সিনহা আবুল মনসুর : পর্ব: ষোল
অয়নের ডায়েরি
শুক্রবার
১৭ই আগস্ট ১৯৮৪।
গতকাল বিকেলে জালাল এসেছিল। জালাল আমার ঢাকা কলেজের বন্ধু। অপুর সাথে ডাক্তারি পড়ে। গান-পাগল ছেলে। প্রচুর গল্প-কবিতা পড়ে। মাঝে মাঝে লেখালেখিও করে। আমরা যখন টেলিস্কোপ দিয়ে রাতের আকাশ দেখি, তখন সময় পেলেই ও আমাদের সাথে যোগ দেয়। জালাল সাপ্তাহিক পত্রিকাগুলো পড়ে পড়ার বইয়ের মতো করে। খুব মনোযোগ দিয়ে। প্রথম পাতা থেকে শেষ পাতা পর্যন্ত!
‘সাপ্তাহিক বিচিত্রা’ ওর প্রিয় পত্রিকা। সেই সুবাদে আমারও। ওই আমাকে সাপ্তাহিক বিচিত্রার দুটো বিভাগ পড়তে শিখিয়েছিল। একটি হচ্ছে ‘ব্যক্তিগত বিজ্ঞাপন’। আরেকটি হচ্ছে ‘কুরুক্ষেত্র’।
‘ব্যক্তিগত বিজ্ঞাপন’ বিভাগে অনেকেই নিজের পকেটের পয়সা খরচ করে ছোট ছোট পোস্টিং দিতেন। এই ব্যাপারে প্রবাসীরা এগিয়ে ছিলেন। সাথে সাথে দেশিদের বিজ্ঞাপনও ঠাঁই পেত। ওই পোস্টিংগুলোতে থাকত প্রবাসজীবনের একাকিত্বের কথা! ব্যক্তিগত ভালো লাগার কথা!
মন্দ লাগার কথা!
কখনো থাকত পত্রমিতালির আমন্ত্রণ! কখনো কখনো ওগুলো হয়ে উঠত প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ যোগাযোগের একটি মাধ্যম। একটি বিজ্ঞাপনের ভাষা আমার এখনো মনে পড়ে। ওই বিজ্ঞাপনের ভাষাটি ছিল এই রকম:
‘গত চৌদ্দই এপ্রিল ঢাকা-বরিশালগামী লঞ্চের তিনতলার কেবিনে জানালার পাশে বসে থাকা সেই মেয়েটিকে বলছি। তোমার পরনে ছিল লাল পাড়ের নীল শাড়ি। আমি নীল শার্ট আর কালো প্যান্ট পরিহিত সেই যুবক, যার সাথে তোমার চোখাচোখি হয়েছিল অনেকবার!
রবি ঠাকুরের মতো আমারও বলতে ইচ্ছে হয়:
‘প্রহর শেষের আলোয়
রাঙা সেদিন চৈত্রমাস-
তোমার চোখে দেখেছিলাম
আমার সর্বনাশ।’
তোমার সাথে মিতালি করতে চাই। অনুগ্রহ করে আমাকে সাড়া দাও!
পলাশ, জিপিও বক্স নং ৭৮৬।
ব্যক্তিগত বিজ্ঞাপন বিভাগে সবাই বিজ্ঞাপন দিতেন একটি-দুটি করে। এর মধ্যে চার-পাঁচজন ছিলেন, যারা বিজ্ঞাপন দিতেন পাঁচটা-ছয়টা করে। কখনো কখনো-বা অর্ধেক পাতাজুড়ে। ব্যক্তিগত বিজ্ঞাপনদাতাদের মধ্যে কয়েকজন ছিলেন খুবই জনপ্রিয়।
এরা হচ্ছেন: পঞ্চপাণ্ডব, খলকু কামাল, জসিম মললিক, লিয়াকত হোসেন খোকন, জিয়া খন্দকার, সাইফ উদ্দীন সাইফ, নজরুল ইসলাম ও তসলিমা নাসরিন!
