অনলাইন ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জবরদখলের হুমকির মধ্যে গ্রিনল্যান্ড গেলেন বড় ছেলে ট্রাম্প জুনিয়র। মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারী) ব্যক্তিগত সফরে প্রাকৃতিক সম্পদ সমৃদ্ধ দ্বীপ দেশটির রাজধানী নুউকে পৌঁছান তিনি। বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) এ খবর জানিয়েছে সিজিটিএন ইউরোপ।
ট্রাম্প জুনিয়রের এই সফরে ডেনমার্কের মালিকানাধীন আর্কটিক দেশটি নিয়ে নানা জল্পনা শুরু হয়েছে। প্রেসিডেন্ট হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব নেয়ার আগে গত কয়েকদিন ধরে কানাডা, পানামা খাল ও গ্রিনল্যান্ড নিয়ে একাধারে বিতর্কিত বক্তব্য দিচ্ছেন ট্রাম্প।
গত ডিসেম্বরে ট্রাম্প বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য গ্রিনল্যান্ডের মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ একান্ত প্রয়োজন।’ সবশেষ গত মঙ্গলবারও স্বায়ত্তশাসিত ডেনিশ অঞ্চল গ্রিনল্যান্ডের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার অভিলাস ব্যক্ত করে বক্তব্য দেন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট। যা নিয়ে জোর বিতর্ক ও সমালোচনা চলছে। এর মধ্যেই চলতি সপ্তাহে ছেলে ট্রাম্প জুনিয়র গ্রিনল্যান্ড সফরের পরিকল্পনার কথা জানান।
ট্রাম্পও তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালের এক পোস্টে ছেলের সফরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। পোস্টে তিনি লেখেন, ডন জুনিয়র ও বেশ কয়েকজন প্রতিনিধি গ্রিনল্যান্ডের সবচেয়ে চমৎকার কিছু এলাকা ও দর্শনীয় স্থান ভ্রমণ করবেন।
ট্রাম্প আরও বলেন,‘গ্রিনল্যান্ড যদি আমাদের দেশের অংশ হয়, তাহলে দ্বীপটি ও এর জনগণ ব্যাপকভাবে লাভবান হবে। বাইরের খুব খারাপ দুনিয়ার হাত থেকে আমরা একে রক্ষা করব ও যত্ন করব। গ্রিনল্যান্ডকে আবার মহান করে তুলুন!’
মার্কিন গণমাধ্যমগুলো জানায়, ট্রাম্প জুনিয়র একদিনের ব্যক্তিগত সফরে গ্রিনল্যান্ড যাবেন। সফরে তিনি পডকাস্টের জন্য ভিডিও ফুটেজ রেকর্ড করবেন। এরপর মঙ্গলবার বাবার ব্যক্তিগত বিমান ট্রাম্প ফোর্স ওয়ানে করে দেশটিতে যান তিনি। পৌঁছানোর পর তিনি বলেন, গ্রিনল্যান্ডে আসতে পেরে খুব ‘আনন্দিত’ তিনি।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথম মেয়াদেও গ্রিনল্যান্ড কিনে নেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন ট্রাম্প। দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পরও একই কথা বলছেন। এমনকি প্রয়োজন হলেও সামরিক ও অর্থনৈতিক শক্তিও ব্যবহার করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
তবে গ্রিনল্যান্ডের নেতারা ট্রাম্পের এসব বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছেন। গত ডিসেম্বরে ট্রাম্পের মন্তব্যের জবাবে দ্বীপটির প্রধানমন্ত্রী মিউট এগেদে বলেন, ‘আমরা বিক্রির জন্য নই ও ভবিষ্যতেও বিক্রি হব না। গ্রিনল্যান্ড গ্রিনল্যান্ডের জনগণের।’