অনলাইন ডেস্ক : টরন্টোর বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাব-গাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে জাতীয় শোক দিবস এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদাত বার্ষিকী পালন করেছে। মিশনের কর্মকর্তা, মুক্তিযোদ্ধা, কমিউনিটি সদস্যগণ এবং অন্টারিও আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ মহামারীর মাঝেও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এবং সকল স্বাস্থ্য-সুরক্ষা অবলম্বন করে এ কর্মসূচীতে অংশ নেন।
কনসাল জেনারেল নাঈম উদ্দিন আহমেদ সকালে বাংলাদেশ হাউসে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করার মধ্য দিয়ে দিনটির কর্মসূচি শুরু করেন। বিকেলে কনস্যুলেট জেনারেলে বিশদ কর্মসূচীর মাধ্যমে দিবসটি পালন করা হয়, যার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত ছিল কনসাল জেনারেল ও কর্মকর্তাগণ কর্তৃক বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ, বঙ্গবন্ধুর জীবন সম্পর্কিত তথ্যচিত্র প্রদর্শন এবং বঙ্গবন্ধুর গৌরবময় জীবন ও অবদান নিয়ে আলোচনা।
কনসাল জেনারেল নাঈম উদ্দিন আহমেদ তার বক্তব্যে ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যাকাণ্ডকে বাঙ্গালীর ইতিহাসে সবচেয়ে বর্বরোচিত ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি এই শোককে শক্তিতে পরিণত করার আহ্বান জানিয়ে জাতির পিতার স্বপ্নের “সোনার বাংলা” বিনির্মাণে প্রত্যেককে যার যার অবস্থান থেকে অবদান রাখার আহবান জানান। তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে উন্নয়নের মহাসড়কে নিয়ে গেছেন এবং ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নয়নশীল দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশ হিসাবে গড়ে তোলার রূপকল্প স্থির করেছেন এবং এই রূপকল্পের বাস্তবায়নই হবে দেশবাসীর জন্য বঙ্গবন্ধুর প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন। কনসাল জেনারেল এই লক্ষ্যসমূহ পূরণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিরলস প্রয়াসকে বেগবান করতে প্রত্যেককে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সততার সাথে কাজ করার আহ্বান জানান।
মুক্তিযোদ্ধা, বাংলাদেশ কমিউনিটি সদস্য এবং অন্টারিও আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ এই আলোচনায় অংশ নেন। ১৫ আগস্টের শহীদদের জন্য বিশেষ দোয়ার মাধ্যমে কর্মসুচির পরিসমাপ্তি হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি