সোনা কান্তি বড়ুয়া : বৌদ্ধধর্মের জয়গান গেয়ে আমেরিকার বিশ্ববিখ্যাত টাইম ম্যাগাজিন নিজেকে ধন্য মনে করেছেন। আমেরিকার টাইম ম্যাগাজিনে বুদ্ধ বন্দনা ও বৌদ্ধধর্মের ইতিহাস অহিংসার বিশ্বমৈত্রীর সাধনায় আমেরিকাস ফ্যাসসিনেশান উইথ বুড্ডিজম এবং মহামান্য দালাইলামর নিকট আমেরিকান স্ত্রী ও পুরুষ দলে দলে বৌদ্ধধর্ম গ্রহন করেছেন (টাইম, ১৩ অক্টোবর ১৯৯৭ সাল)।
আমেরিকার মহামানবের সাগরতীরে বৌদ্ধধর্মের ইতিহাস (TIME , 13 OCTOBER 1997 টাইম, ১৩ অক্টোবর ১৯৯৭ সাল)। ১৮৭৫ সালে আমেরিকার বৌদ্ধ আন্দোলনের অগ্রদূত মহাত্মা কর্নেল হেনরি ষ্টিল অলকট থিউসোফিক্যাল সোসাইটির মাধ্যমে শ্রীলঙ্কায় (সিংহল) গিয়ে মুখোমুখি বৌদ্ধধর্মের পক্ষ নিয়ে খ্রীষ্ঠান পন্ডিতদের সাথে তর্ক যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছিলেন। তিান বিশ্ববৌদ্ধ ফেলোশিপের পতাকা এবং আন্তর্জাতিক বৌদ্ধধর্মের রতœমালা (ক্যাতেসিজম) সম্পাদনা করেছিলেন। তাঁরই অনুপ্রেরনায় শ্রীলঙ্কার অনাগারিক ধর্মপাল তাঁর পুরানো ডেভিড নাম ত্যাগ করে ধর্মপাল নামে পরিচিতি হয়েছিলেন। বিশ্ব সভ্যতা এবং বাংলা ভাষার জনক গৌতমবুদ্ধ বাংলাদেশে পুন্ড্রবর্ধনে (বগুড়ার মহাস্থানগড়) প্রাচীন বাংলাদেশের জনতাকে দিনের পর দিন দান শীল সমাধি এবং প্রজ্ঞা শিক্ষা দিয়ে বিশ্বশান্তি স্থাপন করেছিলেন। আমেরিকার টাইম ম্যাগাজিনে বুদ্ধ বন্দনা ও চিটিংবাজ চাঁদা তোলে কেন?
১৮৯৬ সালে বৌদ্ধ পন্ডিত হেনরি ওয়ারেন ক্লার্ক “বুড্ডিজম ইন ট্রানশ্লেশন” শীর্ষক মূল্যবান গ্রন্থ লেখা এবং হার্ভাট অরিয়েন্টাল সিরিস সম্পাদনা করে অমর হয়েছেন। আমেরিকায় বৌদ্ধধর্ম প্রচারের জন্যে ১৮৯৭ সালে লেখক পল সারাস জাপানী জেন (ধ্যান) বৌদ্ধধর্মের মহাপন্ডিত মহামহোপাধ্যায় ডি টি সুজুকিকে আমেরিকায় আসার নিমন্ত্রন করলেন। ডি টি সুজুকির বৌদ্ধ ধ্যানের বক্তৃতামালা আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়সমুহ এবং বুদ্ধিজীবি জগতে গভীর আলোড়ন সৃষ্ঠি করেছিলেন।
জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে মানব সভ্যতায় বৌদ্ধধর্মের ধ্যান পদ্ধতির দুর্লভ অবদান নিয়ে টাইম ম্যাগাজিন চলমান আমেরিকান সমাজে বৌদ্ধদর্শনের মূল্যায়ণ করেছেন। প্রসঙ্গত: বাঙালি জাতির প্রথম গ্রন্থ চর্য়াপদের বিষয়বস্তু ছিল বৌদ্ধধর্ম এবং বিশ্বমানবতাবাদী সর্বকালের বৌদ্ধ দর্শন। একুশে ভাষা আন্দোলনের আলোকে বাংলা ভাষা এবং একাত্তরের স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্যে “কত প্রাণ হল বলিদান / লেখা আছে অশ্রুজলে।”
