সোনা কান্তি বড়ুয়া : প্রায় ১ যুগ আগে বাংলাদেশে চট্টগ্রাম পণ্ডিত বিহার বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় ৫৬০কোটি টাকা বরাদ্দ হলেও দক্ষিণ চট্টগ্রামে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় অগ্রগতি কতদূর!

চট্টগ্রাম জেলার আনোয়ারা উপজেলায় ধ্বংসপ্রাপ্ত বিদ্যাপীঠ পণ্ডিত বিহারের ঐতিহ্যকে কালোত্তীর্ণ করার জন্য ২০১১ সালে একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় (আন্তর্জাতিক পণ্ডিত বিহার বিশ্ববিদ্যালয়) প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়ে ছিলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যা একযুগ অতিক্রান্ত হলেও অদ্যাবদি আলোর মুখ দেখেনি।এসব বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনায় যুক্ত হয়েছেন আন্তর্জাতিক পণ্ডিত বিহার বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তবায়ন নাগরিক উদ্যোগের আহবায়ক অধ্যাপক ড. জিনবোধি ভিক্ষু (বিশেষ সাক্ষাৎকারটি গ্রহণ করেছেন আশিক আরেফিন)।

চট্টগ্রাম বৌদ্ধ পন্ডিত বিহার বিশ্ববিদ্যালয় এই নিদর্শন অনুসন্ধানে গত ২০১৬ সালে ১৬ সেপ্টেম্বর, আনোয়ারা কর্ণফুলীর বড় উঠানে সম্ভাব্য স্থানে প্রত্নতাত্তি¡ক খনন কাজ শুরু হয়। ধ্বংসপ্রাপ্ত এই পুরাকীর্তি অনুসন্ধান এতোটা সহজ কাজ ছিল না,পন্ডিত বিহার বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে পথচলার পথ পরিক্রমায় বর্ণিত স্থানে প্রত্নতাত্তি¡ক খননের প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব উপলদ্ধি করে পন্ডিত বিহার বিশ্ববিদ্যালয় পুনঃপ্রতিষ্ঠার স্বপ্নদ্রষ্টা ‘জ্ঞানতাপস’ ড. জিনবোধি বৌদ্ধ ভিক্ষু মহোদয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবরে পত্র প্রেরণের প্রেক্ষিতে ২০১৬ সালে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রত্নতাত্তি¡ক অধিদপ্তরের তত্বাবধানে সর্বপ্রথম সরকারিভাবে খননের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। তবে নানান জটিলতার পর সেটি গত ১৬ সেপ্টেম্বর আলোর মুখ দেখে। এক্ষেত্রে যারা অবদান রেখেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা।

পুন্ড্রবর্দ্ধন (বগুড়া) গৌতমবুদ্ধের বাংলাদেশ! চট্টগ্রাম পণ্ডিত বিহার বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় ও হিন্দু আমি মুসলিম না করে চর্যাপদে বাঙালির হৃদয়ের স্পন্দন শুনেছেন? চট্টগ্রাম পণ্ডিত বিহার বিশ্ববিদ্যালয়ে পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন বাংলা বই চর্যাপদ রচিত হয়েছে! বুদ্ধভ‚মি বাংলাদেশে জয় বাংলার চট্টগ্রাম পণ্ডিত বিহার বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় অগ্রগতি কতদূর! বাঙালির আত্মপরিচয়ের খোঁজে বৌদ্ধযুগের অজানষ কাহিনী চট্টগ্রাম পণ্ডিত বিহার বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় চর্যাপদে হৃদয় বাংলাদেশ বিরাজমান। চর্যাপদের বাংলাদেশে চট্টগ্রাম পণ্ডিত বিহার বিশ্ববিদ্যালয়কে পেয়ার কিয়া তো ডরনা কেয়া? বৌদ্ধযুগের প্রাচীন চট্টগ্রাম পন্ডিত বিহার বিশ্ববিদ্যালয়ের মহামান্য উপাচার্য মহামহোপাধ্যায় নরোপা পাদের নামে আমেরিকার কলোরাডোতে নরোপা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ১৯৯৭ সালে!