এদের বিজ্ঞাপনগুলো আমরা খুব মনোযোগ দিয়ে পড়তাম।
জালাল একদিন আমাকে বলল, ‘জানো অয়ন, এই তসলিমা নাসরিন পেশায় চিকিৎসক। আমাদের হাসপাতালে চাকুরি করেন।’
আমি বললাম, ‘তুমি চেনো ওনাকে?’
জালাল বলল, ‘আলাপ নেই, তবে হাসপাতালে দেখেছি কয়েকবার।’
পরে একদিন অপুকে জিজ্ঞেস করলাম, ‘অপু, তসলিমা নাসরিন নামে কাউকে চিনিস?’
অপু বলল, ‘হ্যাঁ চিনি। আমাদের বছর পাঁচেকের সিনিয়র, ডাক্তার। গল্প, কবিতা লেখেন। অয়ন, আমাদের কলেজ বিল্ডিংয়ের মেইন লবির বাম দিকের দেয়ালটায় প্রতি মাসে বেশ কয়েকটা দেয়ালপত্রিকা টানানো হয়। আমি নিজেও চিকিৎসাবিজ্ঞান-বিষয়ক একটা দেয়ালপত্রিকা টানাই। ওই পত্রিকার বাম দিকে টানানো হয় একটি সাহিত্য পত্রিকা।
ওই সাহিত্য পত্রিকায় তসলিমা নাসরিনের কবিতা ছাপা হয়। বেশ কয়েক দিন দেখেছি, উনি নিবিষ্ট মনে দাঁড়িয়ে ওই দেয়ালপত্রিকা পড়ছেন। আমার সাথে কুশলাদি বিনিময় হয়। কবিতার ভালো-মন্দ নিয়ে হালকা আলাপচারিতাও হয়।’
আমি অপুকে জিজ্ঞেস করি, ‘উনি লেখেন কেমন?’
অপু বলল, ‘সাপ্তাহিক ‘যায়যায়দিন’-এ উনি একটি নিয়মিত কলাম লেখেন। কলামটি খুব ভালো। কবিতার চেয়ে উনি গদ্য লেখেন অনেক ভালো। তবে উনি আগাগোড়া ফেমিনিস্ট। প্রচণ্ড ধর্মবিদ্বেষীও। এইভাবে লিখতে থাকলে খুব সহসাই উনি অনেক বিতর্কের জন্ম দেবেন’!
অপুর কথা ঠিক হয়েছে। তসলিমা নাসরিন অল্প কয়েক বছরেই অনেক বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন।
সাপ্তাহিক বিচিত্রার ‘কুরুক্ষেত্র’ বিভাগটিও জালাল আমাকে পড়তে শিখিয়েছিল।
আমি শিখিয়েছিলাম নদীকে। প্রথম যেদিন নদীকে কুরুক্ষেত্রের কথা বললাম, নদী বলল, ‘এটা আবার কেমন নাম? এত নাম থাকতে কুরুক্ষেত্র কেন?’
আমি বললাম, ‘নদী, কুরুক্ষেত্র একটি ঐতিহাসিক জায়গা। ওই জায়গায় একটি যুদ্ধ হয়েছিল। পারিবারিক যুদ্ধ!
পৌরাণিক যুদ্ধ!
দুই পরিবার-পাণ্ডব আর কৌরবদের মধ্যে যুদ্ধ! মহাভারতে ওই যুদ্ধের বর্ণনা আছে। সাপ্তাহিক বিচিত্রার ওই ‘কুরুক্ষেত্রে’ও আছে পারিবারিক যুদ্ধ। স্বামী-স্ত্রী অথবা প্রেমিক-প্রেমিকার মধ্যে খুনসুটি, মনোমালিন্য বা ভুল-বোঝাবুঝির যুদ্ধ, ভুল-বোঝাবুঝির গল্প। আছে সম্ভাব্য সমাধানও’!
