অনলাইন ডেস্ক : ২০০৬ সালের নির্বাচনে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার শাসনভার পায় হামাস। ফাতাহর নিয়ন্ত্রণে থাকে পশ্চিম তীর। এই দুই গোষ্ঠীর মতাদর্শগত পার্থক্যের কারণে সেই সময় থেকেই রাজনৈতিকভাবে বিভক্ত পশ্চিম তীর ও গাজা। তবে চলমান যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ফিলিস্তিনের সকল রাজনৈতিক গোষ্ঠীর ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জোরালো তাগিদ দেখা দেয়। সেই লক্ষ্যেই চীনের আমন্ত্রণে ২১ থেকে ২৩শে জুলাই বেইজিংয়ে বৈঠকে বসে হামাস, ফাতাহসহ ফিলিস্তিনের ১৪টি রাজনৈতিক অংশ।
ঐ বৈঠকে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ ও বিভাজন দূর করে ফিলিস্তিনের সকল রাজনৈতিক অংশ ‘বেইজিং ডিক্লারেশন’ নামে ঐতিহাসিক একটি ঐক্য চুক্তিতে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছেন প্যালেস্টিনিয়ান ন্যাশনাল ইনিশিয়েটিভ- পিএনআই’র মহাসচিব মুস্তাফা বারগুতি।
চুক্তি অনুসারে, ফিলিস্তিনকে পুনর্মিলিত ও একতাবদ্ধ করতে একজোট হয়ে কাজ করবে গোষ্ঠীগুলো। এছাড়া ফিলিস্তিনি জনতার একক বৈধ প্রতিনিধি হিসেবে পিএলও, এ ব্যাপারেও একমত হয় সবাই।
চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম সিসিটিভি জানায়, বৈঠকে যুদ্ধ পরবর্তী গাজার শাসনভার নেয়ার জন্য অন্তবর্তীকালীন একটি জাতীয় জোট সরকার গঠনের ব্যাপারে একমত হয় রাজনৈতিক গোষ্ঠীগুলো। একই সাথে জাতিসংঘ সনদ অনুসারে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাওয়ার ব্যাপারে সম্মত হয় তারা।
এই চুক্তিকে আগের যে কোনো চুক্তির চেয়ে সফল ও কার্যকর চুক্তি বলে অভিহিত করেছেন মুস্তাফা বারগুতি। তিনি বলেন, ‘এবারের চুক্তিটি বেশি তাৎপর্যময়, কারণ এটি একই সাথে বিশদ ও বাস্তবসম্মত। আজ থেকে নতুন এক যাত্রা শুরু হলো। এ জন্য চীনকে ধন্যবাদ। এ ক্ষেত্রে তাদের আরো বড় ভূমিকা রাখতে হবে। ফিলিস্তিনি জনতাকে সমর্থন দিয়ে যাওয়ার জন্য চীনের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।’
ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীগুলোর এই পুনর্মিলনকে সাধুবাদ জানিয়েছে চীন। বেইজিং ডিক্লারেশন বাস্তবায়নে সকল পক্ষের সাথে যোগাযোগ রক্ষা ও সমন্বয় সাধনে কাজ করে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তারা।