অনলাইন ডেস্ক : কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে শাটডাউন আর সহিংসতার জেরে সাধারণ ছুটি এবং ইন্টারনেট বন্ধে নাজুক অবস্থা তৈরি হয় পোশাক শিল্পে। যার বড় শিকার চট্টগ্রামের প্রায় ৫শ কারখানা। বিজিএমইএ এবং বিকেএমইএ’র প্রাথমিক হিসাব অনুসারে, চট্টগ্রাম অঞ্চলে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৪ হাজার ২শ কোটি টাকা। এর মধ্যে রপ্তানি ক্ষতি প্রায় ১২শ কোটি, বেতন বাবদ ২শ কোটি আর এক্সেসরিজ ক্ষতি প্রায় ৫শ কোটি টাকা।
উদ্যোক্তারা বলছেন, কাঁচামাল খালাস থেকে জাহাজীকরণ পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়াতেই বড় ধরনের ছেদ পড়েছে। এতে ভৌত এবং আর্থিক দুইভাবেই বেড়েছে ক্ষতি। বিজিএমইএ-র সহসভাপতি রাকিবুল আলম চৌধুরী বলেন, আমাদের ৪ দিনের উৎপাদন বন্ধ। আমাদের নতুন যে অর্ডারগুলো হবার কথা সেগুলো আছে কিনা সেটাও জানি না আবার শিপমেন্ট যেগুলো ছিলো সেটা ক্রেতারা গ্রহণ করেছে কিনা বা করলেও কি পরিমাণ করেছে আমরা কিছুই জানি না।
অপূরণীয় অদৃশ্য ক্ষতির ক্ষতচিহ্নও ফুটে উঠছে ইন্টারনেট চালুর পর থেকে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সহিংসতার চিত্র ফলাও করে প্রকাশ হওয়ায় বাংলাদেশকে নিয়ে আস্থার সংকটে ভুগছে ক্রেতারা।
এ বিষয়ে বিকেএমইএর পরিচালক ফৌজুল ইমরান খান বলেন, সহিংসতার জেরে একটি নেতিবাচক প্রভাব আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের মধ্যে পড়েছে। হঠাৎ করে ৪ থেকে ৫ দিন ইন্টারনেট বন্ধ, ফলে যোগাযোগও বন্ধ। ভবিষ্যতে আমাদেরকে অর্ডার দিতে গেলে যদি আবার কিছু হয় অথবা যে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে তার রেশ কতদিন চলবে এগুলো নিয়ে তাদের মধ্যে শঙ্কা এখনও রয়ে গেছে।
এখন ঘুরে দাঁড়াতে সরকারের বহুমুখী উদ্যোগ চান রপ্তানিকারকরা। ফৌজুল ইমরান খান বলেন, বাংলাদেশ সম্পর্কে যে একটি ভুল ধারণা ওদের মধ্যে তৈরি হয়েছে তা দূর করতেই আমরা এখন কাজ করছি।
এদিকে বিজিএমইএ-র সহসভাপতি বলেন, যে পণ্যগুলো আমরা শিপমেন্ট করতে পারিনি সেগুলো অতি দ্রুত যেন আমরা শিপমেন্ট করতে পারি সেজন্য আমরা এনবিআরের সব এজেন্সি এবং চট্টগ্রাম বন্দরের সহযোগিতা চাই। সেই সঙ্গে ব্যাংক সুদ, পোর্টার ডেমারেজ চার্জ, শিপিং লাইনের কন্টেইনার ওভার চার্জ আমাদের বন্ধ করতে হবে।
দেশে মোট তৈরি পোশাক রপ্তানির কম-বেশি ২০ শতাংশের যোগান দেয় চট্টগ্রাম।