স্পোর্টস ডেস্ক : লিওনেল মেসি আরও টাকা বাড়িয়ে নতুন চুক্তি করার জন্যই এমন করছেন।
লিওনেল মেসি বার্সেলোনা ছাড়তে চাইছেন, কারণ বার্সা তাঁর বন্ধু লুইস সুয়ারেজ ও আর্তুরো ভিদালকে বিক্রি করে দিতে চাইছে।

২৫ আগস্ট ক্লাব ছাড়তে চাওয়ার ইচ্ছার কথা জানিয়ে বার্সেলোনাকে মেসি বুরোফ্যাক্স পাঠানোর পর থেকে গত দশ দিনে এমন কত গুঞ্জনই না শোনা গেছে। কিছু হয়তো বার্সেলোনায় বার্তোমেউ-সমর্থকদের দিক থেকে, কিছু হয়তো বা বার্সেলোনার প্রতিপক্ষ ক্লাবগুলোর সমর্থকদের দিক থেকে। ক্লাবে মেসির প্রিয় বন্ধুদের রাখতে চান, সব সময় যে কোনো পরিস্থিতিতে খেলাতে চান, মেসি তাঁর ‘আমিগো’দের স্বার্থটাই বেশি দেখেন—এমন কথা তো সব সময়ই ঠারেঠোরে শোনা যেত। সে অবশ্য আর্জেন্টিনা জাতীয় দলকে ঘিরেও শোনা যায়। তা আর্জেন্টিনার জাতীয় দলে তাঁর প্রভাব ঘিরে সব মন্তব্যের কড়া জবাব তো মেসি আগেই দিয়েছিলেন, বার্সেলোনাকে ঘিরে এসব কথার জবাব দিলেন কাল।

বার্সেলোনা ছাড়তে চাইলেও ক্লাবের বাধায় পারছেন না, ছাড়তে হলে ক্লাবকে আদালতে নিতে হবে কিন্তু তা তিনি চাইছেন না—এমন বিবৃতি দেওয়া মেসির সাক্ষাৎকারটা কাল বেশ সাড়া ফেলে দিয়েছে। সেখানেই মেসি কথা বলেছেন তাঁর বন্ধুদের প্রতি টানের গুজব নিয়ে, অর্থের লোভে তিনি এমন করতে চাইছেন বলে চলতে থাকা সব সমালোচনা নিয়েও।

ক্লাব সভাপতি জোসেপ মারিয়া বার্তোমেউ তাঁর সঙ্গে প্রতারণা করেছেন জানিয়ে তাঁকে তো ধুয়ে দিয়েছেনই, গোলডটকমে সাক্ষাৎকারে মেসি জানিয়েছেন তাঁর বার্সা ছাড়তে চাওয়া আর ছাড়তে না পারার সব কারণও। এর মধ্যে উঠে এসেছে তাঁকে ঘিরে চলতে থাকা অপ্রীতিকর সব গুঞ্জনের কথাও।

সব সময়ই ক্লাবকে সবকিছুর ওপরে রেখেছি। এর আগে অনেকবারই তো বার্সেলোনা ছাড়ার সুযোগ এসেছিল আমার সামনে!
লিওনেল মেসি, বার্সেলোনা ফরোয়ার্ড
মেসিই অদৃশ্যে থেকে ক্লাব চালান, মেসির ইশারায় দল গড়ে, কোচ নির্বাচিত হয়…মনগড়া কত সমালোচনাই তো ৩৩ বছর বয়সী আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডকে ঘিরে শোনা যায়। এর মধ্যে একটি ছিল, বন্ধু সুয়ারেজ-ভিদালদের সঙ্গেই খেলতে বেশি স্বচ্ছন্দ মেসি, তাঁদেরই দলে চান সব সময়ই। আরেকটি ছিল, আসলে ক্লাব ছাড়া কিছু নয়, টাকার জন্যই এত কিছু করছেন মেসি।
এসব সমালোচনা মেসি শোনেন, দেখেন। কেমন লাগে তাঁর? কাল সাক্ষাৎকারে মেসির জবাব, ‘সবকিছু শুনে কষ্টই লেগেছে। মেসির ‘আমিগোস’, অর্থলোভ…অনেক কিছুই বলা হয়েছে আমাকে ঘিরে, যেগুলো শুনে কষ্ট পেয়েছি অনেক। সব সময়ই ক্লাবকে সবকিছুর ওপরে রেখেছি। এর আগে অনেকবারই তো বার্সেলোনা ছাড়ার সুযোগ এসেছিল আমার সামনে!’