বিনোদন ডেস্ক : আর্থিক প্রতারণার মামলায় সুকেশ চন্দ্রশেখর গ্রেপ্তার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নাম উঠে আসে বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজের। অভিযুক্ত হিসেবে একাধিকবার আদালতে হাজিরা দিতে হয় অভিনেত্রীকে। একপর্যায়ে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পান এই বলি নায়িকা।
এদিকে জ্যাকুলিনের এই হয়রানি ও দুর্ভোগ নিয়ে লজ্জিত সুকেশ চন্দ্রশেখর। তার দাবি, অহেতুক নাম জড়ানো হয়েছে অভিনেত্রীর। অযথাই হেনস্থা। এত কিছুর প্রয়োজনই ছিল না।
সুকেশ চন্দ্রশেখর তার সব বক্তব্য চিঠিতে লিখে আইনজীবীর মাধ্যমে গত সপ্তাহে আদালতে পেশ করেন। বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে এই তথ্য।
চিঠির জবাবে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নায়িকার আইনজীবী প্রশান্ত পাতিল। তার দাবি, জ্যাকুলিন নির্দোষ। তার সম্মান রক্ষার্থে শেষ পর্যন্ত লড়াই করবেন তিনি।
সুকেশ আইনজীবীর মাধ্যমে চিঠি পাঠিয়ে স্পষ্ট করতে চেয়েছেন যে, জ্যাকুলিন কোনোভাবেই ২০০ কোটির আর্থিক প্রতারণার সঙ্গে জড়িত নয়। তার দাবি, অভিনেত্রীকে দামি গাড়ি থেকে শুরু করে আর্থিক যেসব লেনদেন বা উপহার দেয়া, এর সবটাই ভালোবেসে দেয়া। তাদের মধ্যে সম্পর্ক ছিল। সেখানে উপহার দেয়া কি অস্বাভাবিক?
চিঠিতে আরও কিছু তথ্য ফাঁস করেছেন সুকেশ। যা গত ২৩ অক্টোবর প্রকাশ্যে আসে। আর চিঠির প্রেক্ষিতে বলি নায়িকার আইনজীবী বলেন, যদি এই চিঠি সুকেশের লেখা হয়, তাহলে তার দাবি অনুযায়ী জ্যাকুলিনের বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ ফের তদন্ত করা উচিত। ইডি সেটা করুক। প্রয়োজনে সুকেশের রেকর্ড করা বক্তব্য প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার হোক। সত্যের দিকে যেতেই হবে। তদন্তের লক্ষ্য তো সত্য বের করা।
এছাড়া জ্যাকুলিন প্রসঙ্গে সুকেশ আরও জানিয়েছেন, জ্যাকুলিনের নাম জড়ানো দুর্ভাগ্যজনক। আগেও বলেছি, আমরা সম্পর্কে ছিলাম। ওকে আর তার পরিবারকে উপহার দিয়েছি। এতে তাদের দোষ হতে পারে? আমার কাছে ভালোবাসা ছাড়া কিছুই কখনো চায়নি জ্যাকুলিন। আমাকে তার পাশে থাকতে বলেছিল। আর ওদের উপহার দিতে যা খরচ করেছি তা বৈধ আয় থেকে। আগেও এর প্রমাণ আদালতে দিয়েছি।
শনিবার (২২ অক্টোবর) জানা যায়, আদালতে জামিন আবেদন করেন জ্যাকুলিন। পরে তার অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের মেয়াদ বাড়িয়ে তা আগামী ১০ নভেম্বর পর্যন্ত করেন আদালত।