অনলাইন ডেস্ক : সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারেও আছে গোপন ব্ল্যাকলিস্ট। এর আগে ফেসবুকে এমন ব্ল্যাক লিস্ট পাওয়া গিয়েছিল। এবার টুইটারের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ এনেছেন সাংবাদিক ব্যারি উইস। তিনি প্রকাশ করেছেন কথিত ‘টুইটার ফাইলস’-এর দ্বিতীয় কিস্তি। এতে তিনি দাবি করেছে, যারা টুইটারের ব্ল্যাক লিস্টে আছেন, তাদের পোস্ট ফলোয়ারদের কাছে যাওয়া কমিয়ে দেয় বা বন্ধ করে দেয় টুইটার। কিন্তু এ জন্য তাদেরকে কোনো ধরণের নোটিফিকেশন পাঠানো হয় না।
অভিযোগ অনুযায়ী, টুইটারের নীতি ভঙ্গ না করার পরেও বিভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের প্রচারকে থামিয়ে রাখার চেষ্টা করছে টুইটার। এ জন্য অসংখ্য একাউন্টকে ‘সিক্রেট ব্যান’ দেয়া হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন টপিক ও টুইটকে ট্রেন্ডিং হওয়া থেকে বিরত রাখে টুইটার। টুইটারের বিরুদ্ধে এই সিক্রেট নিষেধাজ্ঞার অভিযোগ বহুদিনের। তবে এতদিন টুইটার কর্তৃপক্ষ বিষয়টি অস্বীকার করে আসছিল।
তবে টুইটারের বর্তমান মালিক ইলন মাস্ক বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন।
তিনি বিষয়টির সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন। এক টুইট বার্তায় মাস্ক বলেন, এখন থেকে বিষয়টি নিয়ে গোপনীয়তা থাকবে না আর। ফলে কাউকে যদি ‘শ্যাডো ব্যান’ দেয়া হয়, তাহলে তিনি তা নিজেই দেখতে পাবেন। একাউন্ট নিয়ে স্বচ্ছতা নিশ্চিতে যা যা করা দরকার তা করা হবে বলে জানান তিনি।
মাস্ক বলেন, টুইটার এরইমধ্যে এ সংক্রান্ত সফটওয়্যার আপডেটে কাজ করছে। এটি আপডেট হয়ে গেলে, ব্যবহারকারীরা তাদের শ্যাডোব্যান সম্পর্কে জানতে পারবে। তাছাড়া কেনো এমন শাস্তি দেয়া হলো তাও জানাবে টুইটার। সামাজিক মাধ্যমটির কর্মকর্তারাই জানিয়েছেন, তাদের কাছে টুইটার নিয়ন্ত্রণের অনেক টুলস আছে যা সাধারণ মানুষ জানেন না। তারা চাইলেই যে কোনো একাউন্টকে ব্ল্যাকলিস্ট করতে পারেন। এসব একাউন্টকে সার্চ করলেও খুঁজে পাওয়া যায় না। তাদের পোস্টও মানুষের কাছে যায় না বা কম যায়। কিন্তু এমন শাস্তি দেয়ার জন্য টুইটার কোনো কারণও প্রদর্শন করে না।