আমার উত্তরে সন্তুষ্ট হলো নদী। পড়া শুরু করল কুরুক্ষেত্র।
আর থামেনি! পরে আমাদের আলোচনায় অনেকবার ঘুরেফিরে এসেছে এই কুরুক্ষেত্র।
জালালের পরনে একটা ফতুয়া, কাঁধে ঝোলানো চটের ব্যাগ। ওকে দেখাচ্ছে কবি-সাহিত্যিকদের মতো। ও চটের ব্যাগ থেকে ছোট্ট একটা প্যাকেট বের করে আমাকে দিল আর মুখে বলল, ‘অয়ন, এখানে একটা ক্যাসেট আছে। এই ক্যাসেটটা আমি এলিফ্যান্ট রোডের ‘গানের ডালি’ থেকে অর্ডার দিয়ে বানিয়েছি। ক্যাসেটে তোমার পছন্দের বারোটা নজরুলগীতি আছে’!
আমি প্যাকেটটা খুলে ক্যাসেটটা বের করলাম। জালালের হাতের লেখা মুক্তোর মতো। মুক্তাক্ষরে ও ইনডেক্সে লিখেছে:
সাইড: এ
১. দূর দ্বীপবাসিনী চিনি তোমারে চিনি
২. মোর প্রিয়া হবে এসো রাণী, দেবো খোঁপায় তারার ফুল।
৩. তুমি সুন্দর তাই চেয়ে থাকি প্রিয় সেকি মোর অপরাধ?
৪. যারে হাত দিয়ে মালা দিতে পারো নাই কেনো মনে রাখো তারে?
৫. আমায় নহে গো ভালোবাসো শুধু ভালোবাসো মোর গান
৬. কেন আসিলে ভালোবাসিলে দিলে না ধরা
সাইড: বি
১. প্রিয় এমন রাত যেন যায় না বৃথাই
২. মোর ঘুম ঘোরে এলে মনোহর নমো নমো
৩. ওগো প্রিয় তব গান আকাশ গাঙে জোয়ারে
৪. আমারও ঘরের মলিন দীপালোকে জল দেখেছি প্রিয় তোমারও চোখে
৫. খেলিছো এ বিশ্ব লয়ে বিরাট শিশু আনমনে খেলিছো
৬. তুমি ফিরাবে কি শূন্য হাতে আমারে
আমি বললাম, ‘জালাল, এই ক্যাসেটের প্রতিটি গান আমার খুব প্রিয়। কি জানো, একটা সময় ছিল, যখন নদীর সাথে আমার সখ্য হয়নি। প্রেম হয়নি। শুধু মাঝে মাঝে এটা-সেটা কথা হতো। আজ থেকে প্রায় তিন বছর আগে, সেই রকম একদিনে আমি নদীকে একটি চিরকুট দিয়েছিলাম।ওই চিরকুটে আমি লিখেছিলাম:
নদী,
‘তুমি সুন্দর তাই চেয়ে থাকি
প্রিয় সেকি মোর অপরাধ?’
জালাল বলল, ‘অয়ন, নজরুলের এই গানটির পেছনে একটি বেদনাবিধুর কাহিনি আছে। তুমি জানো কাহিনিটা?’
আমি বললাম, ‘না, আমি জানি না। তুমি জানো?’
