সোনা কান্তি বড়ুয়া : অহিংসার বুদ্ধ পূর্ণিমায় গৌতমবুদ্ধই মানুষকে ঈশ্বরের আসনে বসিয়েছেন! মানব মনে উদীয়মান সকল ধর্ম সর্বশক্তিমান এবং “যেথায় আছি যে যেখানে / বাঁধন আছে প্রাণে প্রাণে।” কানাডা এবং আমেরিকা দেশের প্রায় আড়াই হাজার বৌদ্ধ বিহারে বুদ্ধ পূর্ণিমা উদযাপিত হচ্ছে। বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষে গৌতমবুদ্ধকে সশ্রদ্ধ বন্দনা নিবেদনের নৈবেদ্য সাঁজিয়ে বিশ্বকবি রবীন্দ্র নাথ ঠাকুরের ভাষায় :
“কে তুমি গো খুলিয়াছ স্বর্গের দুয়ার
ঢালিতেছ এত সুখ, ভেঙে গেল- গেল বুক-
যেন এত সুখ হৃদে ধরে না গো আর।
তোমার চরণে দিনু প্রেম- উপহার-
না যদি চাও গো দিতে প্রতিদান তার
নাই বা দিলে তা মোরে, থাকো হৃদি আলো করে,
হৃদয়ে থাকুক জেগে সৌন্দর্য তোমার!”
শুভ ২৫৬৮ তম বুদ্ধ পূর্ণিমার শুভেচ্ছা বিনিময়। মানব মনে উদীয়মান সকল ধর্ম “শান্ত হে, মুক্ত হে, হে অনন্ত পুণ্য / করুণাঘন ধরণীতল করহ কলংক শূন্য!” এ পৃথিবীতে আমরা কেহ চিরস্থায়ী নয়। সবাই হলাম ক্ষণকালের অতিথি। অতিথির মত আমরা এসে থাকি, আবার সময়ের অবসানে পৃথিবী হতে বিদায় নিয়ে অজানার উদ্দেশ্যে চলে যাই। আমাদের সকলকে মিলেমিশে একত্রিত হয়ে এ পৃথিবীকে অধিক সুন্দর, সুখ ও শান্তিতে বসবাসের জন্য উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে সর্বাত্মক প্রয়াস হওয়া উচিত। অহিংসা পরম ধর্ম বিশ্বে বুদ্ধের বাণী নতুন করে অনুরণিত হউক!
সভ্যতার ইতিহাসে মানবজাতি ও গৌতমবুদ্ধ অন্যায় ও হিংসা কে পরাভ‚ত করে ন্যায় এবং অহিংসা প্রতিষ্ঠা করেছ, তেমনি অসত্যকে পরাভ‚ত করে সত্য, অকল্যাণকে পরাভ‚ত করে কল্যাণময় সমাজ প্রতিষ্ঠা করেছে। এ- প্রক্রিয়ায় মূর্খতা ও অজ্ঞতাকে পরাভ‚ত করেই জ্ঞানকে জয়ী হতে হয়েছে। মানবজাতি আদিম যুগ থেকেই প্রকৃতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে পর্যায়ক্রমে নিজেদের উন্নয়ন ঘটিয়েছে। প্রকৃতিতেই সৃষ্টি এবং প্রকৃতিতেই বেড়ে উঠেছে বিধায় অন্যান্য প্রাণিক‚লের মতোই মানবপ্রজাতিও বেঁচে থাকার জন্য প্রকৃতি নির্ভরশীল ছিল। ক্ষুধা নিবৃত্তির জন্য গাছের ফলমূল, ক্ষুদ্র প্রাণী, পশুপাখি, পানি, মাছসহ জলজপ্রাণী আহরণ ও ভক্ষণই ছিল আদি মানুষের প্রধান কাজ। এ পৃথিবীতে আমরা কেহ চিরস্থায়ী নয়। প্রেম, মৈত্রী, করুণা, দয়া, ভালবাসা, সহযোগিতা, ভ্রাতৃত্ব ইত্যাদি মহৎ গুণের সৌন্দর্যে পৃথিবীকে ভরে তুলতে পারলেই পৃতিবীকে তখন অধিক আনন্দ, অধিক সুখ, অধিক উৎসব মুখর ও অধিক সুগন্ধে মাতোয়ারা করতে পারব। তখন আমরা এ পৃথিবীকেই আমাদের প্রজন্মকে সুন্দর এক স্বর্গরাজ্য উপহার দিয়ে যেতে পারব।
আমার দেশ আমার পরম তীর্থভ‚মি এবং মানবাধিকারই সর্বকালের ধর্মের মূলমন্ত্র। পূজণীয় গৌতমবুদ্ধ শান্ত হে মুক্ত হে, হে অনন্ত পুণ্য / করুণাঘন ধরনীতল করহ’ কলঙ্ক শূন্য। বিশ্ববৌদ্ধ স¤প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বুদ্ধ পূর্ণিমা কালের কপোল তলে শুভ্র সমুজ্জ্বল! জগতের সকল প্রাণী সুখী হোক, অশান্ত পৃথিবীতে শান্তি বিরাজ করুক। বিশ্বব্যাপী সকল প্রাণীর মঙ্গল কামনাই বৌদ্ধদের মৈত্রী ভাবনা। মনে মৈত্রী করুণ রস, বাণী অমৃত পদ। জনে জনে হিতের তরেপড়েন স ত্যের সন্ধানে বৌদ্ধ সাহিত্য! বুদ্ধ পূর্ণিমা বৌদ্ধ স¤প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব। বৈশাখ মাসের এই পূর্ণিমা দিবসে মহামানব বুদ্ধের জীবনের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা সংঘটিত হয়েছিল বলে দিনটি ‘বুদ্ধ পূর্ণিমা’ নামে খ্যাত। খ্রিস্টপূর্ব ৬২৩ অব্দের এ দিনে গৌতম বুদ্ধ জন্মগ্রহণ করেন, ৫৮৮ খ্রিস্টপূর্বাব্দের এ দিনে তিনি সাধনায় সিদ্ধি লাভ করে জগতে বুদ্ধ নামে খ্যাত হন এবং ৫৪৩ খ্রিস্টপূর্বাব্দের এ দিনে তিনি মহাপরিনির্বাণ লাভ করেন। সিদ্ধার্থের বুদ্ধত্বলাভের মধ্য দিয়েই জগতে বৌদ্ধধর্ম প্রবর্তিত হয়।
পূজনীয় গৌতমবুদ্ধের বুদ্ধজয়ন্তি স্মৃতির সাগরে তীরে। এক ভাব গম্ভীর বৌদ্ধ ধর্মীয় ঐতিহ্যের পরিবেশে টরন্টোসহ কানাডায় বিভিন্ন দেশের বৌদ্ধ বিহারে ২৫৬৮ তম বুদ্ধাব্দের শুভ বুদ্ধজয়ন্তি বর্ষ বুদ্ধ পূর্ণিমা জাতি সঙ্ঘসহ বিশ্বের অধিকাংশ দেশে এ দিবসটিVISAKHA PUJA (Thailand, Combodia, Laos and Vietnam) & বেশাখ (Sri Lanka and Myanmar) দিবসরূপে উদযাপিত হয়েছে। বুদ্ধ পূর্ণিমার জগজ্জ্যোতি বুদ্ধের বিশ্বমৈত্রীতে উদ্ভাসিত ধরনীতল! আমার লেখা কবিতা বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষে গৌতমবুদ্ধকে সশ্রদ্ধ বন্দনা নিবেদনের নৈবেদ্য সাঁজিয়ে মহামানব পূজনীয় বুদ্ধের নামে উৎসর্গ করছি –
হে মোর চিত্ত বৌদ্ধ তীর্থে জাগোরে ধীরে
গৌতমবুদ্ধের স্মৃতির সাগরে তীরে।