আজ দুঃখের সঙ্গে বলতে হয় তুর্কী মুসলমান লুটেরা বখতিয়ার খিলজি বৌদ্ধ বাংলা ভেঙ্গে গড়ে তোলছে মুসলিম বাংলা! বাংলাদেশে বখতিয়ার খিলজির বৌদ্ধ ইতিহাস, বাংলার অত্যাচারের, বাংলার মানুষের রক্তের ইতিহাস। বাংলাদেশে বখতিয়ার খিলজির বৌদ্ধ ইতিহাস মুমূর্ষু বৌদ্ধ নর-নারীর আর্তনাদের ইতিহাস। বাংলার বৌদ্ধ ইতিহাস- এদেশের তুর্কী লুটেরা বখতিয়ার খিলজি বৌদ্ধ বাংলা অবৈধভাবে দখল করে ইসলাম ধর্মকে রাষ্ট্রীয়ভাবে বৌদ্ধ বাংলায় চাপিয়ে দিল এবং BY FORCE বাংলাদেশে বৌদ্ধগণ মুসলমান হয়েছিলেন!

ইউরোপের কোরান পোড়ানোর ঘটনা ও বাংলাদেশে কোরাণের নামে রামু বৌদ্ধ বিহার ধ্বংস কেন? বাংলাদেশে ১২ বছরে ও রামু বৌদ্ধ বিহারের ধ্বংসযজ্ঞ বিচার কাজ শেষ হয়নি! তারপরে অনেক ইতিহাস হয়েগেলো! মুসলমান মৌলবাদী কর্তৃক বাংলাদেশে হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্ঠান ও পাহাড়িদের গ্রামের ভ‚মি লুন্ঠন কেন? হিন্দু মুসলমান রাজনীতির মাফিয়া চক্রে বৌদ্ধ হত্যাযজ্ঞ! আমাদের জাতীয় বিবেকের জবাবদিহিতার শক্তি মরে ধর্ম নামক বিভিন্নভয় ভীতির কবলে। হলায়ুধ মিশ্র মহামন্ত্রীর বিশ্বাসঘাতকতায় বখতিয়ার খিলজির বৌদ্ধবাংলা জয় এবং ১২০১ সালে বখতিয়ার খিলজির হিংসার আগুন সম্রাট ধর্মপালের (৭৭০-৮১০) প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিখ্যাত নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় (বিহার, ভারত), ধ্বংস করে দিল।

১৯২৮ সালে প্যারিস বিশ্ববিদ্যালয়ে বাঙালির আত্মপরিচয়ের খোঁজে পন্ডিত ও ভাষাতত্ত¡বিদ ডক্টর মোহাম্মদ শহীদুলাহ (ইংরেজীতে তাঁর পি.এইচ. ডি. থিসিসি ছিল) ‘বুড্ডিষ্ট মিষ্টিক সংস (বা বৌদ্ধ চর্যাপদ)’ শীর্ষক বই লিখেছেন এবং ধর্মের গোড়ামি ত্যাগ করে ঐতিহাসিক উৎস নিরুপণ করতে গিয়ে বলেছেন, “আমরা বলিতে পারি যে বৌদ্ধগানই (চর্যাপদ) যেমন একদিকে গজলের, তেমনি অন্যদিকে বৈষ্ণব পদাবলীর মূল উৎস। বৌদ্ধগানের শূন্যতা বৈষ্ণব পদাবলীতে রাধা হয়েছে!”

আজ (18 SEPTEMBER 2018) পুনরায় চালু হলো সহস্রাধিক বছরের প্রাচীন নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়। পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় ছিলো এই নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়, যেখানে একটা পূর্ণাঙ্গ লাইব্রেরি ও ছাত্রাবাসসহ ২০,০০০ শিক্ষার্থীর পাঠদানের ব্যবস্থা ছিলো। চতুর্থ শতকে (৪৩০ খ্রিস্টাব্দ) প্রতিষ্ঠিত হওয়া এই বিশ্ববিদ্যালয়টি ১১৯২ সালে তুর্কী লুটেরাদের আক্রমণে সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয় এবং পাঠাগারে সংরক্ষিত প্রায় ৯০,০০০ পুথি পুড়ে যায়। ধ্বংস হয়ে যাওয়ার প্রায় ৮৩২ বছর পর বিশ্ববিদ্যালয়টি আবার পুনরায় চালু করা হলো। আশাকরি পুনস্থাপিত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের হাত ধরেই ভারতীয়রা জ্ঞানবিজ্ঞানে আবারও বিশ্বগুরু হবে।

