সোনা কান্তি বড়ুয়া : বাঙালি জাতির পিতা বিশ্বমানবতায় উদ্ভাসিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই বাংলাদেশ স্বাধীন করেছেন, এবং ২০২৪ সালের সেনা প্রশাসনে (৭১-এর) মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত শক্তিই ২০২৪ সালের ৬ই আগষ্ট বঙ্গবন্ধুর বাড়ি (DHAKA 32 N0. DHANMONDI ROAD) বাঙালি জাতির বষপের ঘরে আগুন দিল! সেনা প্রশাসনে দুর্বৃত্ত বেয়াদপ সেনা প্রশাসকগন সেনা নামিয়ে জানোয়ারের মতো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে বর্বরভাবে হত্যা করল! করে ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগষ্ট বঙ্গবন্ধুর গায়ে ১৮টি গুলি লেগেছিল কেন? ধর্মান্ধ ধর্মের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে স্বাধীনতার অভ্যুত্থানে ১৯৭২ সালের সংবিধান বাঙালির রক্তে রক্তে প্রবহমান!
“জামায়াতের উগ্র সা¤প্রদায়িকতার ইসলামী মৌলবাদী গোষ্ঠীর সন্ত্রাসবাদ ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে জনগণের সম্পদ হরিলুট করেছে! ইসলামী মৌলবাদী গোষ্ঠীর সন্ত্রাসবাদ ২০২৪ সালের ৬ই আগষ্ট ইসলাম ধর্মের নামে হিন্দু মন্দির ও বৌদ্ধমন্দির ধবংসই কি বাংলাদেশী ইসলাম? বাংলাদেশের হিন্দু ও বৌদ্ধদের দুষ্কালের দিবানিশি! গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশে সংখ্যালঘু বৌদ্ধ ও হিন্দুদের উপর বর্বর অন্যায়, অত্যাচার, অবিচার ও নির্যাতনের ইতিহাস শুনলে হতবাক ও শরীরে কম্পন উঠে যাবে। বাংলাদেশে রাজনীতির ইসলামীকরণ বাংলাদেশে কে গ্রাস করে ফেলেছে। নিজ বাসভ‚মেই পরবাসী করে দিয়েছে বৌদ্ধ ও হিন্দুদেরকে।
মানবজাতির আশা ও হাত কি স্বার্ধান্ধ ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত শক্তি রাজাকার, ধর্ম বেঁধে রেখেছে? ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাক বাহিনী ও তার দোসর রাজাকার, আলবদর চক্র যেখানে সেখানে পুরুষদের বস্ত্র উন্মোচন করে মুসলমানিত্ব পরীক্ষা করা হতো! বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজাকাররা ‘সওয়াব ’ এর আশায় জোর করে মুসলমান করেছে হিন্দুদের, না হলে মৃত্যু। পিস কমিটির ইচ্ছানুযায়ী বিবাহযোগ্য নব মুসলিম কন্যাদের একটি অংশ পিস কমিটির অনুগত যুবকদের বাড়ীতে তুলে দেবার ব্যবস্থা করা হয় (মুনতাসীর মামুন, রাজাকারের মন, পৃষ্ঠা ৯১)।
’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত শক্তির সংঘবদ্ধ গোষ্ঠী বাংলাদেশ থেকে হিন্দু বৌদ্ধ জুম্মদের তাড়িয়ে দিয়ে সম্পদ ও রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চাইছে। তাই যারা সা¤প্রদায়িক হামলা করছে তাদের বিরুদ্ধে! আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রসঙ্গত: চিটিংবাজ মৌলবাদী গোষ্ঠী ইসলাম ধর্মের অবমাননায় বাংলাদেশের