ঢাকার আমেরিকা দূতাবাস আমার লেখা ইংরেজি বই “সত্যের সন্ধানে (IN QUEST OF TRUTH) শীর্ষক বৌদ্ধ উপন্যাস পাঠে সন্তুষ্ঠ হয়ে বিগত ১২ মে ১৯৮৯ সালে (আমাকে) আমেরিকা ভ্রমণের সরকারি নিমন্ত্রণ পত্র আমার ঠিকানায় প্রেরন করেছিলেন। ১৯৮৭ সালে চীন ও থাইল্যান্ডের বিভিন্ন বৌদ্ধ গ্রন্থ প্রকাশনী সমিতি আমার লেখা ইংরেজি বই “আনবিক যুগে বৌদ্ধ চিন্তা ও ধ্যান প্রসঙ্গ (Buddhist thought & Meditation in the Nuclear Age) শীর্ষক বৌদ্ধ গ্রন্থের ত্রিশ হাজার কপি আমেরিকার লাইব্রেরি অব কংগ্রেস সহ বিশ্বজুড়ে পরিবেশন করেছেন।
বুদ্ধই মানুষকে ঈশ্বরের আসনে বসিয়েছেন! ভারতবর্ষের ভাষা ও বাংলা ভাষার জনক গৌতমবুদ্ধ! বুদ্ধই মানুষকে ঈশ্বরের আসনে বসিয়েছেন! সেখানে ভাষার ক্ষেত্রেও (লিপির ক্ষেত্রে তো বটেই) বুদ্ধ জনসমাজের দরবারেই হাত পেতেছেন। এই ভাষা ও লিপির পুনর্জাগরণ ঘটিয়ে বুদ্ধ ভারতীয় ঐতিহ্যকে সামগ্রিক বিকৃতির হাত থেকে বাঁচিয়েছেন। আজকের বাংলাভাষা, সংস্কৃত নয়, মূলত পালিভাষার বিবর্তিত রূপ। ভারতবর্ষের এই ট্র্যাডিশনাল বিকৃতির হাত থেকে দেশবাসীকে অব্যাহতি দিয়ে অবশ্যই বুদ্ধ সর্বপ্রথম চেষ্টা করেন এবং সফলও হন। সিদ্ধার্থ (গৌতমবুদ্ধ) বাল্যকালে যে ব্রাহ্মী, বাংলা, দেবনাগরি, লিপিসহ ৬৪ প্রকার ভাষার লিপিসমূহ অধ্যায়ন করেছিলেন তা বাংলা বিশ্বকোষে (১৩শ ভাগ, পৃঃ ৬৫) সগৌরবে লিপিবদ্ধ আছে। বুদ্ধই মানুষকে ঈশ্বরের আসনে বসিয়েছেন এবং সেই মানুষের আচরণযোগ্য ধর্মও নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন।
মানুষের কর্মের ওপর ভগবানের ও কোন অধিকার নেই। এটাই জগৎে’ র নিয়ম। মানুষ স্বাধীন জীব। শুধু মানুষ কেন জগৎের সমস্ত জীবই স্বাধীন। মানুষ তো আরও স্বতন্ত্র। তার বিবেক, বুদ্ধি, মনুষ্যত্ব আছে। তাই তার স্বাধিকারের ওপর হস্তক্ষেপ ভগবান ও পারেন না। মোহ, মায়া ও অহংকারের বশীভ‚ত হয়ে বাসনাসক্ত মানুষ পাপের বোঝা বাড়িয়ে চলে । মানুষ কি জানে, তাকে পুতুলের মতো করে নাচাচ্ছে অন্য কেউ?
এবার আসি মূল প্রসঙ্গে! আমার সহধর্মিণী যুথিকা বড়ুয়ার মৃত্যুতে টরন্টোর চিটিংবাজ সনদ বড়ুয়া চাঁদা তোলে আমার স্বাধিকারের ও পর হস্তক্ষেপ করেছে। উত্তর আমেরিকায় আমার সহধর্মিণী যুথিকার বড়ুয়ার মৃত্যুতে চিটিংবাজ সনদ বড়ুয়া চাঁদা তোলে কেন? সনদ বড়ুয়া টরন্টো বাংলাদেশ বৌদ্ধ বিহার সমিতিকে (BUDDHIST SOCIETY OF ONTARIO) হাতিয়ার করে চাঁদা তোলে সনদ বড়ুয়া আমার স্বাধিকারের ওপর হস্তক্ষেপ করেছে। আমার স্বাধিকারের ওপর হস্তক্ষেপ করে সনদ বড়ুয়ার দুর্বৃত্তপনা কেন?