বৌদ্ধযুগের প্রাচীন চট্টগ্রাম পন্ডিত বিহার বিশ্ববিদ্যালয়ের মহামান্য উপাচার্য মহামহোপাধ্যায় নরোপা পাদের নামে আমেরিকার কলোরাডোতে নরোপা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ১৯৯৭ সালে (BY THE HELP OF আমেরিকানসহ তিব্বতি এবং এশিয়ান বৌদ্ধগণ সন্নিলিতভাবে)! চট্টগ্রামের হাজার বছরের পুরানো বৌদ্ধ ভিক্ষুর নামে নারোপা বিশ্ববিদ্যালয় বৌদ্ধযুগের প্রাচীন চট্টগ্রাম পন্ডিত বিহারের (বৌদ্ধ বিশ্ববিদ্যালয়) মহামান্য উপাচার্য মহামহোপাধ্যায় নরোপা পাদের নামে (আমেরিকানসহ তিব্বতি এবং এশিয়ান বৌদ্ধগণ সন্নিলিতভাবে) আমেরিকার কলোরাডোতে নরোপা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। হাজার বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেল, কখন ও কী আমেরিকা আবিস্কারের সাথে চীনা বৌদ্ধভিক্ষুদের প্রসঙ্গ আসেনি? আমেরিকা আবিস্কারের অজানা ইতিহাস!

মহামহোপাধ্যায় চর্যাপদের মহাকবি ভুসুকু পাদ ‘বাঙালি’ শব্দের আবিষ্কারক ছিলেন! ‘আজি ভুসুকু বঙ্গালী ভইলী (ভুসুকু আজ আলোকপ্রাপ্ত সিদ্ধপুরুষ বা বাঙালি হলেন)” থেকে ঐতিহাসিক ‘বাঙালি’ শব্দের অভ‚তপূর্ব সংযোজন হয়েছিল এবং (দি বুক অব এনলাইটেনমেন্ট) ৪৯ নম্বর কবিতায় সর্বপ্রথম ‘বাঙালি শব্দ’ মহাকবি ভুসুকু কর্তৃক আবি®কৃত হল। পূজনীয় ব্যক্তির প্রতি সন্মান প্রদর্শন বাঞ্ছনীয়। জয় বাংলা চট্টগ্রাম পণ্ডিত বিহার বিশ্ববিদ্যালয় কে ভালোবাসায় ভয় কিসের? আমাদের বাংলাদেশের ছেলে বিজয় সিংহ লঙ্কা জয় করে সিংহল বানিয়েছেন!

মুসলমান সর্বস্ব রাজনীতিতে বাংলাদেশে মাটি খুঁড়লে বৌদ্ধ বিশ্ববিদ্যালয় বেরিয়ে আসছে! ও হিন্দু আমি মুসলিম না করে বাঙালির হৃদয়ের স্পন্দন শুনেছেন? ধর্মান্ধ মুসলমান রাজনীতি ও ধর্মান্ধ হিন্দুত্ববাদীরা মনুষ্যত্বের শিক্ষাটাকে গ্রাস করে ফেলেছে! গত ১৬ সেপ্টেম্বর, (২০২৩), আনোয়ারা কর্ণফুলীর বড়উঠানে, প্রত্নতাত্তি¡ক খননে চট্টগ্রাম বৌদ্ধপন্ডিত বিহার বিশ্ববিদ্যালয় বেরিয়ে আসছে! কানাডার আবাসিক স্কুলগুলোতে আদিবাসী শিশুদের গণকবর উদ্ধারের ঘটনার মতো চট্টগ্রাম বৌদ্ধ পন্ডিত বিহার বিশ্ববিদ্যালয় আলোর মুখ দেখছে, প্রত্নতাত্তি¡ক খননে! চট্টগ্রাম দেয়াং পাহাড়ের মাটিতেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে পন্ডিত বিহারের ধ্বংসের স্মৃতি চিহ্ন। এ পুরাকীর্তি পুন:রুদ্ধার করা হলে আনোয়ারা উপজেলাসহ গৌরবময় চট্টগ্রামের সুনাম, সুখ্যাতি বাংলাদেশসহ দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় আরেকটি মাইলফলক ঘটনার জন্ম দেবে। আসতে শুরু করেছে সফলতা, বেরিয়ে আসছে ১২’শ বছর আগে ধ্বংসপ্রাপ্ত পুরাকীর্তির নিদর্শন।

