অনলাইন ডেস্ক : কানাডার টরন্টোতে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় তিন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর নিহতের ঘটনায় অটোয়া শহরের বাংলাদেশ দূতাবাস গভীর শোক জানিয়েছে এবং এছাড়া লাশ দেশে পাঠাতে সব ধরনের আশ্বাস দিয়েছে দূতাবাস।
শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দূতাবাসের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হতাহতের পরিবারের সদস্যদের এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সম্ভাব্য সব ধরনের প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবে। সেজন্য টরন্টোতে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল ও জেনারেল এবং কনস্যুলেটের অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পরামর্শ পাশাপাশা নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাতে ডেথ সার্টিফিকিট, সঙ্গে প্রয়োজনীয় নথি জারি, হাসপাতাল এবং অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার কাগজপত্র সহজে পেতে পারে।
এছাড়াও নিহত ছাত্রদের লাশ দ্রুত সুষ্ঠভাবে পরিবহনের জন্য টরন্টোতে বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। যাতে প্রক্রিয়াটি সহজতর করে পাশাপাশি পরিবারের জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকিটের ব্যবস্থা করা হয়।
এদিকে, শিক্ষার্থীদের লাশ আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ বিমানে পাঠানোর সম্ভাবনা রয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
এ ব্যাপারে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের স্থানীয় স্টেশন মাস্টার মশিকুর রহমান বলেন, আমরা প্রস্তুত। কারণ এটা আমাদের দায়িত্ব এবং কর্তব্য। তার আগে দুই-তিনটি ধাপ রয়েছে।
সাংবাদিক মাহবুব ওসমানী জানান, নিহত অ্যাঞ্জেলাকে বাড়ৈকে শেষ বিদায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে আগামীকাল ১৯ ফেব্রুয়ারি (রোববার)। ওই দিন সন্ধ্যায় ৬টা থেকে রাত ৮টায় ইটোবিকোর লোটাস ফিউনারেল অ্যান্ড ক্রিমেশন সেন্টারে সর্বস্তরের লোকজন তাকে বিদায় জানাতে অনুষ্ঠানে যোগ দেবে।
এছাড়া শাহরিয়ার মাহির খান, আরিয়ান আলম দীপ্তর জানাজা আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) বাদ জোহর স্কারবোরোর ১ স্টামফোর্ড স্কয়ার নর্থ এলাকায় আল-আবেদীন মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।