ছিঃ! টরন্টোর চিটিংবাজ সনদ বড়ুয়া ছিঃ! আমি-টরন্টো বৌদ্ধ বিহারকে তিন হাজর ডলষর দষন দিয়েছি / – চিটিংবাজ সনদ বড়ুয়া আমার স্বাধিকারের দষনের ওপর হস্তক্ষেপ করেছে। টরন্টো বৌদ্ধ বিহারকে তিন হাজার ডলার দান MADE HIS (চিটিংবাজ সনদ বড়ুয়া) SINISTER CONSPIRACY! টরন্টো বাংলাদেশ বৌদ্ধ বিহার সমিতিকে (BUDDHIST SOCIETY OF ONTARIO) হাতিয়ার করে সনদ বড়ুয়া আমার তিন হাজার $960 ডলার দানের ওপর হস্তক্ষেপ করে! তিন হাজর ডলার দান প্রবঞ্চনা প্রসঙ্গ! মনুষ্যত্ব কেড়ে নিয়ে আশীষ বড়ুয়া উস্কানি দিচ্ছেন টরন্টোর সনদ বড়ুয়াকে! টরন্টো বৌদ্ধ সমিতিকে হাতিয়ার করে আশীষ বড়ুয়া ও টরন্টোর সনদ বড়ুয়া আমার তিন হাজর ডলষর দষন টরন্টো বৌদ্ধ সমিতিকে MADE THEIR SINISTER CONSPIRACY প্রসঙ্গ!
টরন্টো বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট বিহার সমিতিকে হাতিয়ার করে শ্রী আশীষ বড়ুয়া সনদ বড়ুয়ার প্রবঞ্চনা প্রসঙ্গ! প্রত্যেক সত্ত¡গণের জীবনধারায় ক্লেশধর্ম হচ্ছে সৎকায়দৃষ্টির প্রতি তীব্র দৃষ্টি আসক্তিতে সনদ বড়ুয়ার প্রবঞ্চনার স্বপ্নভঙ্গ ভ‚মিকায় বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট বিহার অফ টরেন্টোর আশীষ বড়ুয়া (পটিয়া থানার অন্তর্গত জোয়ারা খানখানাবাদ গ্রাম)! সোনা কান্তি বড়ুয়ার সহধর্মিণী যুথিকা বড়ুয়ার মৃত্যুতে চট্টগ্রামে (ফটিকছড়ি)-নানুপুর গ্রামের সনদ বড়ুয়া টরন্টো তে সোনা কান্তি বড়ুয়ার ফেক আইডি বানিয়ে কানাডাতে ভিক্ষার ঝুলি হাতে চাঁদা তোলছে (25 APRIL 2023)! আমাদের জাতীয় বিবেকের জবাবদিহিতার শক্তি মরে ধর্ম নামক বিভিন্নভয় ভীতির কবলে। ইতিহাসের স্বপ্নভঙ্গ ভ‚মিকায় সনদ বড়ুয়ার COMMUNITY মন্দির মানে আজীবন চাঁদাবাজির নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান! সোনা কান্তি বড়ুয়াকে নিচে ফেলার ষড়যন্ত্রের পর্দা এখন ফাঁস হয়েছে। আমৃত্যুর দুঃখের তপস্যা এ জীবন, ট্রাজেডি সনদ বড়ুয়ার প্রবঞ্চনা প্রসঙ্গস্বপ্নভঙ্গ! সনদ বড়ুয়া / সোনা কান্তি বড়ুয়ার ফেক আইডি বানিয়ে চাঁদা তোলে কেন?
সোনা কান্তি বড়ুয়াকে নিচে ফেলা সনদ বড়ুয়ার আক্রোশ! যুথিকা বড়ুয়ার মৃত্যুতে নির্লজ্জ সনদ বড়ুয়ার PUBLIC MONEY (Donation টাকা-পয়সা) COLLECTION কেন? সনদ বড়ুয়ার পাপে নির্লজ্জতা ও অসংকোচ, সনদ বড়ুয়া সোনা কান্তি বড়ুয়ারক্লেশমার শত্রু! আমি -যে দেখেছি গোপন হিংসা কপট রাত্রিছায়ে / হেনেছে নিঃসহায়ে, / আমি-যে দেখেছি প্রতিকারহীন শক্তের অপরাধে / বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদে! সোনা কান্তি বড়ুয়ার বিরুদ্ধে সনদ বড়ুয়ার ক্রোধ ও শত্রুতা, নির্লজ্জতা! আমায় সহধর্মিণী যুথিকার মৃত্যুতে চিটিংবাজ সনদ বড়ুয়া চাঁদা তোলে এহেন জঘন্য নেক্কার জনক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সেই সাথে সনদ বড়ুয়াকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য!