মানুষ মানুষের জন্য! কাল্পনিক, আল্লাহ, কাল্পনিক ঈশ্বর (গড বা) দেবী-দেবতা মানুষের সমস্ত অনুভ‚তিগুলিকে ধর্মান্ধ পণ্যে পরিণত করে, সুকুমার বৃত্তিগুলিকে পণ্যে পরিণত করে ১০ বছরে বাংলাদেশে ৯ লক্ষ হিন্দু কমেছে (টরন্টোর বাংলা কাগজ, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১২) এর চেয়ে হৃদয়হীন, এর চেয়ে নির্দয়, এর চেয়ে নির্মম সভ্যতা ইতিহাসে আর সৃষ্টি হয়নি। এ সভ্যতা, মানুষের প্রেম ভালোবাসা, তার মায়া মমতা, প্রীতি, বন্ধুত্ব, যা কিছু সুন্দর, সুকুমার তাকে পঙ্গু করে দেয়, তাকে শুষ্ক করে দেয়, পণ্যে পরিণত করে।

এই ধ্বংসাবশেষ পুনরুদ্ধারের প্রয়োজনীয়তা, এ সম্বন্ধে পর্যাপ্ত জ্ঞান ও ধারণা সামগ্রিকভাবে মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পটিয়ার কৃতি সন্তান প্রয়াত নাট্যকার আহমেদ কবির নানা গবেষণা করে প্রাপ্ত বাস্তব তথ্যের আলোকে রচনা করেন নাটক “পন্ডিত বিহার বিশ্ববিদ্যালয়”, আর সেটি মঞ্চস্থ করে সৃষ্টি হউক সচেতন মানুষ এই ¯েøাগানে কাজ করা নাট্যসংগঠন “নাট্যাধার”। এই নাটকটি শুধুমাত্র চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমি নয় বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী ড. দিপু মনি, এমপি মহোদয়ের শহর চাঁদপুরেও মঞ্চায়ন করে পন্ডিত বিহার বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় জনমত গড়ে তুলে।আমার কাছে গর্বের বিষয় আমি নিজেও সেই নাটকে অনেকগুলো চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগের পাশাপাশি কয়েকবার প্রস্তাবিত পন্ডিত বিহার বিশ্ববিদ্যালয়ের বরাদ্দকৃত স্থানসহ খনন শুরু হওয়া জায়গা পরিদর্শন করার। এ পুরাকীর্তি পুন:রুদ্ধার করা হলে আনোয়ারা উপজেলাসহ গৌরবময় চট্টগ্রামের সুনাম, সুখ্যাতি বাংলাদেশসহ দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় আরেকটি মাইলফলক ঘটনার জন্ম দেবে।

পন্ডিত বিহার বিশ্ববিদ্যালয় আলোর মুখ দেখছে, প্রত্নতাত্তি¡ক খননে আসতে শুরু করেছে সফলতা, বেরিয়ে আসছে ১২’শ বছর আগে ধ্বংসপ্রাপ্ত পুরাকীর্তির নিদর্শন। এই নিদর্শন অনুসন্ধানে গত ১৬ সেপ্টেম্বর, আনোয়ারা কর্ণফুলীর বড়উঠানে সম্ভাব্য স্থানে প্রত্নতাত্তি¡ক খনন কাজ শুরু হয়। ধ্বংসপ্রাপ্ত এই পুরাকীর্তি অনুসন্ধান এতোটা সহজ কাজ ছিল না, পন্ডিত বিহার বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে পথচলার পথ পরিক্রমায় বর্ণিত স্থানে প্রত্নতাত্তি¡ক খননের প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব উপলদ্ধি করে পন্ডিত বিহার বিশ্ববিদ্যালয় পুনঃপ্রতিষ্ঠার স্বপ্নদ্রষ্টা ‘জ্ঞানতাপস’ ড. জিনবোধি ভিক্ষু মহোদয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবরে পত্র প্রেরণের প্রেক্ষিতে ২০১৬ সালে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রত্নতাত্তি¡ক অধিদপ্তরের তত্বাবধানে সর্বপ্রথম সরকারিভাবে খননের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। তবে নানান জটিলতার পর সেটি গত ১৬ সেপ্টেম্বর আলোর মুখ দেখে। এক্ষেত্রে যারা অবদান রেখেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা।