হিন্দু বৌদ্ধ নির্যাতন! আর প্রতিটি হামলার পরপরই এলাকা থেকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা চলে যায়। কখনও তারা এলাকা ছাড়ে, কখনওবা ছাড়ে দেশ। আবার কখনও খুবই অল্প দামে জমি বিক্রি করতে বাধ্য হয়। ইসলাম ধর্ম অবমাননায় হিন্দু হত্যা ও ফেক আইডিতে কোরাণ অবমাননা কেন? কোরাণের উপর পদচিহ্ন দিয়ে রামুর মৌলবাদী মুসলমান শক্তি বাংলাদেশের হিন্দু ও বৌদ্ধ বিদ্বেষী নীতিতে হিন্দু শব্দটাতে কাঁটাতারের বেড়া প্রতিষ্ঠা করেছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম না হলে বাংলাদেশের জন্ম হত না, যিনি জীবনের ১৩টা বছর জেলখানার সেলে কাটিয়েছেন জাতির অধিকার আদায় করতে ! বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধুকে ১৫ আগস্ট সপরিবারে হত্যা এবং ৩ নভেম্বর জেলের মধ্যে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা ও ৭ নভেম্বর মুক্তিযুদ্ধের বীর সেনাদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। ’৭৫ এর হাতিয়ার’ বলতে মূলত এসব নৃশংস হত্যাকাণ্ড ও নাশকতার কুশীলবদেরই বোঝানো হয়। কবি নির্মলেন্দু গুণ ‘র ভাষায় :
“তোমার ছেলেরা মরে গেছে প্রতিরোধের প্রথম পর্যায়ে,
তারপর গেছে তোমার পুত্রবধূদের হাতের মেহেদী রঙ,
তারপর তোমার জন্মসহোদর, ভাই শেখ নাসের
তারপর গেছেন তোমার প্রিয়তমা বাল্যবিবাহিতা পত্নী,
আমাদের নির্যাতিতা মা। / এরই ফাঁকে একসময় ঝরে গেছে তোমার বাড়ির
সেই গরবিনী কাজের মেয়েটি, বকুল / এরই ফাঁকে একসময় প্রতিবাদে দেয়াল থেকে
খসে পড়েছে রবীন্দ্রনাথের দরবেশ মার্কা ছবি।
এরই ফাঁকে একসময় সংবিধানের পাতা থেকে
মুছে গেছে দু’টি স্তম্ভ, ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্র।
এরই ফাঁকে একসময় তোমার গৃহের প্রহরীদের মধ্যে
মরেছে দু’জন প্রতিবাদী, কর্ণেল জামিল ও নাম না-জানা
এক তরুণ, যাঁর জীবনের বিনিময়ে তোমাকে বাঁচাতে চেয়েছিলো।
তুমি কামান আর মৃত্যুর গর্জনে উঠে বসেছো বিছানায়,
তোমার সেই কালো ফ্রেমের চশমা পরেছো চোখে,
লুঙ্গির উপর সাদা ফিনফিনে ৭ই মার্চের পাঞ্জাবী,
মুখে কালো পাইপ, তারপর হেঁটে গেছো বিভিন্ন কোঠায়।
পৃথিবীর দেয়া মাটির ফোঁটার শেষ-তিলক, হায়!
তোমার পা একবারও টেলে উঠলো না, চোখ কাঁপলো না।
তোমার বুক প্রসারিত হলো অভ্যুত্থানের গুলির অপচয়
বন্ধ করতে, কেননা তুমি তো জানো, এক-একটি গুলির মূল্য
একজন কৃষকের এক বেলার অন্নের চেয়ে বেশি।
ৃতারপর ডেডস্টপ। তোমার নিষ্প্রাণ দেহখানি সিঁড়ি দিয়ে গড়াতে, গড়াতে, গড়াতে
আমাদের পায়ের তলায় এসে হুমড়ি খেয়ে থামলো।
–কিন্তু তোমার রক্তস্রোত থামলো না। / সিঁড়ি ডিঙিয়ে, বারান্দার মেঝে গড়িয়ে সেই রক্ত,
সেই লাল টকটকে রক্ত বাংলার দূর্বা ছোঁয়ার আগেই
আমাদের কর্ণেল সৈন্যদের ফিরে যাবার বাঁশি বাজালেন।!”
