অনলাইন ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রে এক ডজনেরও বেশি কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছে দেশটির বিচার বিভাগ। তারা অতীতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের অপরাধ তদন্তে কাজ করেছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নেওয়ার কয়েকদিন পরই এসব কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হলো। মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের অপরাধ তদন্তে কাজ করা এক ডজনেরও বেশি কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে বিষয়টি সম্পর্কে অবগত বেশ কয়েকটি সূত্রে জানা গেছে। বরখাস্তকৃত কর্মকর্তাদের কাছে ভারপ্রাপ্ত অ্যাটর্নি জেনারেল জেমস ম্যাকহেনরির পাঠানো একটি চিঠিতে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের এজেন্ডা “নিখুঁতভাবে” বাস্তবায়নের জন্য তাদের আর “বিশ্বাস” করা যায় না।
চিঠিতে জেমস ম্যাকহেনরি আরও লিখেছেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিচারে আপনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের তাদের অধীনস্থদের ওপর আস্থা রাখার ওপরেই সরকারের সঠিক কার্যকারিতা গুরুত্বপূর্ণভাবে নির্ভর করে। প্রেসিডেন্টের বিচারে আপনার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার পরিপ্রেক্ষিতে আমি বিশ্বাস করি না যে— বিভাগের নেতৃত্ব বিশ্বস্ততার সাথে প্রেসিডেন্টের এজেন্ডা বাস্তবায়নে সহায়তা করার জন্য আপনাকে বিশ্বাস করতে পারে।”
পৃথক প্রতিবেদনে বার্তাসংস্থা রয়টার্সও জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন সোমবার বিচার বিভাগের এক ডজনেরও বেশি আইনজীবীকে বরখাস্ত করেছেন যারা তার বিরুদ্ধে দুটি ফৌজদারি মামলা নিয়ে তদন্ত করেছিলেন।
মার্কিন বিচার বিভাগের একজন কর্মকর্তা বার্তাসংস্থাটিকে বলেছেন, ট্রাম্পের নিয়োগপ্রাপ্ত ভারপ্রাপ্ত অ্যাটর্নি জেনারেল জেমস ম্যাকহেনরি এই সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার পর কর্মকর্তাদের বরখাস্ত করা হয়েছে যে— “প্রেসিডেন্টের বিচারের ক্ষেত্রে তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কারণে ট্রাম্পের এজেন্ডাকে তারা বিশ্বস্তভাবে বাস্তবায়নে কাজ করবেন তেমনটা বিশ্বাস করা যায় না।”
বরখাস্তকৃত কর্মকর্তাদের কাছে ভারপ্রাপ্ত অ্যাটর্নি জেনারেল জেমস ম্যাকহেনরির পাঠানো চিঠির অনুলিপি দেখেছে রয়টার্স। সেখানে এই কর্মকর্তাদের বরখাস্তকে ন্যায্যতা দেওয়ার জন্য মার্কিন সংবিধানের অধীনে প্রধান নির্বাহী হিসাবে ট্রাম্পের ক্ষমতার কথা উল্লেখ করেছেন ম্যাকহেনরি।