জিতু চৌধুরী ব্যাখ্যা করেছেন, “দশম শতকের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম পট্টিকারা (বর্তমান পটিয়া) চন্দ্রবংশের রাজাদের শাসনাধীন ছিল। এই চন্দ্র রাজবংশের সাথে আরাকানের চন্দ্ররাজ বংশের বৈবাহিক সম্পর্ক তথা জ্ঞাতি সম্পর্ক ছিল। পট্টিকারা চন্দ্র রাজবংশের শাসনকালে চট্টগ্রামে পণ্ডিত বিহার বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হয়। তিব্বত বিশেষজ্ঞ পণ্ডিত শরচ্ছন্দ্র দাস (১৮৪১-১৯৯১ সাল) ও লামা তারানাথ তিব্বতি গ্রন্থ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে কিছু তথ্য জানা যায়। শুরুর দিকে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে মহাযান বা তান্ত্রিক বৌদ্ধ ধর্ম বিষয়ক শিক্ষা প্রদান করা হতো। এর প্রধান অধক্ষ্য ছিলেন পটিয়া উপজেলার চক্রশালা নিবাসী সন্তান তিলপাদ বা প্রজ্ঞাভদ্র। মগধের প্রধান (বাকি অংশ ১৭-এর পাতায় ধ)

আচার্য নারোপা বা নারোতপা তার কাছে দীক্ষা গ্রহন করেন। খ্যাতনামা বৌদ্ধ পণ্ডিতগণ এ বিশ্ববিদ্যলয়ে পরিদর্শক রূপে অথবা অধ্যাপক ছিলেন, তাদের মধ্যে ধর্মশ্রী, জ্ঞানপা, বুদ্ধপা, অনঙ্গবজ্র, সবরিপা, লুইসা, লাড়পা, অবধুতপা, অমোঘনাথ প্রমুখ। পণ্ডিত বিহার বিশ্ববিদ্যালয় অবস্থান নিয়ে পণ্ডিতদের মধ্যে মতভেদ পরিলক্ষিত হয়।

পণ্ডিত শরচ্চন্দ্র দাস অনুমান করেন যে, চট্টগ্রাম শহরের আন্দরকিল্লাস্থ জামে মসজিদের নিকটস্থ পাহাড়ে এই পণ্ডিত বিহার বিশ্ববিদ্যালয় এর অবস্থান। আবার কারো কারো মতে, পটিয়ার চক্রশালায়, দেয়াঙ পাহাড়ে ঝিওরী, সীতাকুণ্ড চন্দ্রনাথ পাহাড়শীর্ষে, মীরশ্বরাই থানার পাগলপুরের ছুটিখা’র দীঘির সন্নিকটবর্তী এলাকায় এর অবস্থান ছিল বলে পণ্ডিতের ধারণা। পণ্ডিত শরচ্চন্দ্র দাস উক্ত লিপির তারিখ মগী সন ধরে (৯০৪ মগী+৬৩৮) (শোর, ২৯৯-৩০২) ১৫৪২ সালে স্থির করে চাণ্ডিলা রাজাকে আরাকান রাজ মিনবিন জৌবক শাহার (১৫৩১-১৫৫৩) অধিকৃত চট্টগ্রামের সামন্ত রাজা বলে চিহৃত করেছেন। ড. সুনীতিভ‚ষণ সমর্থন করেন কিন্তু ড. আব্দুল করিম বলেন, তাদের সিদ্ধান্ত সঠিক নয়, কারণ রাজার নাম উল্লেখ ছাড়া কোন সামন্ত রাজার লিপি উৎকীর্ণ করার নিয়ম নেই। ড. সুনীতিভ‚ষন বড়ুয়া তথ্য প্রমাণ দিয়ে বলেন পূর্নচন্দ্র (সামন্ত রাজা) ৭৮৮-৮২৮ খৃষ্টাব্দ ও সুবর্নচন্দ্র রাজা (সামন্ত রাজা) ৮২৮-৮৬৮ খৃষ্টাব্দ বৌদ্ধ নথিপত্রে পাওয়া। দীপক বড়ুয়া সৃজন তাহার হাজার বছরের বাঙ্গালী বৌদ্ধ বইয়ে ও উল্লেখ করেছেন।