মানবজাতির আশা ও হাত কি স্বার্ধান্ধ ইসলাম ধর্ম বাংলাদেশে বেঁধে রেখেছে? ইসলাম ধর্ম বিশ্বাসের কারনে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশে ১৯৭৮ থেকে ১৯৮১ সালের মধ্যে পাহাড়ীদের বেঁচে থাকার অধিকার ধ্বংস করতে জেনারেল জিয়াউর রহমান সরকার সমতল জেলা থেকে প্রায় পাঁচ লক্ষ (১১ লক্ষ) বাঙালি মুসলমান সেটেলার পাহাড়ি অঞ্চলেনিয়ে আসে, যেখানে আদিবাসী জুম্ম জাতি কয়েক শতাব্দী ধরে বসবাস করছে এই সেটেলাররা আদিবাসীদের ব্যাপক ভ‚মি অবৈধভাবে দখল করে চলেছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে সমস্ত বিষয়েই ঘুরে ফিরে সেই চিটিংবাজ ধর্মান্ধ জিহাদের ধর্মের সুড়সুড়ির শেষ কোথায়?
বঞ্চনাকে স্থায়ী করার জন্য রাজনীতিতে সামরিক আধিপত্যের বিস্তার, পূর্ববাংলায় জাতীয় আকাঙ্ক্ষার বিস্তার এবং তার রাজনৈতিক রূপ স্বাধিকার আন্দোলন এবং মুক্তিযুদ্ধÑ এই গোটা পরিপ্রেক্ষিত নিয়ে রওনক জাহান হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর পিএইচডি গবেষণা সম্পন্ন করেছেন, এই বইটির গ্রন্থরূপ দিয়েছেন। বাংলাদেশের জন্মইতিহাসের রাজনৈতিক-অর্থনীতি বিষয়ে আগ্রহী যে কারও জন্যই ‘Pakistan: Failure in National Integration’ আজও অবিকল্প।
বঙ্গবন্ধু গোলাম আযমদের নাগরিকত্ব কেড়ে নিয়েছিলেন এবং জামাতের সা¤প্রদায়িক রাজনীতি করার অধিকার বন্ধ করে দিয়েছিলেন। তারা (পরাজিত জামাত) হত্যা, লুটপাট, অমানবিক ধর্মীয় উন্মাদনায় সকল স¤প্রদায়ের নাগরিকগণকে লাঞ্চনা, ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগ করেছিল তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিলেন, বিচার করে শান্তি দিয়েছিলেন। এমনকি পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীতে প্রকৃত অপরাধীদের বিচারের ব্যাপারেও বঙ্গবন্ধু দৃঢ় মনোভাব ব্যক্ত করেছিলেন। কিন্তু কাদের কারসাজিতে তারা শাস্তি পেল না, আশা করি সচেতন সমাজ একদিন খুঁজে বের করলেন এবং জনসমক্ষে তা প্রচার করবেন।
বিশ্বমানবতায় উদ্ভাসিত ধরনীতল এবং হিংসা ও লোভের নাম ধর্ম নয়। বাংলাদেশে ইসলামী মৌলবাদী গোষ্ঠীর রাজনীতি কোরআন নিয়ে হিন্দুদের ধর্মে হস্তক্ষেপ করেছে’ গত ১৩।১০।২০২১ ইং তারিখে! জে: জিয়াউর রহমান রাষ্ঠ্রদ্রোহী জামাত শাহ মোয়াজ্জেমকে বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী বানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্য ধ্বংস করতে যুদ্ধাপরাধী ও জামাতকে নিযুক্ত করে চলে গেছে। জে: জিয়াউর রহমান এবং জে: এরশাদ রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে রাষ্ঠ্রদ্রোহী রাজাকারদের মন্ত্রী বানিয়ে ইসলাম ধর্মের নামে বিহারী ও রোহিঙ্গা শরনার্থীদের নিয়ে পাকিস্তান রাজনীতি বাংলাদেশে রামুর হিংস্র বিশ্বসঘাতক ধর্মান্ধরা! কোরআন নিয়ে বৌদ্ধ বিহারে আগুন দিলে আল্লার গজব ইউরোপে কোরানে আগুন!
