অনলাইন ডেস্ক : ভোটে কারচুপির অভিযোগ নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হওয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আইনি দলকে ‘জাতীয় পর্যায়ের কলঙ্ক’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন তারই ঘনিষ্ঠ বন্ধু ক্রিস ক্রিস্টি।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশ্বস্ত মিত্র হিসেবে পরিচিত নিউজার্সির সাবেক এই গভর্নর তাকে জো বাইডেনের কাছে হার মেনে নেয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন। খবর আলজাজিরার।
৩ নভেম্বরের নির্বাচনে পরাজয় মেনে নিতে ট্রাম্প অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছেন। ভোটে ব্যাপক জালিয়াতি হয়েছে বলে তিনি, তার প্রচার শিবির এবং আইনজীবী প্যানেল অভিযোগ করে এলেও এখন পর্যন্ত এ সংক্রান্ত কোনো প্রমাণ হাজির করতে পারেননি তারা।
বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে ফল চ্যালেঞ্জ করে মামলাও করা হয়েছে। জর্জিয়া, মিশিগানের পর পেনসিলভানিয়ায় দায়ের করা মামলাগুলো খারিজ হয়ে গেছে। তবু আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে ট্রাম্পের আইনজীবীরা। তারা মামলায় হেরে গিয়ে আপিল করার কথা বলছেন। তাদের এক হাত নিয়ে ট্রাম্পের মিত্র ক্রিস ক্রিস্টি এবিসি টিভি চ্যানেলকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, যদি খোলাখুলি বলি তা হলে ট্রাম্পের আইনজীবীরা যা করছেন তা একদম জাতীয় পর্যায়ের বিব্রতকর কার্যকলাপ।
‘কোর্টরুমের বাইরে সারাক্ষণ নির্বাচনে জালিয়াতির কথা বলে যাচ্ছে ট্রাম্পের দল। কিন্তু কোর্টরুমের ভেতরে তারা জালিয়াতির যুক্তি দেখাচ্ছে না। আমি অনেক দিন ধরে প্রেসিডেন্টের সমর্থক। তাকে আমি দুবার ভোট দিয়েছি। কিন্তু যা ঘটেনি তবু অনবরত সেটিই ঘটেছে বলে যেতে পারি না আমরা।’
ক্রিস ক্রিস্টি বিশেষ করে ট্রাম্পের আইনজীবী সিডনি পাওয়েলের কড়া সমালোচনা করেছেন।
গত বৃহস্পতিবার পাওয়েল বলেছেন, ইলেক্ট্রনিক পদ্ধতির ভোটের মাধ্যমে লাখ লাখ ভোট বাইডেনের পক্ষে বদলে দেয়া হয়েছে। যার পক্ষে কোনো যুক্তি তিনি দেখাতে পারেননি। তিনি আরও বলেন, জো বাইডেন ‘কমিউনিস্টদের টাকায় জিতেছেন’।
রোববার ট্রাম্পের দল অবশ্য এক বিবৃতিতে সিডনি পাওয়েল তাদের সঙ্গে কাজ করছেন না এমন ইঙ্গিত দিয়েছে। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প এক টুইটবার্তায় সিডনি পাওয়েলকে তার আইনি দলের সদস্য হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন।
২০১৬ সালের নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে সবচেয়ে প্রথম যে গভর্নর ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সমর্থন দিয়েছিলেন তিনি ক্রিস ক্রিস্টি।
এবারের নির্বাচনে প্রার্থীদের যেসব বিতর্ক হয়েছে তাতে ট্রাম্পের বক্তব্যের প্রস্তুতি নিতেও এই বন্ধু সহায়তা করেছেন।
প্রসঙ্গত ৩ নভেম্বরের ভোটে ইলেকটোরাল ও পপুলার দুই ভোটেই জো বাইডেন ট্রাম্পকে হারিয়েছেন। জো বাইডেন ৩০৬ ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পেয়েছেন, আর ট্রাম্প পেয়েছেন ২৩২ ইলেকটোরাল ভোট। এই ফল না মেনে বিক্ষোভ করছেন ট্রাম্প সমর্থকরা। তবে রিপাবলিকান থিংক ট্যাঙ্করা ট্রাম্পকে পরাজয় মেনে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।