ডা: রবীন্দ্র নাথ বড়ুয়া তাহার বইতে লিখেছেন সামন্ত বংশের অধিপতিরা এক সময় ধুংশাং জমিদারে পরিনত হয়, তিনি আরো উল্লেখ করে বলেন, তৎকালীন কলকাতা বঙ্গীয় বৌদ্ধ সমিতি বা বেঙ্গল বুড্ডিষ্ট এসোসিয়েশনের আজীবন সাধারণ সম্পাদক কর্ত্তালা নিবাসী প্রয়াত ডা: শান্ত কুমার চৌধুরী’রা সামন্ত বংশের বংশধর। ১৯২৭ সালে চট্টগ্রাম আনোয়ারা উপজেলার দেয়াঙ পাহাড়ের কোলে এক গণ্ডগ্রাম ঝিওরী। প্রত্নতাত্তি¡ক আবিষ্কারের ইতিহাসে সারা উপমহাদেশে এখন ও উজ্জ্বল হয়ে আছে। ঝিওরী গ্রামের সফরআলী বলীর ভিটে মাটি খোড়ার সময় ৬৬টি পিতলে বৌদ্ধ মূর্তি আবিষ্কৃত হয়। তৎকালীন চট্টগ্রাম সরকারী কলেজের অধ্যাপক ধর্মবংশ মহাথের দীপংকর নামে এক ছাত্রকে সঙ্গে নিয়ে উক্ত বাড়ীতে যান কিন্তু সফর আলী বৌদ্ধ মূর্তি দিতে অস্বীকার করলে উক্ত আবিষ্কারটি পত্রিকায় প্রকাশ করে দেন। মনে করা হয় উক্ত গ্রামে পণ্ডিত বিহার বিশ্ববিদ্যালয় ছিল বলে সকল প্রকারের জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটান। পরবর্তীকালে বিশ্ববিশ্রুত ড. বেনী মাধব বড়ুয়া ও উমেশ চন্দ্র মুৎসুদ্দী প্রমুখ পণ্ডিত বিহার বিশ্ববিদ্যালয়টি সম্পকে তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করেন। তারা মনে করেন, আন্দরকিল্লার রঙমহল পাহাড় এলাকার, যেখানে জেনারেল হাসপাতাল নির্মানকালে একটি বিরাট বৌদ্ধ মূর্তি সহ বেশকিছু ঐতিহাসিক নিদর্শন পাওয়া যায়। আবার কারো কারো মতে পটিয়া চক্রশালায় পণ্ডিত বিহার বিশ্ববিদ্যালয়টি অবস্থান ছিল তবে ঝিওরী গ্রামটিতে এই বিশ্ববিদ্যলয়টির অবস্থান স্থল যে দেয়াঙ পাহাড় তার প্রমান অনেকাংশে নিশ্চিত করে দেয় ।”

আরেকটা দিক হচ্ছে, এই যে যুদ্ধের ২০ বছর, এই ২০ বছরে পার্বত্য চট্টগ্রামের ভেতরে যে আদিবাসীরা ছিলেন, এই আদিবাসীদের মধ্যে অনেক মানুষ যারা ছিলেন তারা তো নিজের জায়গা ছেড়ে অন্য জায়গায় গিয়ে প্রাণ বাঁচিয়েছেন। যেমন এক কোটি মানুষ মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতে এসেছিলেন, ভারত সরকার জায়গা দিয়েছিলেন, তেমনি আবার প্রায় ৪ কোটি মানুষ দেশের ভেতরে উদ্বাস্তু ছিলেন। আমি নিজে একজন উদ্বাস্তু পরিবারের সদস্য ছিলাম। তেমনি পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রায় এক লক্ষ মানুষ শরণার্থী হয়ে এসেছিলেন। কিন্তু দেশের ভেতরে পার্বত্য চট্টগ্রামের ভেতরে প্রায় ৪ লাখ মানুষ অভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তু ছিলেন। সেই উদ্বাস্তুরা, তারাও কিন্তু পার্বত্য শান্তিচুক্তি অনুযায়ী নিজের জমিতে, নিজের বাড়িতে ফিরে যাওয়ার কথা। সেটার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। সেটা কিন্তু রাষ্ট্র করেনি।