পাহাড়ীরা ১৯৬০ সালে মুসলমান নয় বলে পাকিস্তান সরকারের অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে দেশের রাজনৈতিক দলসমূহের কোন নৈতিক সমর্থন পায়নি। পাকিস্তান ধর্মের দোহাই দিয়ে ১৯৬০ সালের কাপ্তাই বাঁধ দেবার সময় তৎকালিন পুর্ব পাকিস্তানে (বাংলাদেশে) গণআন্দেলন হয়নি। কারণ পাহাড়ীরা মরুক, বাঙালিরা ঠিক আছে। অমানবিক আইনে সর্বনাশা পাকিস্তানী আমলে ১৯৬০ সালের সেদিন শত শত বছরের ঐতিহ্য ও ইতিহাস বুকে নিয়ে পুরানো রাঙামাটি শহর কাপ্তাই বাঁধের পানির নীচে চলে গেল। হজ যাত্রীর নামে সউদিতে উগ্র মৌলবাদী পাচার হচ্ছে (যায় যায় দিন, ২ ফেব্রুয়ারি, ২০০৮)। আইন ও রাষ্ঠ্রের নৈতিক শৃঙ্খলা দিয়ে ধর্মের বিচার হয়। ধর্মের হাঁড়িতে রাজনীতির মজাটাই আলাদা। যেমন আমরা যারা দেশের ছোটখাটো নাগরিক, বড় দেশের কথা শুনলে ভয়ে চুপচাপ থাকি; মানবজাতির আশা ও হাত কি স্বার্ধান্ধ ধর্ম বেঁধে রেখেছে?
ইসলাম ধর্ম বিশ্বাসের কারণে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশে ১৯৭৮ থেকে ১৯৮১ সালের মধ্যে পাহাড়ীদের বেঁচে থাকার অধিকার ধ্বংস করতে জেনারেল জিয়াউর রহমান সরকার সমতল জেলা থেকে প্রায় পাঁচ লক্ষ (১১ লক্ষ) বাঙালি মুসলমান সেটেলার পাহাড়ি অঞ্চলেনিয়ে আসে, যেখানে আদিবাসী জুম্ম জাতি কয়েক শতাব্দী ধরে বসবাস করছে এই সেটেলাররা আদিবাসীদের ব্যাপক ভ‚মি অবৈধভাবে দখল করে চলেছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে সমস্ত বিষয়েই ঘুরে ফিরে সেই চিটিংবাজ ধর্মান্ধ জিহাদের ধর্মের সুড়সুড়ির শেষ কোথায়? গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশে সংখ্যালঘু বৌদ্ধ ও হিন্দুদের উপর বর্বর অন্যায়, অত্যাচার, অবিচার ও নির্যাতনের ইতিহাস শুনলে হতবাক ও শরীরে কম্পন উঠে যাবে। বাংলাদেশে রাজনীতির ইসলামীকরণ পার্বত্য চট্টগ্রামেকে গ্রাস করে ফেলেছে। নিজ বাসভ‚মেই পরবাসী করে দিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রামেকে।
আমাদের স্বাধীনতার জাতীয় ইতিহাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধু একটি নাম নয়, একটি জাতির পরিচয় ও অস্তিত্বের অভিনব স্বাক্ষর। আমাদের স্বাধীনতার জাতীয় ইতিহাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধু একটি নাম নয়, একটি জাতির পরিচয় ও অস্তিত্বের অভিনব স্বাক্ষর। অনুভ‚তি আমার বাংলাদেশ, দর্শন আমার বাংলাদেশ, / কবিতা আমার বাংলাদেশ, রক্ষক আমার বাংলাদেশ । আমাদের স্বাধীনতার জাতীয় ইতিহাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে বর্বরভাবে হত্যার পর বাঙালি জাতির বষপের ঘরে আগুন দিল!
৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত শক্তি তুমি বাংলা ছাড়ো! কবি সিকান্দার আবু জাফরের ভাষায়: তুমি বাংলা ছাড়ো! আজকে যখন খুঁড়তে গিয়ে নিজের কবরখানা
আপন খুলির কোদাল দেখি! সর্বনাশা বজ্র দিয়ে গড়া,
কাজ কি দ্বিধায় বিষন্নতায় / বন্দী রেখে ঘৃনার অগ্নিগিরি। /
আমার বুকেই ফিরিয়ে নেব / ক্ষীপ্ত বাঘের থাবা / তুমি আমার জল স্থলের
মাদুর থেকে নামো, / তুমি বাংলা ছাড়ো।
বাংলাদেশে ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত শক্তিই AND THEIR PRESENT GENERATIONS হিংস্র জীব-জানোয়ারের চেয়েও ভয়ঙ্কর মানুষরূপী কোন জীব। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল বারকাত লিখেছেন, “জামায়াতের উগ্র সা¤প্রদায়িকতার বাহক শক্তিটি ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে জনগণের সম্পদ হরিলুট করেছে! গবেষণার তথ্যানুসারে, ২০১৪ সালে বাংলাদেশে মৌলবাদের অর্থনীতির বার্ষিক নিট মুনাফা আনুমানিক ২ হাজার ৪৬৪ কোটি টাকা। এ মুনাফার সর্বোচ্চ ২৭ শতাংশ ৬৬৫ কোটি টাকা আসে বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে (ব্যাংক, বীমা, লিজিং কোম্পানি ইত্যাদি); দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৮.৮ শতাংশ ৪৬৪ কোটি টাকা আসে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা ট্রাস্ট ও ফাউন্ডেশন থেকে; বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান খুচরা, পাইকারি, ডিপার্টমেন্টাল স্টোর থেকে ২৬ ৬ কোটি টাকা আসে ১০.৮ শতাংশ; ওষুধ শিল্প ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারসহ স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান থেকে আসে ১০.৪ শতাংশ ২৫৬ কোটি টাকা; স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে আসে ৯.২ শতাংশ ২২৬ কোটি টাকা; রিয়েল এস্টেট ব্যবসা থেকে আসে ৮.৫ শতাংশ ২০৯ কোটি টাকা, সংবাদ মাধ্যম ও তথ্য প্রযুক্তি থেকে আসে ৭.৮ শতাংশ ১৯৩ কোটি টাকা, আর রিকশা, ভ্যান, তিন চাকার সিএনজি, কার, ট্রাক, বাস, লঞ্চ, স্টিমার, সমুদ্রগামী জাহাজ, উড়োজাহাজের মতো পরিবহন-যোগাযোগ ব্যবসা থেকে আসে ৭.৫ শতাংশ বা ১৮৫ কোটি টাকা।”
বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্যে নিজের প্রাণদান করতে প্রস্তুত ছিলেন। বিশ্বমানবতায় উদ্ভাসিত ধরনীতল এবং হিংসা ও লোভের নাম ধর্ম নয়। বাংলাদেশে মুসলমান সর্বস্ব রাজনীতিতে ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগষ্ট বঙ্গবন্ধুর গায়ে ১৮টি গুলি লেগেছিল কেন? শীঘ্রই এই জঙ্গিবাদের বিচার হবে, অবশ্যই বিচার হবে ইনশাআল্লাহ্। বেয়াদপ সেনা প্রশাসকগন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রাণ কেড়ে নিলো! বঙ্গবন্ধুর গায়ে ১৮টি গুলি মারার চরম নৃশংসতার ছবি। বঙ্গবন্ধুর দাফনের চারদিনের দিন টুঙ্গিপাড়ার বাড়ীর মসজিদে মিলাদ পড়তে দেয়া হয়নি পুলিশ বাধা দেয় কেন? বেয়াদপ সেনা প্রশাসকগনের বিচার না হলে তাদের ঔদ্ধত্য বাঙালি জাতিকে নষ্ট করে দেবে!