জালাল বলল, ‘বেশ কিছুদিন আগে, নজরুলজয়ন্তীতে রেডিওতে একটি অনুষ্ঠান শুনেছিলাম। ওই অনুষ্ঠান থেকেই আমি কাহিনিটা জেনেছি। কাহিনিটা এই রকম:
বহুদিন আগের কথা। দুখু মিয়া তত দিনে কবি নজরুল হয়ে উঠেছেন। দেশের আনাচে-কানাচে তার নাম ছড়িয়ে পড়েছে। বিভিন্ন জেলা শহরের সাহিত্য সম্মেলন বা সাহিত্য আসরে নজরুল কখনো প্রধান অতিথি কখনো-বা বিশেষ অতিথি। ওই সব আসরে তিনি স্বরচিত গানও পরিবেশন করতেন। প্রচণ্ড আমুদে স্বভাবের ছিলেন তিনি, যাকে বলে ‘ফুল অব লাইফ’!সবাই তার সঙ্গ উপভোগ করত প্রাণভরে। একবার তার আমন্ত্রণ এল রাজশাহীর এক সাহিত্য আসর থেকে।
এক ভোরে কবি রওনা দিলেন রাজশাহীর উদ্দেশে। ঠিক ওই দিনই রাজশাহীর উদ্দেশে রওনা দিলেন আরেকজন তরুণী। ওই তরুণী শিক্ষিতা ও পরমা সুন্দরী। তার পরিচয় তিনি একজন নজরুল-ভক্ত। ভক্তের উদ্দেশ্য, ওই সাহিত্য আসরে যোগ দেওয়া এবং কবি নজরুলের সাথে সাক্ষাৎ করা।
কবির ওই নারীভক্ত গভীর মনোযোগে কবির লেখা পড়েন। কবির সম্পর্কে খোঁজখবর রাখেন। কিন্তু কবিকে দেখেননি কখনোই!
ওই দিন দুপুরের পর কবির সেই নারীভক্ত দাঁড়িয়ে ছিলেন ফেরিতে। ফেরি তখন পদ্মার মাঝামাঝি। উথালপাতাল বাতাসে উড়ছিল তার শাড়ির আঁচল। উড়ছিল তার ঘন কুন্তলও। আর সেই সাথে সাথে উড়ছিল আরেক যুবকের হৃদয়। যুবক দাঁড়িয়ে ছিলেন ওই তরুণীর খুব কাছে।একদৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলেন তরুণীর মুখপানে! যুবক মুগ্ধ হয়েছিলেন ওই তরুণীর অপরূপ রূপে।
কিন্তু বড়ই বিরক্ত হলেন তরুণী।
তিনি যুবককে উপেক্ষা করে চলে গেলেন ফেরির অন্য পাশে।
ফেরির অন্য পাশে এসে, তরুণী আগের মতোই তাকিয়ে রইলেন উন্মত্ত পদ্মার দিকে। পদ্মার বাতাসও ওই একইভাবে খেলা শুরু করল তরুণীর খোলা চুল আর শাড়ির আঁচল নিয়ে। অধীর আগ্রহ আর একাগ্রতা নিয়ে আবারও ওই খেলা দেখতে লাগলেন ওই যুবক!
এইবার তরুণী প্রচণ্ড তিরস্কার করে বললেন, ‘আপনি এমন করছেন কেন? কখনো মেয়েমানুষ দেখেননি? এভাবে মেয়েদের দিকে তাকিয়ে থাকতে লজ্জা করে না?’
উত্তরে যুবক কিছুই বললেন না। সব অপমান, তিরস্কার সহ্য করলেন নীরবে!
পরদিন যথারীতি অনুষ্ঠানে গেলেন তরুণী। অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন কবির জন্য। মঞ্চে এলেন কবি। বিস্মিত হয়ে তরুণী দেখলেন, কবি আর কেউ নন।
এই কবি হচ্ছেন গতকাল ফেরিতে দেখা সেই যুবক!
লজ্জিত হলেন তরুণী!কিন্তু ক্ষমা চাইবার সাহস ও ভাষা কোনোটাই পেলেন না। কবি এক দৃষ্টিতে তার ভক্তের দিকে তাকিয়ে থেকেই শেষ করলেন তার ভাষণ!
