অনলাইন ডেস্ক : কানাডা চলতি শস্য মৌসুমের (২০২০-২১) ১১তম সপ্তাহে ৫ লাখ ৫৮ হাজার ৪ টন গম রফতানি করেছে বলে জানিয়েছে দেশটির শস্য কমিশন। ১১তম সপ্তাহ শেষ হয়েছে গত ১৮ অক্টোবর। এ শস্য বছরে রফতানির পরিমাণ বিবেচনায় এটাই সবচেয়ে সফল সপ্তাহ। প্রতি সপ্তাহে যে রফতানি লক্ষ্য রয়েছে তা থেকে এটি দুই লাখ টন বেশি। চলতি মৌসুমে মোট ১ কোটি ৯২ লাখ টন গম রফতানির পূর্বাভাস দিয়েছে এগ্রিকালচার অ্যান্ড এগ্রি-ফুড কানাডা (এএএফসি)। খবর প্রগ্রেসিভ ফারমার।
১১তম সপ্তাহ পর্যন্ত মোট ৪৪ লাখ ৯৮ হাজার ২০০ টন গম রফতানি করেছে কানাডা, যা ২০১৯-২০ মৌসুমের একই সময়ের চেয়ে ৩০ দশমিক ৯ শতাংশ বেশি এবং গত পাঁচ বছরের গড় রফতানির চেয়ে ৩০ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি। আগের ওই দুটি শস্য মৌসুমে প্রথম ১১ সপ্তাহের চেয়ে এবার মোট ১০ লাখ টন বেশি রফতানি করা হয়েছে। এ সংখ্যাটি আবার গত ১০ বছরের গড়ের চেয়ে ৩৭ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি।
সংযুক্ত চার্টের নীল বার বলছে, মৌসুমের প্রথম ১১ সপ্তাহের মধ্যে চারটিতেই রফতানি ৫ লাখ টনের গণ্ডি অতিক্রম করেছে। অথচ গোটা ২০১৯-২০ মৌসুমে মাত্র চার সপ্তাহে রফতানি ৫ লাখ টনের গণ্ডি পেরোতে পেরেছে! তখন প্রথমবার ৪০তম সপ্তাহে আর শেষবার ৫০তম সপ্তাহে ৫ লাখ টন রফতানি করে উত্তর আমেরিকান দেশটি। সেখানে চলতি মৌসুমে প্রথম ১১ সপ্তাহের মধ্যেই চারবার ৫ লাখ পেরোনোর কৃতিত্ব দেখাল কানাডা। তখন ২০ থেকে ২২ পর্যন্ত তিন সপ্তাহে সম্মিলিতভাবে ৭ লাখ ৫৫ হাজার ৫০০ টন গম রফতানি করে দেশটি।
২০১৮-১৯ মৌসুমে মাত্র দুই সপ্তাহে, ২০১৭-১৮ মৌসুমে এক সপ্তাহে রফতানি ৫ লাখ টনের গণ্ডি পেরোয়, যদিও ২০১৬-১৭ মৌসুমে এ কৃতিত্ব নেই একবারও।
কানাডা থেকে চলতি শস্য বছরে ১ কোটি ৯২ লাখ টন গম রফতানির পূর্বাভাস রয়েছে। যদিও চার্ট বলছে, লক্ষ্য অর্জনে যে স্থির গতির প্রয়োজন রয়েছে তার চেয়ে বেশ এগিয়েই রয়েছে শিপমেন্টের প্রকৃত গতি। উল্লেখ্য, ২০১৯-২০ শস্য বছরে মোট ১ কোটি ৯১ লাখ ২৮ টন গম রফতানি করেছিল কানাডা।
মনে রাখা প্রয়োজন, মোট শস্য মৌসুমে অনিবন্ধিত রফতানিও অন্তর্ভুক্ত এবং নিবন্ধিত শিপমেন্টে ময়দা রফতানির বিষয়টিও চার্টে তুলে ধরা হয়েছে। পূর্বাভাসের লক্ষ্য অর্জনের জন্য যে স্থির গতির প্রয়োজন শুধু নিবন্ধিত রফতানিই মোটামুটিভাবে তার চেয়ে ৪ লাখ ৩৭ হাজার টন এগিয়ে।
আরেকটি বিষয় হলো গম শিপিংয়ের সময়। পাঁচ বছর ধরে গড়ে গম শিপমেন্টের ১৯ দশমিক ৩ শতাংশই হয়েছে নিবন্ধিত ফ্যাসিলিটিজের মাধ্যমে ১১তম সপ্তাহে। ২০১৯-২০ মৌসুমে ১১তম সপ্তাহে মোট রফতানির ১৭ দশমিক ৯ শতাংশ শিপমেন্ট করা হয়েছিল।