বাংলাদেশের জনতা পলিটিক্যাল নানা ষড়যন্ত্রের দুর্ভেদ্য প্রাচীর বিদীর্ণ করে বাংলা ভাষা ও জয় বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করার ইতিহাস! ধর্মভিত্তিক রাজনীতিকে ত্যাগ করে মানবাধিকারে উজ্জীবিত হয়ে গণতান্ত্রিক বাঙালি সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। বাংলাদেশের রাজাকাররা ‘সওয়াবের’ আশায় জোর করে মুসলমান করেছে হিন্দুদের, না হলে মৃত্যু। প্রতিদিন মানুষ মানুষকে মারছে। মিলিটারি মার্কা ধর্মভিত্তিক রাজনীতির অভিশাপে আজ আমাদের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানসমূহ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। বার শত মাইল দূরের পাকিস্তানী সেনাশাসক ইয়াহিয়া খান ইসলাম ধর্মের অপব্যাখ্যা করে গোলাম আজমের জামাত এবং মুসলিম লীগের যুদ্ধাপরাধীরা অসহায় ৩০ লক্ষ বাঙালি হত্যায় একসাগর রক্তের বিনিময়ে সর্বকালের বাংলাদেশের আবির্ভাবে অবাক পৃথিবী তাকিয়ে রয়। একুশের আলোতে পৃথিবী যতো আলোকিত হতে লাগলো বাংলাদেশের রাজনীতিতে ততোধিক অন্ধকারে ইসলাম ধর্মের অপব্যাখ্যায় ধর্মকে জামাত সহ বিভিন্ন ইসলামিক সন্ত্রাসী দল গুলো অস্ত্রের মতো ব্যবহার করে বাঙালি হত্যা চালিয়ে যাচ্ছে দিনের পর দিন।
আমরা যখন আত্মত্যাগ করতে শিখেছি; যখন আমাদের রয়েছে ৩০ লাখ শহীদের রক্তের স্রোতধারা; যখন আমাদের সামনে রয়েছে সালাম, রফিক, বরকত সহ কত শত নাম না জানা শহীদদের রক্তের ঋণ, তখন আমাদের এই প্রজন্মকে কেউ বিপথে নিয়ে যেতে পারবে না। আমরা এসব শহীদের রক্ত বৃথা যেতে দিতে পারি না। মেনে নিতে পারি না পরাজয়। মনুষ্যত্বহীন মানুষ মাত্রই নির্লজ্জ। তাদের কাছে ভালো-মন্দ বিচার বিবেচনা একটু কমই থাকে। মানুষের সাথে কেমন আচরণ করতে হয় তাদের কাছে তা অজানা। আবার চরিত্রহীন লোক পশুর সমান। তারা দুনিয়ার সবাইকে এক ভাবে। এমন কিছু নর-নারীর কারনে আজ পুরো সমাজটাই নষ্ট হতে চলেছে।
বাঙালি জাতির মহান স্বাধীনতা যুদ্ধকে, পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসর, রাজাকার, আলবদর, আলশামস, শান্তিকমিটি ও স্বাধীনতা বিরোধীরা ধর্মীয় রং লাগিয়ে যে বর্বর হত্যাযজ্ঞ, মানুষিক, শাররীক ও ধর্মীয় নির্যাতন করেছেও যা বাঙালীজাতি কখনো ভুলার নয়! পাকিস্তান ও সাতচল্লিশের ধর্মান্ধ ধর্মের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে স্বাধীনতার অভ্যুত্থান! ধর্মান্ধ ইসলাম ধর্মের গোঁড়ামি পাকিস্তান বাংলাদেশে সকল বিভেদ এর মূল! ইসলাম ধর্ম বিশ্বাসের কারনে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশেরস্বাধীনতা কি শুধু মুসলমানদের ইসলাম ধর্মের জন্য?
মুসলমান না হলে কি বাংলাদেশের আদর্শবান নাগরিক হওয়া যায় না? বাংলাদেশে ২০১৯ সালে মুসলমান রচিত ইসলাম ধর্মের পাঠ্য বইতে (Class Five Pages 16 & 17) বলছে “অমুসলিমরা ‘মিথ্যাবাদী’, ‘লোভী’, ‘পশুর অধম’ – শেখাচ্ছে বইসরকারি পাঠ্যবইয়ে অমুসলিমদেরকে যেভাবে তুলে ধরা হয়েছে, তা নিতান্তই আপত্তিকর এবং বিব্রতকরও!
কোরআন নিয়ে রামুর বৌদ্ধ বিহার ও কুমিল্লা দূর্গাপূজায় ধ্বংসযজ্ঞ! কোরআন নিয়ে রামুর বৌদ্ধ বিহার ও কুমিল্লা দূর্গাপূজায় ধ্বংসযজ্ঞ এই বিষয়টার মধ্যে যে সা¤প্রদায়িক বিদ্বেষের মশলা আছে তা জনমানসের রন্ধ্রে রন্ধ্রে সংক্রমিত! কুমিল্লায় কোরান অবমাননার রাজনীতি গুজব ছড়িয়ে হিন্দুদের উপর চলছে ভয়াবহ সা¤প্রতিক হামলা। বাংলাদেশে রাজনীতি কোরআন নিয়ে হিন্দুদের ধর্মে হস্তক্ষেপ করেছে’ গত ১৩।১০।২০২১ ইং তারিখে! হিন্দুদের ওপর সা¤প্রদায়িক হামলা চালাচ্ছে! ইসলাম ধর্মকে মহিমান্বিত করতে রামুর মুসলমান হয়ে বাংলাদেশে মুসলমান ফেইসবুকে কোরাণের উপর পদচিহ্ন দিল কেন?
ইসলামী মৌলবাদী গোষ্ঠী সন্ত্রাসবাদ ধর্মীয় সংখ্যালঘু জনগণের সম্পদ হরিলুট করতে ২৫ হাজার ইসলামী ২৯শে সেপ্টেম্বর ২০১২ সালে রামুর মুসলমান ফেইসবুকে উত্তম বড়ুয়ার ফেক আইডি বানিয়ে কোরাণের উপর পদচিহ্ন দিয়ে উত্তম বড়ুয়াকে হত্যা করে এবং মৌলবাদী গোষ্ঠী রামুর ২৩ টি বৌদ্ধ বিহার ধ্বংসযজ্ঞ করেছে! ১১৯টি বৌদ্ধ স¤প্রদায়ের বাড়িঘর, দোকানপাট ও মন্দিরে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট এবং অগ্নিসংযোগ করেছে!
ভুয়া আইডি নিয়ে উত্তম বড়ুয়াকে হত্যা করষর ১০ বছর পর গত ১৮ জুন ২০২২ মির্জাপুর ডিগ্রী কলেজেরঅধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসকে হত্যা করে! চিটিংবাজ মৌলবাদী ধর্মের সহনশীলতার বকওয়াস। সংখ্যালঘু নির্যাতন উপশমে বিশ্বমৈত্রীর সব ধর্ম নিয়ে হৃদয়সরণি থেকে বইয়ের রাজপথে সর্ব জীবে দয়া এবং অহিংসা পরম ধর্ম আবহমান বেদনার অনুভব। ইসলামী মৌলবাদী গোষ্ঠী বাংলাদেশে হিন্দু ও বৌদ্ধ হত্যায় মানবধর্ম কেঁপে উঠেছে! বীভৎস হত্যাযজ্ঞ প্রথায় মানুষের জীবন কেড়ে নেওয়াটাই ইসলামী মৌলবাদী গোষ্ঠী ধর্মান্ধদের ধর্ম।
বিশ্ববৌদ্ধ পুরস্কার প্রাপ্ত প্রখ্যাত মানবতাবাদী লেখক সোনা কান্তি বড়ুয়া (Bachelor of Arts, University of Toronto), The AuthorÕs World famous and glorious New Book entitled ÒPRE – VEDIC MOHENJODARO BUDDHISM & MEDITATION IN THE NUCLEAR AGE , (516 Pages) “ সাবেক সভাপতি, বাংলা সাহিত্য পরিষদ, টরন্টো, খ্যাতিমান ঐতিহাসিক, কথাশিল্পী, বিবিধগ্রন্থ প্রনেতা প্রবাসী কলামিষ্ঠ, লাইব্রেরীয়ান, বিশ্ববৌদ্ধ সৌভ্রতৃত্ব পত্রিকার সহ সম্পাদক এবং জাতিসংঘে বিশ্ববৌদ্ধ প্রতিনিধি!