অনলাইন ডেস্ক : জাপানে পড়তে গিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটা পোস্ট দিয়েছিলেন এক ছাত্রী। দেশে ফেরার পর জাতীয় নিরাপত্তা আইনে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত হংকং প্রবাসীদের অনেকেই ২৩ বছর বয়সী ছাত্রীর জাপানে থাকার সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া পোস্টের কারণে গ্রেপ্তারের ঘটনায় উদ্বিগ্ন। গ্রেপ্তার হওয়া ছাত্রীর মুক্তির বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

জাপানে পড়তে যাওয়া ওই শিক্ষার্থী গত মাসে দেশে ফেরেন। ফেরার পর বিতর্কিত ন্যাশনাল সিকিউরিটি ল (এনএসএল) লঙ্ঘনের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ—সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি এমন পোস্ট দিয়েছেন, যাতে ‘বিচ্ছিন্নতাবাদ উসকে দেওয়ার’ ইঙ্গিত রয়েছে।

হংকংয়ের বাইরে কিছু করার জন্য এই প্রথম এনএসএল আইনে কাউকে গ্রেপ্তার করা হলো।

হংকংয়ের অ্যাক্টিভিস্টরা মনে করেন, এ ছাত্রীকে এভাবে গ্রেপ্তার করার মাধ্যমে এনএসএল আইনের বিচারিক ক্ষমতা যে দেশের সীমানা ছাড়িয়েও যেতে পারে তার একটা নমুনা দেখাতে চায় হংকংয়ের সরকার। এর মাধ্যমে সরকার সবার মনে ভয়ের একটা চোরা স্রোত সঞ্চারের চেষ্টা করছে বলেও আশঙ্কা তাদের।

অ্যাক্টিভিস্ট এবং প্যাসিফিক ফোরামের অনাবাসিক ফেলো সানি চিউং বলেন, ‘হংকংয়ের যেসব মানুষ এখন বিদেশে রয়েছেন, হংকংয়ের কর্তৃপক্ষ এর মাধ্যমে তাদের শৃঙ্খলাবদ্ধ করতে চাইছে, তাদের বোঝাতে চাইছে, দেখো, অন্য দেশে গিয়ে কে কী করো বিগ ব্রাদার কিন্তু তা দেখতে পায়।’

জাপান বিষয়ক বিশেষজ্ঞ তমোয়ো আকো জানিয়েছেন, গ্রেপ্তারের পর ওই শিক্ষার্থীর পাসপোর্ট জব্দ করেছে হংকংয়ের পুলিশ। পাসপোর্ট ফেরত না পেলে চাইলেও আর জাপানে ফেরা যাবে না।

আকো জানান, মুক্তি পেলে ওই ছাত্রী যাতে জাপানে ফিরে লেখাপড়া করতে পারেন, জাপানের বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে সে বিষয়ে সহযোগিতা করার অনুরোধ জানিয়েছেন, ‘ও লেখাপাড়া চালিয়ে যেতে চায়। তাই জাপানের বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে আমি অনুরোধ জানিয়েছি তারা যেন ওকে এ বিষয়ে সহযোগিতা করে।’

২০২০ সালের জুলাই মাসে এনএসএল কার্যকর করা হয়। তার পর থেকে বিতর্কিত এ আইনে দুই শরও বেশি মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সেই ২০০ জনের মধ্যে ১৪০ জনের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে অভিযোগ দায়েরের কাজও সম্পন্ন হয়েছে।

সূত্র : ডয়চে ভেলে