রাজশাহীর পাহাড়পুর এবং বগুড়ার মহাস্থানগড়ে
গৌতমবুদ্ধের শিক্ষা দীক্ষা ছিল বিশ্বশান্তির তরে।
সিদ্ধার্থের রাজসিংহাসন ত্যাগ মানব কল্যাণে
মনের আঁধার জয়ী বুদ্ধ গয়ার উরবিল্ব বনে।
লোভকে জয় করা সহজ কাজ নয়
বোধিবৃক্ষতলে বুদ্ধত্ব লাভ মারের পরাজয়।
গৌতমবুদ্ধের স্মৃতি ভাসে পুন্ড্রবর্ধন ও রমনার বটমূলে।
পাহাড়পুরে সোমপুরী মহাবিহার, মহাস্থানে বুদ্ধভগবান,
বাংলাদেশে ছিল মৈত্রীর অভিনব বাতাবরণ।
রাজশাহীর পাহাড়পুর এবং বগুড়ার মহাস্থানগড়ে
গৌতমবুদ্ধের শিক্ষা দীক্ষা ছিল বিশ্বশান্তির তরে।
সিদ্ধার্থের রাজসিংহাসন ত্যাগ মানব কল্যাণে
মনের আঁধার জয়ী বুদ্ধ গয়ার উরবিল্ব বনে।
লোভকে জয় করা সহজ কাজ নয়
বোধিবৃক্ষতলে বুদ্ধত্ব লাভ মারের পরাজয়।
আবেগ ছোঁয়া স্বপ্নমায়ায় প্রথম বাংলা বই চর্যাপদ,
চুরাশি সিদ্ধার শূন্য নৌকায় বজ্রযোগীনি মহাসুখ পথ।
ধর্ম কোলাহলে কি বাংলাভাষার পুষ্ঠি ও বিকাশ?
ব্রাক্ষণ্য ধর্মের সাথে বৌদ্ধধর্মের যুদ্ধ হ’ল প্রকাশ।
ছুটে চলা রমনা পার্ক থেকে নেপালের লুম্বিনী উদ্যানে
গিয়ে দেখি রাজপুত্র সিদ্ধার্থ বিশ্বমৈত্রী ফেলা আসা দিনে।
বোধিসত্ত¡ তারা দেবীর ওরার মতোই বরফের আবরন,
চীন তিব্বতের তারা দেবী কেন বাংলায় কালূ রূপে বিচরণ?
আমার সহধর্মিণী বিশিষ্ট কণ্ঠশিল্পী মিসেস যুথিকা বড়ুয়ার মৃত্যুতে ধর্মনিয়ে ধান্দাবাজি করতে ধান্দাবাজ সনদ বড়ুয়া WAS BEGGING MONEY IN THE NAME OF আমার সহধর্মিণী যুথিকা বড়ুয়া! এবং আমি-টরন্টো বৌদ্ধ বিহারকে তিন হাজার ডলার দান দিয়েছি TO STOP সনদ বড়ুয়ার BEGGING SYSTEMS!
টরন্টো বাংলাদেশ বৌদ্ধ বিহার সমিতিকে হাতিয়ার করে অহিংসার বুদ্ধ পূর্ণিমায়-টরন্টো বাংলাদেশের বৌদ্ধ বিহারে ধর্মনিয়ে ধান্দাবাজি! আমি-টরন্টো বৌদ্ধ বিহারকে তিন হাজর ডলষর দষন দিয়েছি! মনুষ্যত্ব কেড়ে নিয়ে আশীষ বড়ুয়া উস্কানি দিচ্ছেন টরন্টোর সনদ বড়ুয়াকে! আশীষ বড়ুয়া ্ সনদ বড়ুয়া নষ্টদের অধিকারে সমিতিকে (BUDDHIST SOCIETY OF ONTARIO) হাতিয়ার করে সোনা কান্তি বড়ুয়ার-টরন্টো বাংলাদেশের বৌদ্ধ বিহারকে তিন হাজার ডলার দান নিয়ে ধান্দাবাজি করেছে! চিটিংবাজ সনদ বড়ুয়া আমার স্বাধিকারের দষনের ওপর হস্তক্ষেপ করেছে। টরন্টো বৌদ্ধ বিহারকে তিন হাজার ডলার দান MADE HIS (চিটিংবাজ সনদ বড়ুয়া) SINISTER CONSPIRACY.!