কিছুক্ষণ পর অনুষ্ঠান আয়োজকদের পক্ষ থেকে কবির কাছে অনুরোধ এল গান গাইবার। কবি মঞ্চে এলেন, এবং গাইলেন!গাইলেন নতুন এক গান। যে গান এর আগে কেউ শোনেনি। কবি গাইলেন:
‘তুমি সুন্দর তাই চেয়ে থাকি
প্রিয় সেকি মোর অপরাধ?’
এই গানটি কবি রচনা করেছিলেন ওই অনুষ্ঠানে বসেই!
জালালের কথা শোনার পর আমি বললাম, ‘ভারি রোমান্টিক গল্প তো!’
জালাল বলল, ‘অয়ন, গল্পটা ওখানেই শেষ হলে বলতাম রোমান্টিক। কিন্তু গল্পটা ওখানে শেষ হয়নি। গল্পের শেষটা কষ্টের। দুঃখের!
আর গভীর বেদনার!
ওই তরুণী ফিরতি পথে রাগে আর অভিমানে ঝাঁপ দেন উন্মত্ত পদ্মায়। ওখানেই ঘটে তার সলিলসমাধি!
কবি পরে এই ঘটনা জানতে পারেন। কবি তার হৃদয়ের শোকগাথাকে অমর করে রাখেন আরেকটি গানে। ওই গানটি হচ্ছে:
‘পদ্মার ঢেউ রে
মোর শূন্য হৃদয় পদ্ম নিয়ে যা
যা রে’!
জালালের কাছে এই গল্প শুনে আমি বিস্ময়ে হতবাক।
দুই মিনিট আমরা কেউই কোনো কথা বলতে পারলাম না।
আমার মনে পড়ল একটা স্মৃতির কথা।
আমি বললাম, ‘জালাল, তখন খুব ছোট ছিলাম। ক্লাস ফোরে পড়ি। জামতলায় থাকি। আমাদের পাশের বাসায় থাকত অপুরা। খুব ভোরে উঠতাম আমরা। অপু আর আমি মিলে হানা দিতাম অম্বিকাসার বাড়িতে। ওই বাড়িতে অনেক গাছগাছালি। শিউলি ফুলের গাছও ছিল তিনটা। সকালে শিউলিতলা ভরে যেত ফুলে ফুলে। আমরা শিউলি কুড়াতাম।
মুঠোভরা শিউলি নিয়ে যখন বাসায় ফিরতাম, তখন উঠোনেও মুঠো মুঠো রোদ।
সকালের সোনারোদ!
ওই শুদ্ধ রোদের মধ্যেই শুনতাম আমার মায়ের গান।মা গাইতেন কবি নজরুলের গান:
‘আমারও ঘরের মলিন দীপালোকে
জল দেখেছি প্রিয় তোমারও চোখে’!
কি জানো জালাল, তখন খুব ছোট ছিলাম। ওই গানের কোনো অর্থ বুঝতাম না। এখনো যে বুঝি তা না। কিন্তু ওই গানটা শুনলেই আমার মনে পড়ে যায় কৈশোরের সেই সব দিনের কথা। আমার মনে পড়ে:
অম্বিকাসার বাড়ি!
ওই বাড়ির আকাশ-ছোঁয়া বিশাল বিশাল সব গাছ!
মুঠো মুঠো শিউলি!
মুঠো মুঠো সোনারোদ!
মুঠো মুঠো শিউলি আর মুঠো মুঠো সোনারোদের ভেতরে আমার মায়ের গান:
‘আমারও ঘরের মলিন দীপালোকে
জল দেখেছি প্রিয় তোমারও চোখে’!
আমি চোখের জল ধরে রাখতে পারি না।
আহা! কী সব দিন ছিল সেই সব!’ চলবে…
সিনহা আবুল মনসুর নিউইয়র্কের লং আইল্যান্ডস্থ স্ট্রনিবুক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। ইন্নানিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন।