অনলাইন ডেস্ক : বাড়ির কাছেই কফিন তৈরির কাজ করছিলেন জোসুয়া হুটাগালাঙ্ক। হঠাৎ বিকট শব্দে বাড়ির ছাদে ফুটো হয়ে পড়ল উল্কাপিন্ড। এতে ঘরের মেঝেতে প্রায় ১৫ সেন্টিমিটার ঢুকে যায় উল্কাপিণ্ডটি। এ ঘটনায় প্রথমে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন জোসুয়া। তখনো তিনি জানতেন না এই পাথরটিই তার ভাগ্য পরিবর্তন করবে। ওই পাথরটি তাকে রাতারাতি কোটিপতি করেছে।
এ ঘটনাটি গত আগস্টে ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রার কোলাঙ্ক এলাকায় ঘটেছে।
এই উল্কা টুকরাটি প্রায় ৪০০ বছরের পুরোনো। এটির বাজারে দাম ১৮ লাখ ডলার। টাকায় ১৫ কোটি টাকার বেশি। এটি বিক্রি করে জোসুয়া পেয়েছে ১৫ কোটি টাকা। বিরল প্রজাতির এই উল্কাটির প্রতি গ্রাম ৮৫৭ ডলারে বিক্রি হয়েছে। এক সংগ্রহকারী এটি কিনেছেন।
ফেসবুকে এই পোস্ট করে জোসুয়া হুটাগালাঙ্ক লিখেছিলেন, ‘হঠাৎ আকাশ থেকে একটি কালো পাথরের মতো পড়েছিল। আমাকে অবাক করেছে। তবে তা যা–ই হোক না কেন, আশা করি আমাদের পরিবারের জন্য এটি একটি ভালো লক্ষণ।’
জোসুয়া জানিয়েছেন, প্রথম যখন এটি পড়ে তখন বাড়িটা যেন ঝাঁকি খেল। ছাদ ফেটে পড়ার পর এটি অনেক গরম ছিল। কিন্তু পরে এটি ঠান্ডা হয়ে যায়। উল্কা বেচে যে অর্থ পেয়েজেন, তা দিয়ে এলাকায় চার্চ করতে চান জোসুয়া।
বিক্রির আগে বিরল বস্তুটি দেখতে জোসুয়ার বাড়িতে রীতিমতো ভিড় লেগে গিয়েছিল। জোসুয়া হুটাগালাঙ্ক বলেন, ‘অনেকে কৌতূহল থেকে পাথরটি দেখতে আমাদের বাড়িতে এসেছিলেন।’
জোসুয়ার বাড়িতে উল্কা পড়ার দিন আশপাশের এলাকায় আরও তিনটি উল্কা পড়েছে।