বিনোদন ডেস্ক : ২০০ কোটি টাকার আর্থিক প্রতারণার মামলায় ইতিমধ্যেই নাম জড়িয়েছে জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজের। একাধিকবার ইডি-র পক্ষ থেকে সম্মান পাঠানো হয়েছে বলি অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজকে। ফের দিনকয়েক আগেই ইডি-র দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল তাকে। কিন্তু আবারও কেন্দ্রীয় সংস্থার সমন এড়িয়ে হাজিরা দিলেন না জ্যাকলিন। এই নিয়ে টানা চতুর্থ বার কাজের ব্যস্ততার অজুহাত দেখিয়ে সমন এড়িয়ে গেলেন অভিনেত্রী।
এরআগে সাক্ষী হিসাবে গত ৩০ আগস্ট ইডির দফতরে প্রায় ৫ ঘণ্টার ম্যারাথন জেরা করা হয়েছিল জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজকে। ‘প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট’-এর আওতায় ইডি আধিকারিকদের সামনে বয়ান নথিভুক্ত করেছিলেন জ্যাকলিন। এরপর গত ২৫শে সেপ্টেম্বর এবং ১৫, ১৬ অক্টোবর ইডির সমন এড়িয়ে গিয়েছিলেন জ্যাকলিন। একই মামলায় ইডির পক্ষ থেকে সমন পাঠানো হয়েছিল অভিনেত্রী নোরা ফাতেহি-কেও।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই বলিউড অভিনেত্রী নোরা ফাতেহি এবং জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজের বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ উঠে, যার পরিমাণ ২০০ কোটি টাকা। বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) বেলা ১১ টায় দিল্লির ইডি-র অফিসে হাজিরা দিয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী নোরা ফাতেহি। আর শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) ইডির অফিসে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিলো জ্যাকলিনকে।
কিন্তু জ্যাকলিন ইডির দফতরকে জানান, পেশাগত ব্যস্ততার কারণে তিনি হাজিরা দিতে পারছেন না। জিজ্ঞাসাবাদের তারিখ পিছিয়ে আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে ফেলার অনুরোধও জানিয়েছিলেন তিনি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, নোরা ফাতেহি এবং জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজের বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগকারী শিবিন্দর সিং নামে এক প্রোমাটারের স্ত্রী অদিতি সিং। তার অভিযোগ, স্বামী যখন জেলে ছিলেন তখন এক ব্যক্তি আইন মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দিয়ে সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছিল। মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে শিবিন্দরের জামিন করিয়ে দিয়েছিল সে। অদিতি জানান, মোট ৩০টি কিস্তিতে ২০০ কোটি টাকা তাকে দিয়েছিলেন তিনি। সে সময় ওই ব্যক্তি জানিয়েছিল, ওই টাকা বিজেপির পার্টি তহবিলে জমা হবে। পুরো বিষয়টিই নাকি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানেন।
পরে ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, ২১টি মামলায় অভিযুক্ত সুকেশ চন্দ্রশেখরই মূল কালপ্রিট। সে দিল্লির রোহিণী কারাগারে বসেই তোলাবাজির এই ছক কষেছিল। ইডির তদন্তকারীরা জানতে পারে, তার সঙ্গে যোগাযোগ ছিল নোরা ফাতেহির। এমনকী, জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজের সঙ্গেও রীতিমতো যোগাযোগ ছিল চন্দ্রশেখরের।