অনলাইন ডেস্ক : সিলেটের এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে গণধর্ষণের ঘটনায় অন্যতম আসামি ছাত্রলীগ কর্মী সাইফুর রহমানের পর পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে একই মামলার আরেক আসামি অর্জুন লস্কর।
রবিবার ভোর ৬টার দিকে হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার মনতলা নামক এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে সিলেট জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।
ধর্ষণের ঘটনার পর অর্জুন পালিয়ে যায় হবিগঞ্জের মাধবপুর। সেখানে মনতলা এলাকায় তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে অবস্থা করছিল সে।
তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে অর্জুনের অবস্থান সনাক্ত করে রবিবার সকালে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। এ নিয়ে আলোচিত এই মামলার দুই আসামি গ্রেফতার হলেন।
গত শুক্রবার সন্ধ্যায় এমসি কলেজ এলাকায় গাড়ি নিয়ে বেড়াতে যান স্বামী ও স্ত্রী। ঐ সময় ৫-৬ জন যুবক এসে জোরপূর্বক ঐ দম্পতিকে ছাত্রাবাসে নিয়ে যায়। সেখানে একটি কক্ষে স্বামীকে বেঁধে রেখে ১৯ বছরের গৃহবধূকে গণধর্ষণ করে তারা।
পরে রাত ১০টায় খবর পেয়ে পুলিশ দম্পতিকে উদ্ধার করে। আর ওই নববধূকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে শাহপরান থানা পুলিশ। এই ঘটনার পর সিলেটে তোলপাড় ও বিচারের দাবিতে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়।
গণধর্ষণের ঘটনার পর ছয়জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও তিনজনকে আসামি করে গত শনিবার সকালে নগরীর শাহপরান থানায় মামলা করেছিলেন ধর্ষিতার স্বামী।
মামলার আসামিরা হলেন- সাইফুর রহমান, মাহবুবুর রহমান রনি, তারেক, অর্জুন লঙ্কর, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান। এদের মধ্যে চারজন ওই কলেজের শিক্ষার্থী। এছাড়া আরও তিনজনকে অজ্ঞাত আসামি হিসেবে দেখানো হয়েছে। এরা সবাই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।