টরন্টো বাংলাদেশ বৌদ্ধ বিহার সমিতিকে (BUDDHIST SOCIETY OF ONTARIO) হাতিয়ার করে সনদ বড়ুয়া আমার তিন হাজার $960 ডলার দানের ওপর হস্তক্ষেপ করে!
তিন হাজার ডলার দান প্রবঞ্চনা প্রসঙ্গ! ১৮ এপ্রিল ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ আমার সহধর্মিণী বিশিষ্ট কণ্ঠশিল্পী মিসেস যুথিকা বড়ুয়া মৃত্যুতে বুদ্ধ বিহারে (AND MEDITATION সেন্টারে MONASTERY) সোনা কান্তি বড়ুয়া ও পরিবার (DAUGHTER INDIRA BARUA) কর্তৃক আয়োজিত সংঘদান, অষ্ট পরিষ্কার দান ও জ্ঞাতি সন্মেলন মহাসংঘ দানের আয়োজন ছিল, বিশ্বকবি রবীন্দ্র নাথ ঠাকুরের ভাষায় ধর্ম হইতেছে জীবে দয়া, মানুষে শ্রদ্ধা। “আজকের দিনে সমস্ত সমস্যার মূলে Attachment & ক্রোধ! গৌতমবুদ্ধের উপদেশ ছিল, “অক্রোধের দ্বারা বিশ্বমৈত্রীতে ক্রোধকে জয় কর।”
বৈশাখী পূর্ণিমা। নিশি অবসান প্রায়। পূর্ণচন্দ্র পশ্চিম গগনে হেলিয়া পড়িয়াছে। তাহার অমল ধবল স্নিগ্ধ কিরণমালা নিদাঘ ক্লিষ্ট প্রকৃতির উপর শেষ অমিয়ধারা বর্ষণ করিতেছে। অদূরে হিরণ্যবতী নদী, স্বাভাবিক ধীর মন্থর গতিতে প্রবাহিত হইয়া গতিশীল জীবনের অনিত্যতা ঘোষণা করিতেছে। প্রস্ফুটিত কুসুম সুবাস বহন করিয়া মৃদুমন্দ মলয়হিল্লোল সমস্ত শালকুঞ্জকে আমোদিত করিতেছে। নির্ব্বাণোম্মুখ দীপশিখাগুলি মিঠিমিঠি জ্বলিতেছে। সমবেত জনতা এক চরম মূহুর্ত্তের অপেক্ষায় উৎসুক নেত্রে সমাসীন। নিস্তব্ধ ধরণী। সহসা নিস্তব্ধ প্রকৃতির নীরবতা ভঙ্গ করিয়া ধ্বনিত হইল, “আনন্দ, তথাগতের অর্বত্তমানে তোমরা মনে করিওনা- আমাদের শাস্তা নাই, আমাদের শিক্ষাগুরু অন্তর্হত হইয়াছেন। তথাগত যে ধর্ম্ম বিনয় তোমাদিগকে উপদেশ করিয়াছেন, ইহাই তোমাদের শিক্ষাগুরু। তথাগতকে তোমরা যেরূপে সম্মান ও সম্বোধন করিতে, অতঃপর কনিষ্ঠ ভিক্ষু জ্যেষ্ঠ ভিক্ষুকে সেরূপ করিবে। সম্মিলিত ভিক্ষুসঙ্ঘ প্রয়োজন বোধে ক্ষুদ্রাদি ক্ষুদ্র শিক্ষাপদ পরিবর্ত্তন করিতে পারিবে। বুদ্ধ, ধর্ম্ম, সঙ্ঘ অথবা আর্য্যমার্গ সম্বন্ধে কাহারো কোন সংশয় থাকিলে এখন জিজ্ঞাসা করিতে পার।” সকলেই নীরব রহিলেন। কারণ তাঁহাদের সর্ব্ব কনিষ্ঠও স্রোতাপন্ন ছিলেন। ভগবান্ পুনরায় বলিলেন, “ভিক্ষুগণ। যৌগিক পদার্থ মাত্রেই ভঙ্গুর, ক্ষয়শীল। অপ্রমত্তভাবেই স্বকার্য্য সম্পাদনা কর।” ইহাই তথাগতের অন্তিমবাণী।
(অসমাপ্ত। সূত্র : মহাপরিনিব্বান সুত্তং – রাজগুরু শ্রী ধর্ন্মরতœ মহাস্থবির।)!
বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষে গৌতমবুদ্ধকে সশ্রদ্ধ বন্দনা নিবেদনের নৈবেদ্য সাঁজিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর “হিংসায় উন্মত্ত পৃথ্বী” গানটি বুদ্ধ জন্মোৎসব ২১ শে ফাল্গুন, ১৩১৩ বঙ্গাব্দ মহামানব বুদ্ধের নামে উৎসর্গ করেছিলেন! কালের কপোল তলে বুদ্ধ পূর্ণিমার বিশ্বমৈত্রীতে উদ্ভাসিত ধরনীতল!
“হিংসায় উন্মত্ত পৃথ্বি নিত্য নিঠুর দ্ব›দ্ব
ঘোর কুটিল পন্থ তার লোভ জটিল বন্ধ।
নতুন তব জন্ম লাগি কাতর যত প্রাণী
কর ত্রান মহাপ্রাণ আন অমৃত বাণী
বিকশিত করো প্রেম প্রদ্ম চিরমধু নিষ্যন্দ
শান্ত হে মুক্ত হে, হে অনন্ত পুণ্য
করুণাঘন ধরণীতল করহ কলংক শূন্য
এস দানবীর দাও ত্যাগ কঠিন দীক্ষা
মহাভিক্ষু লও সবার অহংকার ভিক্ষা।
দেশ দেশ পরিল তিলক রক্ত কলুষ গ্লানি
তব মঙ্গল শঙ্খ আন, তব দক্ষিন পাণি
তব শুভ সঙ্গীতরাগ, তব সুন্দর ছন্দ।
শান্ত হে মুক্ত হে, হে অনন্ত পুণ্য
করুণাঘন ধরনীতল করহ’ কলঙ্ক শূন্য।”
বৌদ্ধ ধর্মের প্রবর্তক গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান কোথায় জানেন কী? নেপালের লুম্বিনিতে। আর সেখানেই এক প্রাচীন মন্দিরে খননকার্য চালানোর সময়ে প্রতœতাত্তি¡করা আবিষ্কার করে ফেলেছেন খ্রিস্টপূর্ব ৬ষ্ঠ শতকের আরেকটি অজানা কাঠামো। তাদের দাবি অনুযায়ী, এটা পৃথিবীর প্রাচীনতম বৌদ্ধমন্দির বা প্যাগোডা। ইতোপূর্বে আবিষ্কৃত প্রাচীনতম বৌদ্ধমন্দির ছিলো সম্রাট অশোকের সময়কালের। তবে এখন জানা গেছে যে সেটা এই মন্দিরের অনেক পরে তৈরি হয়, মোটামুটি খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতকে- যখন সম্রাট অশোক আফগানিস্তান থেকে শুরু করে বাংলাদেশ পর্যন্ত বৌদ্ধধর্ম ছড়িয়ে দিচ্ছিলেন।
খ্রিস্টপূর্ব ৬ষ্ঠ শতকের মত বৌদ্ধ ধর্মানুসারে, বুদ্ধের বোধি লাভ হয় একটি বৃক্ষের নিচে এবং গবেষকেরাও একটি বৃক্ষকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা মন্দির খুঁজে পেয়েছেন যা প্রাচীন সময়ে তৈরি হয়। আরও বলা হয়, এর আগে ওই এলাকায় (নেপালে) বৃক্ষ কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা কোনও মন্দিরের খোঁজ পাওয়া যায় নি। সুতরাং সম্ভাবনা আছে যে এটাই হতে পারে সেই বৃক্ষ যার ডাল ধরে মহামায়া দেবী জন্ম দিয়েছিলেন গৌতম বুদ্ধকে। একটি প্রেস কনফারেন্সে কনিংহ্যাম বলেন, (চৎরুধ. ঈড়স) এটা এমন এক দুর্লভ মুহূর্ত যেখানে ধর্ম এবং বিজ্ঞান পাশাপাশি অবস্থান করছে। বৌদ্ধ ধর্মানুসারে, রানী মহামায়া দেবী লুম্বিনি বাগানের একটি গাছের ডাল ধরে থাকা অবস্থায় বুদ্ধের জন্ম দেন। গৌতম বুদ্ধ বেড়ে ওঠেন বিলাস ও প্রাচুর্যের মাঝে, কিন্তু ২৯ বছর বয়সে গৃহত্যাগী হয়ে তিনি বোধনের সন্ধান শুরু করেন।
বৌদ্ধ ধর্মের প্রবর্তক গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান কোথায় জানেন কী? নেপালের লুম্বিনিতে। আর সেখানেই এক প্রাচীন মন্দিরে খননকার্য চালানোর সময়ে প্রত্নতাত্তি¡করা আবিষ্কার করে ফেলেছেন খ্রিস্টপূর্ব ৬ষ্ঠ শতকের আরেকটি অজানা কাঠামো। তাদের দাবি অনুযায়ী, এটা পৃথিবীর প্রাচীনতম বৌদ্ধমন্দির বা প্যাগোডা। ইতোপূর্বে আবিষ্কৃত প্রাচীনতম বৌদ্ধমন্দির ছিলো সম্রাট অশোকের সময়কালের। তবে এখন জানা গেছে যে সেটা এই মন্দিরের অনেক পরে তৈরি হয়, মোটামুটি খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতকে- যখন সম্রাট অশোক আফগানিস্তান থেকে শুরু করে বাংলাদেশ পর্যন্ত বৌদ্ধধর্ম ছড়িয়ে দিচ্ছিলেন।
খ্রিস্টপূর্ব ৬ষ্ঠ শতকের মত বৌদ্ধ ধর্মানুসারে, বুদ্ধের বোধি লাভ হয় একটি বৃক্ষের নিচে এবং গবেষকেরাও একটি বৃক্ষকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা মন্দির খুঁজে পেয়েছেন যা প্রাচীন সময়ে তৈরি হয়। আরও বলা হয়, এর আগে ওই এলাকায় (নেপালে) বৃক্ষ কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা কোনও মন্দিরের খোঁজ পাওয়া যায় নি। সুতরাং সম্ভাবনা আছে যে এটাই হতে পারে সেই বৃক্ষ যার ডাল ধরে মহামায়া দেবী জন্ম দিয়েছিলেন গৌতম বুদ্ধকে। একটি প্রেস কনফারেন্সে কনিংহ্যাম বলেন, (Priya. Com) এটা এমন এক দুর্লভ মুহূর্ত যেখানে ধর্ম এবং বিজ্ঞান পাশাপাশি অবস্থান করছে। বৌদ্ধ ধর্মানুসারে, রানী মহামায়া দেবী লুম্বিনি বাগানের একটি গাছের ডাল ধরে থাকা অবস্থায় বুদ্ধের জন্ম দেন। গৌতম বুদ্ধ বেড়ে ওঠেন বিলাস ও প্রাচুর্যের মাঝে, কিন্তু ২৯ বছর বয়সে গৃহত্যাগী হয়ে তিনি বোধনের সন্ধান শুরু করেন।
খ্রিস্টপূর্ব ৬ষ্ঠ শতকের মত বৌদ্ধ ধর্মানুসারে, বুদ্ধের বোধি লাভ হয় একটি বৃক্ষের নিচে এবং গবেষকেরাও একটি বৃক্ষকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা মন্দির খুঁজে পেয়েছেন যা প্রাচীন সময়ে তৈরি হয়। আরও বলা হয়, এর আগে ওই এলাকায় (নেপালে) বৃক্ষ কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা কোনও মন্দিরের খোঁজ পাওয়া যায় নি। সুতরাং সম্ভাবনা আছে যে এটাই হতে পারে সেই বৃক্ষ যার ডাল ধরে মহামায়া দেবী জন্ম দিয়েছিলেন গৌতম বুদ্ধকে। একটি প্রেস কনফারেন্সে কনিংহ্যাম বলেন, (Priya. Com) এটা এমন এক দুর্লভ মুহূর্ত যেখানে ধর্ম এবং বিজ্ঞান পাশাপাশি অবস্থান করছে। বৌদ্ধ ধর্মানুসারে, রানী মহামায়া দেবী লুম্বিনি বাগানের একটি গাছের ডাল ধরে থাকা অবস্থায় বুদ্ধের জন্ম দেন। গৌতম বুদ্ধ বেড়ে ওঠেন বিলাস ও প্রাচুর্যের মাঝে, কিন্তু ২৯ বছর বয়সে গৃহত্যাগী হয়ে তিনি বোধনের সন্ধান শুরু করেন। মানবতা আজ কোবিদ-১৯ বৈশ্বিক মহামারী করোনা দ্বারা পীড়িত। হে মোর চিত্ত ,বৌদ্ধতীর্থে জাগোরে ধীরে! বাংলাদেশের বৌদ্ধ ভিক্ষুসহ বিভিন্ন বৌদ্ধ দেশের ভিক্ষু সংঘের কাছ থেকে ত্রিশরনসহ পঞ্চশীল প্রার্থনা, নিমন্ত্রিত বৌদ্ধ ভিক্ষু সংঘকে সঙ্ঘ দান, পিন্ডপাত প্রদান, নিমন্ত্রিত উপাসক উপাসিকাগণকে আহার প্রদান এবং পুণ্যানুমোদনের পুণ্য অনুষ্ঠানসমূহ সুচারুভাবে সুসম্পন্ন হয়। মানুষ নিজের ভুবনে নিজেই সম্রাট। জগজ্জ্যোতি বুদ্ধের বিশ্বমৈত্রীতে হিন্দু মুসলমান বৌদ্ধ খৃষ্ঠান সহ সর্ব ধর্মের মানুষ একত্রে মানুষের ভাই বোন আত্মীয় স্বজন। কোন মানুষ অন্য মানুষের শত্রু নয়।
টাইম ম্যাগাজিনে সর্ব প্রধান গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ ছিল : (টাইম, ১৩ অক্টোবর ১৯৯৭ সাল) আমেরিকানদের সাথে বৌদ্ধধর্মের আন্তরিক হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক ” (আমেরিকানস ফ্যাসসিনেশান উইথ বুড্ডিজম) এবং মহামান্য দালাইলামর নিকট সশ্রদ্ধ চিত্তে আমেরিকান স্ত্রী ও পুরুষ দলে দলে বৌদ্ধধর্ম গ্রহন করেছেন! কলম্বাসের পূর্বে এরিজোনার প্রাগৈতিহাসিক বৌদ্ধ মন্দিরে আমেরিকা আবিস্কারের অজানা ইতিহাস ! ১৯০৯ সালে, April 05, উক্ত প্রসঙ্গ নিয়ে এরিজোনার গেজেট পত্রিকায় “Before Colombus, Buddhist Monks discovered America” প্রকাশিত হবার পরও আমরা কেহ উক্ত প্রসঙ্গ নিয়ে মাথা ঘামাইনি!
সোনাকান্তি বড়ুয়া, বিবিধ গ্রন্থ প্রণেতা, কলামিষ্ট এবং মানবাধিকার কর্মী।) সাবেক সভাপতি, বাংলা সাহিত্য পরিষদ, টরন্টো, খ্যাতিমান ঐতিহাসিক, কথাশিল্পী, বিবিধগ্রন্থ প্রনেতা প্রবাসী কলামিষ্ঠ, লাইব্রেরীয়ান, বিশ্ববৌদ্ধ সৌভ্রতৃত্ব পত্রিকার সহ সম্পাদক এবং জাতিসংঘে REPRESENTATIVE OF THE WORLD FELLOWSHIP OF BUDDHISTS, BANGKOK , THAILAND