অনলাইন ডেস্ক : ইউক্রেনের জাপোরিঝিয়ায় রুশ হামলায় এখন পর্যন্ত আটজন নিহত হয়েছে। ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রুশ হামলায় ধ্বংস হওয়া একটি ভবনের ধ্বংসস্তূপে উদ্ধারকাজ বুধবারও চলছে। এই হামলা দক্ষিণ ইউক্রেনে ক্রমবর্ধমান রুশ হামলার সর্বশেষ ঘটনা, যা অঞ্চলটিতে নতুন রুশ আক্রমণের আশঙ্কা আরো বাড়িয়েছে।

জরুরি পরিষেবা বিভাগ এদিন জানিয়েছে, শহরের একটি বেসরকারি চিকিৎসাকেন্দ্রে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় এখন পর্যন্ত আটজন নিহত হয়েছে।

ঘটনাস্থলে উদ্ধার অভিযান এখনো চলছে। সম্ভবত ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো মানুষ রয়েছে। এ ছাড়া তাদের প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, উদ্ধারকর্মীরা সাদা ব্যাগে মরদেহ বহন করছেন, আর একজন মনোবিদ কাঁদতে থাকা এক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলছেন।

অন্যদিকে এই হামলায় আরো ২২ জন আহত হয়েছে বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যাদের মধ্যে একটি পাঁচ বছরের শিশুও রয়েছে।

জাপোরিঝিয়া ২০২২ সালে মস্কো যে চারটি ইউক্রেনীয় অঞ্চল অধিগ্রহণ করার দাবি করেছিল তার একটি। যদিও অঞ্চলটি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেনি রাশিয়া। এ ছাড়া নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী সতর্ক করেছিল, রাশিয়া নতুন হামলার পরিকল্পনার আগে দক্ষিণ ফ্রন্টে পদাতিক বাহিনী ও সাঁজোয়া যান মোতায়েনের পাশাপাশি বিমান হামলা বাড়াচ্ছে।

জাপোরিঝিয়া অঞ্চলে লড়াই তীব্র হলে তা ইউক্রেনীয় বাহিনীর জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।

কিয়েভ ইতিমধ্যে তাদের পূর্ব দোনেৎস্ক ও রাশিয়ার কুরস্কের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ক্রমে জমি হারাচ্ছে। ইউক্রেন রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধক্ষেত্রে ও প্রতিদিনের বিমান হামলায় প্রতিরোধ গড়তে মিত্রদের কাছে আরো সমর্থনের আবেদন জানিয়ে আসছে। জাপোরিঝিয়ায় হামলার পর প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি তার প্রতিদিনের ভাষণে এই আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন।

জেলেনস্কি বলেন, ‘আমাদের দেশে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করার জন্য যথেষ্ট প্রতিরক্ষাব্যবস্থা নেই। কিন্তু আমাদের মিত্রদের কাছে এই ব্যবস্থা রয়েছে।

বারবার আমরা বলছি, আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা মানুষের জীবন বাঁচানোর জন্য, গুদামে ধুলো জমানোর জন্য নয়।’

সূত্র : এএফপি