মানুষের জীবনটা একটা রঙ্গমঞ্চ। সেই মঞ্চে পুতুলনাচের পাত্র হয় মানুষ। মানুষ কি জানে, তাকে পুতুলের মতো করে নাচাচ্ছে অন্য কেউ? জানলেও কি সে বাঁধন ছিঁড়তে চায়? নাকি জীবনপথের রঙ্গমঞ্চে পুতুলনাচের পুতুল হয়েই কাটিয়ে দিতে হয় তাকে? মানবজীবনরূপী এই রঙ্গমঞ্চের পুতুলনাচ খেলার গল্প বলেছেন মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় তার পুতুলনাচের ইতিকথায়। আমাদের ওড়িশী অ্যান্ড টেগোর ডান্স মুভমেন্ট সেন্টার,চট্টগ্রাম এর ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা ৭/৮ বছর ধরে প্রায় নববর্ষে পুতুল নাচ পরিবেশন করে আসছে।এবার সেই পুতুল নাচ আপনাদের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিয়ে আসলাম আমরা। পুতুল নাচের ইতিকথা!
আমার সকল দুঃখের প্রদীপ জ্বেলে জানি – সবাই আমাকে ছাইড়া গেলেও দুঃখ আমায় ছাড়ে নাই! বাংলাদেশে পুতুল নাচের ঐতিহ্য অনেক প্রাচীন। মানুষের চিন্তার প্রসার ও কল্পনার জগৎ বিস্তৃত করতে প্রাচীন বৃহত্তর বাংলার বিহার, ওড়িষ্যা, আসাম, ত্রিপুরা, মণিপুরের নদীতীরবর্তী জেলাগুলোতে পুতুল নাচের প্রচলন ছিলো। আর্যরা যখন বঙ্গদেশে এলো সেসময় অবিভক্ত বাংলার পূর্ব অংশকে গৌড় বলা হতো আর দক্ষিণ বঙ্গকে বলা হতো সমতট। দক্ষিণবঙ্গের বিস্তার বাংলাদেশের বাকেরগঞ্জ থেকে শুরু করে হুগলি নদীর পূর্বতট সুন্দরবন পর্যন্ত। এই ভৌগলিক সীমানার মধ্যে বাংলার পুতুল নাট্যপালা!
অধ্যক্ষ ড. অর্থদর্শী বড়ুয়ার ভাষায়, “শীলঘাটা গ্রামের কৃতি সন্তান লেখক, গবেষক, ধর্ম দর্শন ও ইতিহাস বিষয়ে অত্যন্ত প্রাজ্ঞ, বিশ্ব বৌদ্ধ সৌভ্রাতৃত্ব সংঘ (WFB) কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের প্রাক্তন লাইব্রেরিয়ান ও সহসাধারণ সম্পাদক বর্তমান কানাডা প্রবাসী শ্রদ্ধেয় দাদা সোনা কান্তি বড়ুয়ার সহধর্মিণী বিশিষ্ট কণ্ঠশিল্পী মিসেস যুথিকা বড়ুয়া ভারতের কলকাতার বাটানগর (বাপের বাড়িতে) বেড়াতে এসে গত কাল পরপারগত হন। সাথে তাঁর বড় মেয়ে ইন্দিরা বড়ুয়া ও ভ্রমণ এসেছিলেন। বৌদির আকস্মিক প্রয়াণ সংবাদ শুনে আমি গভীরভাবে শোকাহত । পুণ্য দানে বৌদির পারলৌকিক সদগতি ও শান্তি কামনা করছি। দাদা সোনা কান্তি বড়ুয়াসহ পরিবারের কলের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। উল্লেখ যে শ্রদ্ধেয় সোনা কান্তি বড়ুয়া স্বদেশ ভ্রমণ আসলে আমার অনুপ্রেরণায় আমাদের নির্মাণাধীন বিহারের জন্য একলক্ষ টাকা এবং সাতকানিয়া লোহাগাড়া বৌদ্ধ ঐক্য পরিষদে এককালীন ২৫০০০/- টাকা দান দিয়ে মাতাপিতার নামে স্মৃতি বৃত্তি প্রদান করে পৃষ্ঠপোষক পদ অলংকৃত করেন। সূদুর বিদেশে অবস্থান করলেও মাতৃভ‚মির প্রতি তাঁর অপরিমেয় আকর্ষণ থাকায় প্রায়শই তিনি স্বদেশের খবরাখবর খোঁজ নিয়ে থাকেন। তাঁর লিখিত গ্রন্থাবলী পণ্ডিত মহলে সমাদৃত। “রবীন্দ্রনাথের বুদ্ধ বন্দনায় বাংলা ও ভারতীয় ভাষার জনক” PRE- VEDIC MOHENJODARO BUDDHISM AND MEDITATION IN THE NUCLEAR AGE. বৌদ্ধ বিশ্বে বহুল প্রচারিত।
বিভিন্ন কারনে তিব্বত থেকে ১৯৫৬ সালে তিব্বতি বৌদ্ধধর্মের প্রতিনিধি মহামান্য দালায় লামা ভারতে এলেন। ১৯৮৯ সালে আমেরিকায় আমন্ত্রিত হয়ে এলেন এবং বৌদ্ধধর্ম, ধ্যান এবং অহিংসা পরম ধর্ম সম্বন্ধে বিবিধ ভাষন আমেরিকার সাধারন জনতাসহ হলিউডের নায়ক নায়িকাগণকে গভীরভাবে আকর্ষন করেছেন। গত বছর কানাডার বৌদ্ধ পত্রিকা সুমেরু (ও অতীশ দীপঙ্কর ফেসবুকে) সংবাদ ছিল: ব্রিটেনের অর্থমন্ত্রী মহামান্য জর্জ অসবোর্ন রাজনীতির রাজসিংহাসন ত্যাগ করে বেীদ্ধ ভিক্ষু হয়েছেন এবং নেপালের গভীর জঙ্গলে ধ্যান প্রশিক্ষণ বৌদ্ধ মন্দিরে গভীর ধ্যানে মগ্ন থাকেন। কানাডায় বসবাসরত বাংলাদেশের বৌদ্ধগণ উক্ত সংবাদ পাঠে পুলকিত এবং আনন্দ বোধ করছেন যে, বাংলাদেশের পাহাড়পুরের মতো কানাডায় ১,৭০০ একরের বৃহত্তম বৌদ্ধ বিহার নির্মিত হচ্ছে অহিংসা পরম ধর্ম মানব সমাজে প্রচারের জন্যে।
১৮৭৯ সালে লন্ডন টাইম পত্রিকার সম্পাদক বিখ্যাত ’লাইট অব এশিয়া’ শীর্ষক গৌতমবুদ্ধের জীবনী ইংরেজি ভাষায় কবিতা রচনা করে জগৎ জুড়ে খ্যাতি লাভ করেছিলেন। বিভিন্নদেশের বৌদ্ধ বিহারে ইসলামি জঙ্গীদের তান্ডব দাহন হলে ও ইউরোপ এবং আমেরিকায় বাংলাদেশের প্রাচীন পালরাজত্ব ও বঙ্গরত্ন অতীশ দীপঙ্কেরের বৌদ্ধধমের্র বিপুল বিজয়। বৌদ্ধধর্ম প্রচার ও প্রসারের জন্যে ১৮৯৪ সালে আমেরিকান বৌদ্ধ লেখক পল সারাস ’দি গসপেল অব বুড্ডিজম’ রচনা করেছিলেন। অনাগরিক ধর্মপাল সহ চীন, শ্রীলঙ্কা এবং জাপানী বৌদ্ধদের অক্লান্ত পরিশ্রমে আমেরিকা এবং কানাডায় অনেক মন্দির স্থাপিত হয়েছিল।
১৯৬৪ সালে আমেরিকা ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় অনেক আমেরিকান সৈন্য উক্ত যুদ্ধের বিভীষিকা থেকে মুক্তি পেতে থাইল্যান্ডে এসে বৌদ্ধ ভিক্ষু হয়েছেন। অবশেষে আমেরিকা ভিয়েনামের কাছে পরাজিত হলেন এবং ১৯৭৯ সালে হাজার হাজার ভিয়েতনামী, লাওস এবং কম্বোডিয়ার বৌদ্ধ ভিক্ষু এবং জনতা শরণার্থী হয়ে আমেরিকা ও কানাডায় জীবন যাপন করতে আসেন। বর্তমানে উত্তর আমেরিকায় থেরবাদ, মহাযান, বজ্রযান এবং তিব্বতি বৌদ্ধধর্ম বিরাজমান।
উত্তর আমেরিকায় বাংলাদেশী বৌদ্ধ প্রসঙ্গ! এই প্রসঙ্গে ইহা ও বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য যে আমেরিকার বিদর্শন সোসাইটি আমাদের চট্টগ্রামের বিদর্শন শিক্ষক মুনিন্দ্র বড়ুয়া এবং বিদর্শন সাধিকা দীপা মা (ননী বালা বড়ুয়া) কে কোলকাতা থেকে ক্যালিফোর্নিয়ায় নিমন্ত্রন করেছিলেন। আমেরিকায় বৌদ্ধধর্ম প্রচারের ক্ষেত্রে উভয়ের নাম সশ্রদ্ধায় লিপিবদ্ধ থাকবে।
বোষ্টন, আমেরিকা। মানবতার জয়গানে বিগত ১৯ এবং ২০ জুলাই ২০১৩ বোষ্টন বাংলাদেশ বুড্ডিষ্ট এসোসিয়াশনের উদ্যোগে স্থানীয় সুমনোরম ম্যাকলিন মিডল স্কুল হলে স্থানীয় প্রবাসী বাংলাদেশী বৌদ্ধদের সহযোগীতায় উত্তর আমেরিকা বৌদ্ধ সৌভ্রাতৃত্ব সন্মেলন ২০১৩ মহাসমারোহে সমাপ্ত হয়েছে। বহু দূর প্রবাসে বৌদ্ধ সংস্কৃতির শিকড় ছুঁয়ে থাকার থাকার প্রয়াসে বৌদ্ধ জাতির এই মহান সন্মেলনে আমেরিকা এবং কানাডার বিভিন্ন শহর থেকে বিপুল বৌদ্ধ জনতার সমাগমে আকাশ বাতাসের কোলাহল বিদীর্ণ করে “বুদ্ধং সরনং গচ্ছামি” ধ্বনিত হয়।
নির্ভেজাল সত্যবচন। ‘বৌদ্ধ সংস্কৃতি’ নামের জোড়কলম শব্দটা বাংলাদেশে বসে যে ভাবে চোখের সামনে ভাসে, সেই অক্ষদ্রাঘিমা থেকে হাজার হাজার মাইল দূরে বসে তার আদলটা বোঝা অত সহজ কর্ম নয়।
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ঠাকুরের ভাষায়
আলো আমার, আলো ওগো, আলো ভুবন-ভরা।
আলো নয়ন-ধোওয়া আমার, আলো হৃদয়-হরা\
নাচে আলো নাচে, ও ভাই, আমার প্রাণের কাছে–
বাজে আলো বাজে, ও ভাই হৃদয়বীণার মাঝে–
জাগে আকাশ, ছোটে বাতাস, হাসে সকল ধরা\
আলোর স্রোতে পাল তুলেছে হাজার প্রজাপতি।
আলোর ঢেউয়ে উঠল নেচে মল্লিকা মালতী।
মেঘে মেঘে সোনা, ও ভাই, যায় না মানিক গোনা–
পাতায় পাতায় হাসি, ও ভাই, পুলক রাশি রাশি–
সুরনদীর ক‚ল ডুবেছে সুধা-নিঝর-ঝরা\
বিশ্ববৌদ্ধ পুরস্কার প্রাপ্ত প্রখ্যাত মানবতাবাদী লেখক সোনা কান্তি বড়ুয়া (Bachelor of Arts, University of Toronto), The AuthorÕs World famous and glorious New Book entitled ÒPRE – VEDIC MOHENJODARO BUDDHISM & MEDITATION IN THE NUCLEAR AGE, (516 Pages)“ সাবেক সভাপতি, বাংলা সাহিত্য পরিষদ, টরন্টো, খ্যাতিমান ঐতিহাসিক, কথাশিল্পী, বিবিধগ্রন্থ প্রনেতা প্রবাসী কলামিষ্ঠ, লাইব্রেরীয়ান, বিশ্ববৌদ্ধ সৌভ্রতৃত্ব পত্রিকার সহ সম্পাদক এবং জাতিসংঘে বিশ্ববৌদ্ধ প্রতিনিধি!