অনলাইন ডেস্ক : বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, চা শিল্পের উন্নয়ন সরকার সব ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে। দেশে চা’র চাহিদা বাড়ছে, বিদেশেও বাংলাদেশে উৎপাদিত চা’র চাহিদা রয়েছে। অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে চা রপ্তানি বৃদ্ধি করতে হবে।

রবিবার ঢাকায় সরকারি বাসভবনে বাংলাদেশের চা শিল্পের উন্নয়ন সংক্রান্ত এক সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব এসব কথা বলেন। বৈঠকে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদও উপস্থিত ছিলেন।

টিপু মুনশি আরো বলেন, এক সময় চা বাংলাদেশের অন্যতম রপ্তানি পণ্য ছিল। যুক্তরাষ্ট্র, পাকিস্তান, মধ্যপ্রচ্যের রিভিন্ন দেশসহ পৃথিবীর অনেক দেশে বাংলাদেশে উৎপাদিত চা’র প্রচুর চাহিদা রয়েছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, চা’র উৎপাদন বৃদ্ধিতে মালিকদের এগিয়ে আসতে হবে। সরকার দেশের চা শিল্পের উন্নয়নে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে। দেশে চা বাগানের সংখ্যা বৃদ্ধি করার সুযোগ রয়েছে, এ সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে। চা শিল্পের উন্নয়নে সরকার “ উন্নয়নের পথনকশা ” গ্রহণ করেছে এবং তা বাস্তবায়ন চলছে। চায়ের ক্রমবর্ধমান অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণ, রপ্তানি বৃদ্ধি বিষয়টি সামনে রেখে আগামী ২০২৫ সালে দেশে ১৪০ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রথম বাংগালী চা বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন। দেশের চা শিল্পের উন্নয়নে বঙ্গবন্ধু ব্যাপক কার্যক্রম হাতে নিয়েছিলেন। চা শিল্পের উন্নয়নে বাংলাদেশ চা বোর্ড এবং চা বাগানের মালিকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।

সভায় বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন, বাংলাদেশ টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. জহিরুল ইসলাম, বাংলাদেশ টি এ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট এম শাহ আলম, সদস্য আরদাশির কবীর, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব(রপ্তানি) জিনাত আরা উপস্থিত ছিলেন।