অনলাইন ডেস্ক : অনাস্থা প্রস্তাব আনা হল কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর বিরুদ্ধে। বুধবার সেদেশের পার্লামেন্টে বিতর্কের পরেই আস্থা ভোটের মুখে পড়তে হবে ট্রুডোকে। ফলে প্রশ্ন উঠছে, নির্বাচনের আগেই কি পতন হবে কানাডার সরকারের? দিন কয়েক আগেই ট্রুডোর সরকার থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন কনজারভেটিভ নেতা পিয়ের পলিভার। তিনিই অনাস্থা প্রস্তাব এনেছেন প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে।
একাধিক নির্বাচনী সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসাবে এগিয়ে রয়েছেন পিয়ের। তার পর থেকেই তিনি বারবার দাবি করেছেন, সাধারণ নির্বাচন এগিয়ে আনা হোক। এমন পরিস্থিতিতে চলতি মাসের শুরুতেই ট্রুডোর সরকার থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নেন পিয়ের। অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করেন পার্লামেন্টে। আলোচনার সময়ে সরকারকে বিঁধে তিনি বলেন, ব্যাপক মুদ্রাস্ফীতির ফলে নাভিশ্বাস উঠেছে আমজনতার। সেদেশে বেড়েছে অপরাধের মাত্রাও। গত ৯ বছরে কানাডার ঋণের পরিমাণও দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে।
বিরোধী নেতার সমস্ত অভিযোগই মেনে নিয়েছেন ট্রুডো। একটি আলোচনাসভায় তিনি বলেন, “বুঝতে পারছি মানুষ খুব সমস্যায় রয়েছেন। খাদ্য়দ্রব্য কেনা থেকে শুরু করে ঘর ভাড়া দেয়া, পেট্রল কেনা-সমস্ত ক্ষেত্রেই সমস্যা হচ্ছে। কিন্তু কানাডার আমজনতা বুঝতে পারছেন যে দেশ একটা পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। আমরা তার মধ্যেই লড়াই চালিয়ে যাব।”
যদিও কানাডার রাজনৈতিক মহলের মতে, অনাস্থা ভোটে অনায়াসেই জিতে যাবেন ট্রুডো। কারণ দুটি দলের তরফে ইতিমধ্যেই ট্রুডোকে সমর্থনের কথা জানানো হয়েছে। ফলে বুধবারই কানাডায় সরকার পতনের আশঙ্কা নেই। তবে সূত্রের খবর, আগামী সপ্তাহে আবারও অনাস্থা প্রস্তাব আনা হতে পারে ট্রুডোর বিরুদ্ধে।