্ণ সমাধান। তবে প্রয়োজনে বলপ্রয়োগ করা হবেও বলেও সতর্কতা জানিয়ে আসছে বেইজিং।
যে কোনো সময় চীনের হামলার মুখে পড়তে হতে পারে, এ আশংকায় নিজেদের সামরিক সক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে তাইওয়ান। যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ধারাবাহিকভাবে সমরাস্ত্র কিনে মজুদ করছে তারা। এদিকে যুক্তরাষ্ট্র একদিকে বলছে, তারা এক চীন নীতি সমর্থন করে, আবার অন্যদিকে তাইওয়ানকে রক্ষায় পাশে দাঁড়ানোরও প্রতিশ্রুতি জানিয়ে আসছে। এটিকে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিমুখী নীতি বলে কঠোর সমালোচনা করে বেইজিং।
তাইওয়ানের স্বাধীন হওয়ার প্রচেষ্টা কোনোভাবেই সফল হতে দেবে না বলে নতুন করে জানিয়েছে চীন। বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে স্টেইট কাউন্সিলের তাইওয়ান বিষয়ক কার্যালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, এমন প্রচেষ্টা কখনোই আলোর মুখ দেখবে না। এই পথে হাঁটা মানে একটি কানাগলিতে পৌঁছানো, যা কখনোই গন্তব্য খুঁজে পাবে না।
সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র চেন বিনহুয়া বলেন, যারা তাইওয়ানকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা চালাবে, আইন অনুসারে তাদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে। এমন প্রচেষ্টা তাইওয়ান, তাইওয়ান প্রণালীসহ এই অঞ্চলে অস্থিতিশীলতা তৈরি করবে বলেও সতর্কতা জানান তিনি। এ অবস্থায় বিচ্ছিন্নতবাদীদের ভুল পথে না হাঁটার আহ্বান জানিয়েছে বেইজিং।