ধর্মান্ধ মুসলমান রাজনীতির কাল্পনিক , আল্লাহ বলে “জামায়াতের চিটিংবাজ ধর্মান্ধ ইসলামি জঙ্গীরা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের স্বাধীনতার কাছে পরাজিত হয়ে ২০১৯ সালে ভেদ, বিসম্বাদ পূর্ণ, হিংসায় ভরপুর ও পঙ্কিল চিটিংবাজ ধর্মান্ধ রাজাকার, আলবদবরের রচিত ইসলাম ধর্মের পাঠ্য বইতে (Class Five) বলছে “অমুসলিমরা’ মিথ্যাবাদী’, ‘লোভী’, ‘পশুর অধম!” “জামায়াতের উগ্র সা¤প্রদায়িকতার বাহক শক্তিটি ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে জনগণের সম্পদ হরিলুট করেছে! ও ধর্মান্ধ হিন্দুত্ববাদীরা কাল্পনিক ঈশ্বর (গড বা) দেবী-দেবতা হিন্দুত্বের ধ্বজাধারী! ভারত ধর্ম-বিবিক্ত অর্থে সেকুলার নয়, এ কালের উগ্র রাষ্ট্রবাদী হিন্দুত্বের ধ্বজাধারী ও! বাংলাদেশে মুসলমান শ্রেষ্ঠ হলে মুসলিম রাজনীতির ভীতির কবলে হিন্দু ও বৌদ্ধ নিকৃষ্ঠ হয় কেন? আমরা যাদেরকে সাধু বলি তারা কি আসলে ও সাধু!

বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে ধ্বংস করতে জোট সরকারের গভীর ষড়যন্ত্রের রাজনৈতিক সূতোয় বোনা রক্তাক্ত ২০০৪ সালের ২১শে আগষ্ঠের রক্ত ঝরা প্রতিটি গ্রেনেডের চাদর। সেই চাদরের ভাঁজে ভাঁজে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সহ আওয়ামী লীগ বধের নামে বীভৎস হত্যালীলা। বাংলাদেশে বিগত জোট সরকার ২০০৪ সালের একুশের আগষ্ঠের হত্যাকারীদের সম্পর্কে সবকিছু জেনে ও না জানার নাটক করতে সন্ত্রাসের রাক্ষসগণকে ধর্ম ও রাজনীতির বোরকায় লুকিয়ে রেখেছে। জনতার অদৃষ্ঠের নির্মম পরিহাসে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া রাষ্ঠ্রদ্রোহী জামাতের সাথে রাজনীতির জোট বেঁধে ছিল এবং বিগত জোট সরকার দেশের রক্ষক হয়ে ২১শে আগষ্ঠ ২০০৪ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সহ আওয়ামি লীগের নাম নিশানা মুছে দিতে দেশের ভক্ষক হ’ল কেন?

বিশ্ববৌদ্ধ পুরস্কার প্রাপ্ত প্রখ্যাত মানবতাবাদী লেখক সোনা কান্তি বড়ুয়া (Bachelor of Arts, University of Toronto), The AuthorÕs World famous and glorious New Book entitled ÒPRE – VEDIC MOHENJODARO BUDDHISM & MEDITATION IN THE NUCLEAR AGE , (516 Pages) “ সাবেক সভাপতি, বাংলা সাহিত্য পরিষদ, টরন্টো, খ্যাতিমান ঐতিহাসিক, কথাশিল্পী, বিবিধগ্রন্থ প্রনেতা প্রবাসী কলামিষ্ঠ, লাইব্রেরীয়ান, বিশ্ববৌদ্ধ সৌভ্রতৃত্ব পত্রিকার সহ সম্পাদক এবং জাতিসংঘে বিশ্ববৌদ্ধ প্রতিনিধি।